ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশনে চাঞ্চল্যকর খুনের প্রধান আসামী মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
- / ১১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন অধিক মেধা সম্পন্ন ১নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ সহিদুল ইসলাম (পিপিএম) এর সরাসরি নেতৃত্বে সুকৌশলে পুলিশী দক্ষতায় সন্ধ্যা মহুয়া কমিউটারের যাত্রী গোপাল পাল (৪৬) রেল ষ্টেশনে অপেক্ষায় থাকা যাত্রী অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হবার ঘটনায় আসামী সনাক্ত করে গ্রেফতারে সমর্থ হয়েছেন, সেই সাথে খুনের কাজে ব্যবহরিত চাকু উদ্ধার করেছেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা মহুয়া কমিউটারের যাত্রী গোপাল পাল (৪৬) স্ব-পরিবারে ঢাকা যাওয়ার জন্য ময়মনসিংহ রেল ষ্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন, ঘটনার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য রেলওয়ে ষ্টেশন এর ৫ম প্লাটফর্মে গেলে ছিনতাইকারীর কবলে পরে, পরবর্তীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে আসলে পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ডিসিষ্ট এর স্ত্রী জবা রানী পাল বাদী হয়ে এজাহার দাখিল করেন, ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার মামলা নং-৪, তারিখ-২২/০২/২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
উক্ত মামলার মুল রহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতারের নিমিত্তে পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ জেলা পুলিশকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত আসামীকে সনাক্ত সহ গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দিলে ১নং ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম (পিপিএম) নির্দেশ মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার এর নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিবিধ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন এবং তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল অনুমান ১৫.০০ ঘটিকার সময় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সহিদুল ইসলাম (পিপিএম) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামী বর্তমানে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৫নং কালিবাড়ি রোডস্থ জনৈক আমিনুল হক শামীম এর পরিত্যক্ত বাড়ীতে ঝোপঝাড়ের ভিতর নেশা করছে।
উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সহিদুল ইসলাম (পিপিএম) সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কালিবাড়ী গুদারাঘাট এলাকার আসামী মোহাম্মদ আলী (২৬) কে নেশা করা অবস্থায় গ্রেফতার করেন। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটিকার সংঘটিত হত্যাকান্ডের ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হোল্ডিং চাকু ৫ নং কালিবাড়ি রোডস্থ জনৈক আমিনুল হক শামীম এর পরিত্যক্ত বাড়ীর ভিতর ঝোঁপঝাড়ের ভিতর হইতে আসামীর দেখানো এবং সনাক্ত মতে উদ্ধার করেন, ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, ডাকাতির প্রস্তুতি এবং চুরিসহ সর্বমোট ৫ টি মামলা রয়েছে।
ধৃত আসামী আরোও জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান পৌনে ৭টায় সময় সূত্রীয় মামলার ডিজিষ্ট গোপাল পাল (৪৬)ট্রেন ছাড়ার পূর্বে প্রশ্রাব করতে রেলস্টেশনের ৫নং রেললাইনে দন্ডওমান বগির দক্ষিন পাশে ৬নং রেললাইন সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে গেলে উক্ত আসামী ডিজিষ্টকে ঝাপটে ধরে ডিজিষ্ট এর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে, একপর্যায়ে ডিজিষ্ট তাহার নিকট থাকা ১৫ হাজার টাকা দিলেও ডিজিষ্ট এর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, ডিজিষ্ট মোবাইল ফোন দিতে বাধা প্রদান করে, একপর্যায়ে আসামী উক্ত ব্যক্তিকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বুকে আসামীর হাতে থাকা হোল্ডিং চাকু দ্বারা স্ব-জোরে পাড় মেরে আসামী দূর্ত পালায়ন করে, ডিজিষ্ট রক্তাক্ত অবস্থায় ৩নং প্লাটফর্মে চলে আসে, তখন প্লাটফর্মে থাকা লোকজন, তার স্ত্রী ও রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।