আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কের বেহাল দশা, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
- আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৪২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
- / ১০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
বর্তমান রাস্তা-ঘাটের দুরবস্থায় সাধারণ মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ।
আজকাল রাস্তাঘাটে যানবাহনে চলাফেরা রীতিমত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান রাস্তা-ঘাটের দুরবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ফলে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে। , উপরন্তু রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা সব মিলিয়ে মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত, ভয়াবহ।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা জেলা সদরের সাথে একমাত্র যোগাযোগের অবলম্বন হচ্ছে শরিফ উদ্দিন সড়ক ও আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়ক সেই সড়ক গুলোর বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পিচ–খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। কোথাও সড়ক ধসে পড়েছে।
আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের
প্রায় ৬০ শতাংশ রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য। এক পাশ থেকে রাস্তা সংস্কার করা হয়, আরেক পাশ দিয়ে নষ্ট হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আজমিরীগঞ্জে উপজেলা সদরে মুল প্রবেশদ্বার কুশিয়ারার শাখা নদীর সুজনী খালের উপর নির্মিত ব্রীজের ও সদর ইউনিয়নের বিরাট ভাটি পাড়া, জলসুখা ঈদগাহ সামন এবং ঝিংরি ব্রীজের গোড়ার সংযোগ স্থানে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল, তাৎক্ষণিক ভাবে সড়ক বিভাগের উদ্যোগে গর্তে বস্তায় মাটি ভরাট করে বস্তা ওকিছু ইট দিয়ে কিছুটা মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া
আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার শঙ্কায় দিন পার করছেন সড়কটি ব্যাবহারকারী আজমিরীগঞ্জ উপজেলাসহ প্বার্শবর্তী উপজেলা বানিয়াচংয়ের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ৷দীর্ঘদিন যাবত সংযোগ সড়কটির এমন ভাঙ্গন ও বেহাল দশা থাকলেও ছোটবড় যানবাহন চালকদের জন্য সতর্কীকরণে নেই কোন সতর্কীকরণ বোর্ড নেই। এরই মাঝে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, মালামালবাহী ট্রাক,পিক আপ সহ শতশত যানবাহন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলাপকালে বেশ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও এসব ভাঙ্গন সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে শতশত যাত্রীবাহী, মালবাহী পরিবহন চলাচল করে। সড়কটির দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা।ঘটে যেতে পারে
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির বিভিন্ন স্হানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রতিদিনই আমরা যাত্রী নিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করি। শঙ্কায় থাকি কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। সেই সাথে দুর্ঘটনার শঙ্কা তো আছেই। সড়কটির বিভিন্ন স্হানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের পাশে চালকদের সতর্কীকরণে নেই কোন সতর্কীকরণ বোর্ড। জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল এর সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি দৈনিক হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে যেটুকু মেরামত করার দরকার তা আমরা করব আর পূর্ণ সংস্কারের জন্য মেগা প্রকল্পের আওতাধীন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই পূর্ণসংস্কারের কাজ শুরু হবে।