ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আওয়ামী সরকারের উৎখাতের কারণ উঠে এলো জাতিসংঘের প্রতিবেদনে পবিপ্রবি থেকে মুছে গেলো শেখ পরিবারের নাম দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ আবু হাসান বুকে ব্যথা দোয়ার দরখাস্ত সড়ক দুর্ঘটনা, নাকি দুর্বৃত্তের হাতে গুরুতর আহত সাংবাদিক রেজা ? ইয়াবার টাকার দ্বন্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ আহত শতাধিক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি শক্তিশালী: প্রধান উপদেষ্টা ২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ

ইবির সাদ্দাম হোসেন হল উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ অবৈধভাবে সিট দখল ও বরাদ্দ স্বল্পতা

ইবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৭০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হল দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রভোস্ট অফিসে বারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ সহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় হলের সমস্যার বিষয়ে বারবার সংবাদ প্রকাশের পরেও হলের সমস্যা সমাধানে প্রভোস্টের কোন পদক্ষেপ নজরে আসছে না। এদিকে হল প্রভোস্ট দুষছেন ছাত্রলীগের অবৈধভাবে সিট দখল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দেওয়াকে।

সরেজমিনে উক্ত হল পরিদর্শন করে দেখা যায়, হলের নোংরা শৌচাগার, অপরিষ্কার বেসিন, হলের অভ্যন্তরে ও বাইরে ময়লার ভাগারে পরিণত, পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাঁতশ্যাঁতে অবস্থা, বাগান পরিচর্যার অভাবে ঝোপ ঝাড়ে পরিণত, ডাইনিং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও ডাইনিং ম্যানাজারের অসৎ আচরণ, ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মী অবৈধভাবে সিট দখল করে হলে অবস্থান সহ অর্ধশত সমস্যা বর্তমানে বিরাজ করছে এ হলে।

গত ২৯ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ” নানা সংকটে ইবির সাদ্দাম হোসেন হল, সমাধানে ধীরগতি” শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হলে হল প্রভোস্ট বিষয়টি আমলে নেন এবং তার পরেরদিন হলের ঐ সমস্যাগুলো পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হলের সমস্যা নিরসনে পরিদর্শন ও অবৈধভাবে দখলকৃত সিট উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা, অভিযানের এক পর্যায়ে হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন, আবাসিক শিক্ষার্থীরা দাবি করতে থাকেন হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য এবং আশ্বস্ত করেন শিগ্রই হলের সমস্যা সমাধান করা হবে।

একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন , হলের সমস্যা বলে শেষ করার মতো নেই তবে হলের এমন একটা অংশ পাওয়া যাবে না যেখানে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নেই! এমনকি হলের কর্মকর্তাদের কাছে সেবা নিতে গেলে পোহাতে হয় ভোগান্তি , হল কার্ড করতে দেওয়া হলে চারমাসেও কার্ড হাতে পায় না আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হলের এ সকল সমস্যার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি বলেন, আমাদের কোন নেতাকর্মী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে না, যদি কেউ অবৈধভাবে হলের সিটে অবস্থান করে প্রভোস্ট তাকে নামিয়ে দিক। আমরা বারবার হলের সমস্যার বিষয়ে প্রভোস্টের কাছে বারো দফা দাবি জানিয়েছি কিন্তু এখনো হলের কোন সমস্যার সমাধান হয়ন। আমরা শিগ্রই আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে হলের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে হল প্রভোস্টে আবার দেখা করব।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবী ও হলের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা দেখছি হলে নানা সমস্যা, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু সমস্যাগুলো সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যাপ্ত বাজেট দিচ্ছে না উল্টো বলা হচ্ছে হল কতৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে হলের উন্নয়ন করবে। প্রতিবছর হলের শিক্ষার্থীরা আবাসিকতার জন্য আবেদন করছে প্রায় সহস্রাধিক কিন্তু সিট বৈধ করছে গুটি কয়েকজন তাহলে হল কর্তৃপক্ষের অর্থায়ন হবে কীভাবে? তারপরেও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুত হলের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইবির সাদ্দাম হোসেন হল উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ অবৈধভাবে সিট দখল ও বরাদ্দ স্বল্পতা

আপডেট টাইম : ০৮:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হল দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রভোস্ট অফিসে বারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ সহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় হলের সমস্যার বিষয়ে বারবার সংবাদ প্রকাশের পরেও হলের সমস্যা সমাধানে প্রভোস্টের কোন পদক্ষেপ নজরে আসছে না। এদিকে হল প্রভোস্ট দুষছেন ছাত্রলীগের অবৈধভাবে সিট দখল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দেওয়াকে।

সরেজমিনে উক্ত হল পরিদর্শন করে দেখা যায়, হলের নোংরা শৌচাগার, অপরিষ্কার বেসিন, হলের অভ্যন্তরে ও বাইরে ময়লার ভাগারে পরিণত, পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাঁতশ্যাঁতে অবস্থা, বাগান পরিচর্যার অভাবে ঝোপ ঝাড়ে পরিণত, ডাইনিং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও ডাইনিং ম্যানাজারের অসৎ আচরণ, ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মী অবৈধভাবে সিট দখল করে হলে অবস্থান সহ অর্ধশত সমস্যা বর্তমানে বিরাজ করছে এ হলে।

গত ২৯ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ” নানা সংকটে ইবির সাদ্দাম হোসেন হল, সমাধানে ধীরগতি” শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হলে হল প্রভোস্ট বিষয়টি আমলে নেন এবং তার পরেরদিন হলের ঐ সমস্যাগুলো পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হলের সমস্যা নিরসনে পরিদর্শন ও অবৈধভাবে দখলকৃত সিট উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা, অভিযানের এক পর্যায়ে হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন, আবাসিক শিক্ষার্থীরা দাবি করতে থাকেন হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য এবং আশ্বস্ত করেন শিগ্রই হলের সমস্যা সমাধান করা হবে।

একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন , হলের সমস্যা বলে শেষ করার মতো নেই তবে হলের এমন একটা অংশ পাওয়া যাবে না যেখানে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নেই! এমনকি হলের কর্মকর্তাদের কাছে সেবা নিতে গেলে পোহাতে হয় ভোগান্তি , হল কার্ড করতে দেওয়া হলে চারমাসেও কার্ড হাতে পায় না আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হলের এ সকল সমস্যার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি বলেন, আমাদের কোন নেতাকর্মী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে না, যদি কেউ অবৈধভাবে হলের সিটে অবস্থান করে প্রভোস্ট তাকে নামিয়ে দিক। আমরা বারবার হলের সমস্যার বিষয়ে প্রভোস্টের কাছে বারো দফা দাবি জানিয়েছি কিন্তু এখনো হলের কোন সমস্যার সমাধান হয়ন। আমরা শিগ্রই আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে হলের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে হল প্রভোস্টে আবার দেখা করব।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবী ও হলের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা দেখছি হলে নানা সমস্যা, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু সমস্যাগুলো সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যাপ্ত বাজেট দিচ্ছে না উল্টো বলা হচ্ছে হল কতৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে হলের উন্নয়ন করবে। প্রতিবছর হলের শিক্ষার্থীরা আবাসিকতার জন্য আবেদন করছে প্রায় সহস্রাধিক কিন্তু সিট বৈধ করছে গুটি কয়েকজন তাহলে হল কর্তৃপক্ষের অর্থায়ন হবে কীভাবে? তারপরেও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুত হলের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য।