ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

দুবলারচরে রাজত্ব করা খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

ওমর ফারুক
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৩৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

বঙ্গোপসাগর তীরে দুবলারচরে রাজত্ব করা শুঁটকি পল্লীর জেলেদের আতংক খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে অবশেষে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের খবর পেয়ে চর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে শুঁটকি ব্যবসায়ী খান শফিউল্লাহ খোকন ওরফে খোকন রাজাকার। অপরদিকে,মামলার বাদীকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।দুবলার আলোরকোলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে অভিযোগ করে বলেন,খুলনার রুপসা উপজেলার শোলপুর দেয়ারা এলাকার তৎকালীন রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় দুবলারচরের শুঁটকি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার দাপটে সাধারণ জেলেরা প্রতি মুহুর্তে আতংকে থাকেন। ১৯৭১ সালে রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন রুপসা যুগীহাটি গ্রামের সামসুর রহমান শামা মল্লিকসহ আরো কয়েকজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শামা মল্লিকের পুত্র সাইফুল মল্লিক গামা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা রুপসা থানায় বসে খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। অপরদিকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা মামলার বাদী সাইফুল মল্লিক গামাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে সাইফুল মল্লিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

মামলার ২ নং স্বাক্ষী আলহাজ মুনসুর আলী পোদ্দার বলেন, খান শফিউল্লাহ খোকন একজন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা শোলপুর দেয়ারা এলাকায় নারী ধর্ষণ, লুট ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে নিজেকে আড়ালে রাখার জন্য দুবলারচরে অবস্থান নিয়ে শুঁটকি মাছের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন। তার নির্যাতনে অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জেলে দুবলারচর ছেড়ে চলে গেছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের খবর পেয়ে খান শফিউল্লাহ খোকন দুবলারচর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে আলহাজ্ব মুনসুর আলী জানান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুবলারচরে রাজত্ব করা খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

আপডেট টাইম : ০৫:০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বঙ্গোপসাগর তীরে দুবলারচরে রাজত্ব করা শুঁটকি পল্লীর জেলেদের আতংক খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে অবশেষে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের খবর পেয়ে চর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে শুঁটকি ব্যবসায়ী খান শফিউল্লাহ খোকন ওরফে খোকন রাজাকার। অপরদিকে,মামলার বাদীকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।দুবলার আলোরকোলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে অভিযোগ করে বলেন,খুলনার রুপসা উপজেলার শোলপুর দেয়ারা এলাকার তৎকালীন রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় দুবলারচরের শুঁটকি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার দাপটে সাধারণ জেলেরা প্রতি মুহুর্তে আতংকে থাকেন। ১৯৭১ সালে রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন রুপসা যুগীহাটি গ্রামের সামসুর রহমান শামা মল্লিকসহ আরো কয়েকজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শামা মল্লিকের পুত্র সাইফুল মল্লিক গামা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা রুপসা থানায় বসে খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। অপরদিকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা মামলার বাদী সাইফুল মল্লিক গামাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে সাইফুল মল্লিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

মামলার ২ নং স্বাক্ষী আলহাজ মুনসুর আলী পোদ্দার বলেন, খান শফিউল্লাহ খোকন একজন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা শোলপুর দেয়ারা এলাকায় নারী ধর্ষণ, লুট ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে নিজেকে আড়ালে রাখার জন্য দুবলারচরে অবস্থান নিয়ে শুঁটকি মাছের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন। তার নির্যাতনে অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জেলে দুবলারচর ছেড়ে চলে গেছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের খবর পেয়ে খান শফিউল্লাহ খোকন দুবলারচর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে আলহাজ্ব মুনসুর আলী জানান।