ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

আদালতে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া কেন নয় জানতে চান হাইকোর্ট

সময়ের কণ্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কেন কাঠগড়া স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে এই রুল জারি করেছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রুলে আদালত জানিয়েছেন, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না।

একই সঙ্গে সারাদেশে কোন কোন আদালতে এই ধরনের লোহার খাঁচা রয়েছে সে ব্যাপারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন আদালত।

তাদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, অধ্বঃস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর বেশির ভাগ ঢাকায় অবস্থিত।

এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।

আবেদনে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর লোহার খাঁচা অপসারণে ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়। ১০ আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আদালতে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া কেন নয় জানতে চান হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ১০:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কেন কাঠগড়া স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে এই রুল জারি করেছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রুলে আদালত জানিয়েছেন, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না।

একই সঙ্গে সারাদেশে কোন কোন আদালতে এই ধরনের লোহার খাঁচা রয়েছে সে ব্যাপারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন আদালত।

তাদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, অধ্বঃস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর বেশির ভাগ ঢাকায় অবস্থিত।

এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।

আবেদনে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর লোহার খাঁচা অপসারণে ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়। ১০ আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।