ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ১৭ মে: বাংলাদেশের অনেক ‘প্রথমের’ একদিন নবীনগরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তা পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের

মহাদেবপুরে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা মালামাল লুট

মোঃ মেহেদী হাসান মহাদেবপুর নওগাঁ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

নওগাঁর মহাদেবপুরে রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা সদরের দশকলোনী পাড়ার মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টায় থানা পুলিশ উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় রীনা বেগমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র এলোমেলো করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে। এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় দুই ইউনিটের একটি বাড়ি নির্মাণ করে ভাই ভারি ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে।
নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন।

অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সাথেই যায়। রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও না খুললে তারা দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজীউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন। একারণে তার কাছে সবসময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা মালামাল লুট

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

নওগাঁর মহাদেবপুরে রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা সদরের দশকলোনী পাড়ার মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টায় থানা পুলিশ উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় রীনা বেগমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র এলোমেলো করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে। এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় দুই ইউনিটের একটি বাড়ি নির্মাণ করে ভাই ভারি ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে।
নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন।

অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সাথেই যায়। রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও না খুললে তারা দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজীউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন। একারণে তার কাছে সবসময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো।