ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) কে কটুক্তি করে ফেইসবুক লাইভে ক্ষমা চাইলেন সিংগার পোজা গোপ। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম

মহাদেবপুরে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা মালামাল লুট

মোঃ মেহেদী হাসান মহাদেবপুর নওগাঁ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • / ৭০ ৫০০০.০ বার পাঠক

নওগাঁর মহাদেবপুরে রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা সদরের দশকলোনী পাড়ার মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টায় থানা পুলিশ উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় রীনা বেগমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র এলোমেলো করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে। এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় দুই ইউনিটের একটি বাড়ি নির্মাণ করে ভাই ভারি ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে।
নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন।

অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সাথেই যায়। রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও না খুললে তারা দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজীউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন। একারণে তার কাছে সবসময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে হত্যা মালামাল লুট

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪

নওগাঁর মহাদেবপুরে রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা সদরের দশকলোনী পাড়ার মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টায় থানা পুলিশ উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় রীনা বেগমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র এলোমেলো করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে। এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় দুই ইউনিটের একটি বাড়ি নির্মাণ করে ভাই ভারি ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে।
নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন।

অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সাথেই যায়। রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও না খুললে তারা দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজীউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন। একারণে তার কাছে সবসময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো।