সিএমপি কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১টি এলজি ২টি গুলি ও ছোরা সহ ৫ জন গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
- / ১৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিএমপি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার এসআই মোঃ মোমিনুল হাসান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ থানা এলাকায় অভিযান করাকালীন সময়ে ২৫ জানুয়ারি ২৪ ইং তারিখ ৯ ঘটিকার সময় আমতল মোড় এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণমাঠ গণশৌচাগারের পাশে আড়ালে খালি জায়গায় কয়েকজন ছিনতাইকারী ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ২৫ জানুয়ারি ২৪ ইং তাং ৯.৪৫ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণমাঠ গণশৌচাগারের পাশে আড়ালে খালি জায়গায় ১২/১৩ জন ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে ১-৫নং আসামীদের আটক করলেও অপর ৭/৮ জন আসামী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হইতে একটি দেশীয় তৈরী এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ৪টি টিপ ছোরা উদ্ধার পূর্বক এসআই/মোঃ মোমিনুল হাসান জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তাহারা ব্যাবসায়িক এলাকা রিয়াজউদ্দিন বাজার এর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যাবসায়ি সহ পথচারীদের র্টাগেট করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করিতেছিল এবং তাহারা সকলে দুপুর বেলা হইতে শুরু করে সন্ধ্যা বেলা, রাত্রি বেলা ও ভোর বেলায় স্টেশনের ট্রেন যাত্রী, বাস যাত্রী ও পথচারীদেরকে অবৈধ অস্ত্রগুলি ও চাকুর ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই ও ডাকাতি করার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে একত্রিত হইয়া কুপরামর্শ করিতেছিলো।
উল্লেখ্য আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সিএমপির বিভিন্ন থানায় ১নং আসামীর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা, ২নং আসামীর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা, ৩নং আসামীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা, ৪নং আসামীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা ও ৫নং আসামীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রহিয়াছে।
আসামীরা হলেন ১। মোঃ সজীব প্রকাশ পিচ্চি সজীব (২৫), পিতা-মোঃ কামাল, মাতা-সুলতানা বেগম, স্থায়ী-ফতুল্লাহ, ব্যাংক কলোনী, মাদ্রাসার সাথে গলির ভিতরে, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়নগঞ্জ, বর্তমানে-পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় ভাসমান, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ আল আমিন (২৩), পিতা-মৃত হিরন মিয়া( কিরন) মাতা-লেদুনি খাতুন ( নুর জাহান হাসিনা), স্থায়ী-গৌরীপুর, রাসেলের বাড়ী, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে-পশ্চিম মাদারবাড়ী, ১নং গলি, বুল্ল্যার কলোনী, থানা-সদরঘাট, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ ইলিয়াছ (৩০), পিতা-মৃত আবুল কাশেম (আবু কাসেম) মাতা-রেজিয়া বেগম, স্থায়ী-কনিকাড়া, শান্তি মিয়ার বাড়ী, ৪নং ওয়ার্ড, পোষ্ট-শিবপুর বাজার, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বর্তমানে-বৌ বাজার, আক্তার সাহেবের ভাড়াটিয়া, ১৭নং ওয়ার্ড, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। সুব্রত দাশ (২৪), পিতা-মৃত মনিন্দ্র দাশ (খুলু) মাতা-সুখী বালা দাশ (সুখী দাশ) স্থায়ী-জগন্নাতপাড়া, দক্ষিণ হালিশহর, বজেন্দ্র দাশের বাড়ী, ৩৮নং ওয়ার্ড, আনন্দ বাজার, থানা-চট্টগ্রাম বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম, ৫। মোঃ আল আমিন (৩১), পিতা-মৃত মোঃ শফিক, মাতা-হোসনে আরা বেগম, স্থায়ী-হীরাকালী, বাদামতলী বাজার, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে-বগারবিল, নিরাপদ হাউজিং সোসাইটি, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড ১৮৬০ এবং The Arms Act 1878 section 19A/19(f) ধারায় পৃথক পৃথক মামলা রুজু পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ আরমান হোসেন।