ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

টাকার বিনিময়ে প্রশাসন চুপ হত্যা হয় অপমৃত্যু মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া 

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্টার।।

একটা প্রবাদ আছে যে টাকা দিয়ে বাঘের চৌখও কিনা যায়, বাঘের চৌখ কিনা যাক আর না যাক টাকা দিয়া যে পুলিশ প্রশাসন কিনা যে এটা কিন্তু সব জাগাতেই এখন দৃশ্যমান। কিছু অসাধু পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধ গুলো ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে। টাকার বিনিময় হত্যাকান্ড কে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া এখন তাদের রুটিনে পরিনত হয়েছে। তেমনি এক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়ার শেরপুরে।

স্ত্রী নয়নতারার পরোকিয়া স্বামী নাহিদ মিয়া জেনে ফেলায় স্বামী কে গত শে ডিসেম্বর রাতে  শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করা হয়।

স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামের বাড়ি তে বসবাস করে সেই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় ঝড়িয়ে পরে।স্বামী নাহিদ মিয়া গ্রামে আসলে গত ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার ঝগড়া হয়। স্ত্রী নয়নতারা তার পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য রাত আনুমানিক ১২ঃ৩০ মিনিটে নয়নতারা, নয়নতারার বড় ভাই বাপ্পি ও তার মা মিলে স্বামী নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ৩১ শে ডিসেম্বর লাশটি কে দাপন করে ওইদিনই ছেলের পরিবার কে চুপ রাখার জন্য ছেলের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়াকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে। এটার মধ্যাস্ততা করেন দেওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ও সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর। আর এই টাকাটা আদান-প্রদান হয় সরাইল উপজেলা পরিষদে বসে।যেখানে উপস্থিত ছিলো খুনি নয়নতারা,বাপ্পি, নয়নতারার মা,নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া, নাহিদের চাচাতো ভাই, দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ও সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর এবং ব্রাহ্মণ্যরাড়িয়া পুলিশ ফাড়ির এসআই মুজিবুর।

এদিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসআই মুজিবুর ও ওসি জাহাঙ্গীর এই হত্যা টিকে একটি অপমৃত্যু মামলা করে সুশাসন কে বৃদ্ধা আঙুল প্রদর্শন করে খুনিদের কে বাচিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সাক্ষাৎ করলে তারা যে বক্তব্য প্রদান করেন তা নিম্ন দেওয়া হলো-

অভিযুক্ত নয়নতারার বড় ভাই বাপ্পির বক্তব্য =

নাহিদ মিয়া নয়নতারার সাথে আমাদের শের পাড়ার বাড়িতেই  ছিলো। রাত ১২ টার দিকে সিকেরেট খেতে যায়, সিকেরেট খেয়ে এসে শুইলে শুয়া অবস্থায় স্টোক করে মারা যায়। আর এটা মিমাংসা করে দিয়েছে সাইফুল্লাহ ঠাকুর আমরা ছেলের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করি। আমাদের প্রতিনিধি টাকা প্রদানের কারন জানতে চাইলে বাপ্পি জানায় যে যাতে কোনো মামলা না হয় সেজন্যে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত নয়নতারার মায়ের বক্তব্যঃ-নাহিদ নিজের জীবনের উপর রাগ ছিলো এবং ওই দিন নয়নতারার সাথে এটা নিয়ে কথাও বলছিলো আর রাতে নাহিদ আত্মহত্যা করে। আমরা নাহিদ কে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই এবং রশি কেটে নিচে নামাই।

আমাদের প্রতিনিধি তার কাছে টাকার বিষয় টি জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে টাকা গুলো দিয়েছে যাতে কোন জামেলা না হয়।

এখানে মা ছেলের বক্তব্য দুই রকম হলো ছেলে বাপ্পি বললো নাহিদ স্টোক করেছে আর মা বললো নাহিদ আত্মহত্যা করেছে এবং তারাই নাহিদের লাশ টি  রশি কেটে নিচে নামিয়েছেন।

প্রশ্ন হলো দুজনের দু রকম বক্তব্য কেনো? আর নাহিদ যদি ফাশি দিয়ে আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে পুলিশ ছাড়া ঝুলন্ত লাশ তারা কেনো নামালেন?

মৃত নাহিদের বাবার বক্তব্যঃ-

নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া আমাদের প্রতিনিধি কে বলে নাহিদ আমার ছেলে ছিলো তাই আমার মিমাংসা আমি করেছি। নাহিদের চাচাতো ভাই বলেন যে আমাদের মিমাংসা হয়েগেছে। চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর আমাদের মিমাংসা করে দিছেন।

নাহিদ কি আত্মহত্যা করেছে নাকি নাহিদ কে হত্যা করা হয়েছে এই প্রশ্ন করলে তার কোনো উত্তর তারা দেননি।

এখানে প্রশ্ন হলো একজন পিতা কেনো তার ছেলে হত্যার স্বীকার হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে তার তদন্ত,  বিচার না চেয়ে ওই দিনই মিমাংসীত হয়ে যাবেন?

ডোম সুমনের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের কাছে নাহিদের লাশটি হত্যার নাকি আত্মহত্যার জানতে চাইলে ডোম সুমন বলেন আমি ২৫ বছর যাবৎ লাশ কাটি তাই লাশ দেখলেই বুঝতে পারি যে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা। নাহিদ কে হত্যা করা হয়েছিলো।নাহিদের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নাহিদের লাশ টি এসআই মুজিবুর আমাদের কাছে নিয়ে আসে।

আরো পুরানো সংবাদ।

এস আই মুজিবুরের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়ার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুরের সাথে যোগাযোগ করলে এসআই মুজিবুর বলেন নাহিদের ব্যাপারে  আমি কিছুই জানি না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বক্তব্যের রেকর্ড থাকে শুনালে এসআই মুজিবুর তখন বলেন যে ওসি জাহাঙ্গীর স্যারের নেতৃত্বে তার সহকারী হিসাবে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। আমরা নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই এবং ওরনা, দাও আলামত হিসাবে জব্দ করি।

এসআই করতলে যে ছিলেন  জাহাঙ্গীরের বক্তব্যঃ

এস আই  জাহাঙ্গীর আমাদের প্রতিনিধিদের বলেন আমি খবর শুনে হসপিটালে যাই এবং লাশের সুরাতাল করি।আর এসআই মুজিবুর ঘটনাস্থল  থেকে লাশটি হসপিটালে নেয় ও আলামত সংগ্রহ করে।  এস আই জাহাঙ্গীরের কাছে মামলার ব্যাপারে জানতে  চাওয়া তিনি বলেন এখনো কোনো মামলা হয়নি। পরবর্তীতে আবার ওসি জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ওসির কাছে জানতে চাওয়া হয় কিসের ভিত্তিতে এটা কে অপমৃত্যু মামলা দিলেন এখনো তো পোসমাডাম রিপোর্ট আসেনি,আর আপনারা তো লাশটি ঝুলন্ত পাননি? আর যদি নাহিদ ফাঁশি দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে পুলিশ ছাড়া এই লাশটি কারা নামালো? বা পুলিশ ছাড়া কেউ নামাতে পারে নাকি? এস আই  এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি। তিনি বলেন এগুলো এসআই মুজিবুর জানেন কারণ তিনিই ওখানে গিয়েছিলেন।

এখানে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য দুই রকম ও অসম্পূর্ণ। এসআই মুজিবুর প্রথমত নাহিদের ব্যাপরাটা অস্বীকার করে, প্রশ্ন হলো তিনি কেনো অস্বীকার করলেন?  এসআই ওসির উপর ওসি এসআই র উপর দায়িত্ব ছারছেন কেন? লাশটি তারা ঝুলন্ত না পেয়ে কাউকে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আর পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কিসের ভিত্তিতে এটা অপমৃত্যুর মামলা হলো।দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের বক্তব্যঃ

আমাদের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি রাজি না হলে মুটো ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন নাহিদ মিয়া ৩০শে ডিসেম্বর রাতে শের পাড়া শ্বশুর বাড়ি আত্মহত্যা করে। নাহিদের বাড়ি আমার এলাকায়।  নাহিদের একটি ছোটো ছেলে আছে ওই ছেলেটির কথা চিন্তা করে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর মিমাংসা করে দেই।

আমাদের প্রতিনিধির কাছে টাকা লেনদেনের বিষয় টি শুরুতে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন যে শিশু ছেলেটার কথা চিন্তা করে নয়নতারার পরিবার নাহিদের বাবাকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে।

এখানে প্রশ্ন হলো স্বামী যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে স্ত্রী কেনো তার শ্বশুর কে ৩ লক্ষ দিবে? নাকি শ্বশুর তার পুত্র বধু কে বরণ পোষনের খরচ দিবে? কি এমন ঘটনা নাহিদের সাথে ঘঠেছিলো যা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তরিগরি করে টাকা দিয়ে মিমাংসা হলো।

সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে হ্যা নাহিদ মিয়া নামে একটি ছেলে মারা গিয়েছিল এবং তারা উভয় পরিবার মিমাংসা হয়েছে। আর আমাকে স্বাক্ষী রেখে আমার অফিসে বসে স্ত্রী নয়নতারা নাহিদ মিয়ার বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে।

চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর কে প্রশ্ন করা হয় এই টাকাটা কেন ছেলের বাবা কে দেওয়া হলো আমরা জানি স্বামী মারা গেলে ছেলের পরিবার তার স্ত্রী সন্তানের খরচ বহন এখানে তো তার ওল্টটা দেখছি কারন কি?  তাহল কি স্ত্রী স্বামী কে হত্যা করে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে ফেললো এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর বলেন বিষয় টি আমারও সন্দেহ হয়ছে তবে দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ব্রাহ্মণবাড়িয়াই সব কিছু ঠিক করে, সব মেনেজ করে আমার অফিসে বসে শুধু আমাকে সামনে রেখে টাকা গুলো দিয়েছে।

চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের কাছে পুলিশের ভুমিকা নিয়া প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তারাও টাকার বিনিময়ে এমনটা করেছে তবে এটার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

এখানে চেয়ারম্যানের বক্তব্যে একটি বিষয় পরিস্কার আর তাহলো নয়নতারা নাহিদ মিয়ার বাবাকে চুপ রাখার জন্য সাইফুল্লাহ ঠাকুরের মাধ্যমে প্রশাসন সহ সব জাগায় টাকা ঠেলেছেন। কিন্তু কেনো? মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফের বক্তব্যঃ-অনেক বার চেষ্টার পর আমাদের প্রতিনিধি পোসমাডাম রিপোর্ট প্রদান কারী ডাঃ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করতে সক্ষম  হয়। ডাঃ শরিফ কে প্রশ্ন করা হয় যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কোন মামলা করা যায় কিনা? আর নাহিদের পোসমাডাম রিপোর্ট তো আপনি এখনো দেননি তাহলে নাহিদের এটা অপমৃত্যু মামলা হলো কিভাবে? ডাঃ শরিফ উত্তরে বলেন যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কোন মামলা হয় না আর নাহিদের পোসমাডাম রিপোর্ট এখনো দেইনি কিন্তু পুলিশ কিভাবে এটা অপমৃত্যু মামলা নিলো এটা তারা বলতে পারবে।

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেলো যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারাই অপমৃত্যু মামলা নিলো পুলিশ তাহলে কি পুলিশ টাকা খেয়ে হত্যাকান্ডকে অপমৃত্যু বলে খুনিদের কে বাচিয়ে দিলেন?

আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায় যে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। নাহিদের পরিবারকে চুপ রাখার জন্য নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে ৩ লক্ষ দেওয়া হয়েছে। আর আইনের হাত থেকে বাচার জন্য এসআই মুজিবুর ও  এসআই জাহাঙ্গীর কে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে,বিনিময়ে পুলিশ  হত্যাকান্ড কে অপমৃত্যুর মামলা করে আসামীদের বাচিয়ে দিয়েছে। আর এগুলো পুরোটাই ম্যানেজ করেছে নয়নতারা ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে নয়নতারা ও নাহিদের সালিসি দেওরার সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর  আরো কয়েক বার করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় নাহিদের ঢাকা থাকার সুবাদে নয়নতারার বাড়িতে সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের প্রায় যাতায়াত ছিলো। তাহলে প্রশ্ন হলো সাইফুল্লাহ ঠাকুর নয়নতারা কে বাচানোর জন্য নিজে দায়িত্ব নিয়ে সব ম্যানেজ করলো আবার নয়নতারার বাসায় পূর্বে যাতায়াত ছিলো কিন্তুু কেনো?  তাহলে কি নয়নতারার কথিত প্রেমিক এই সাইফুল্লাহ ঠাকুরই?

অনুসন্ধানে জানা যায় নয়নতারারা অনেক সম্পদের মালিক, বিশাল ধনাঢ্যবান হওয়াতে এই হত্যাকান্ড কে টাকা ছিটিয়ে ধামাচাপা দিতে কোনো সমস্যাই হয়নি, প্রয়োজনে তারা আরো টাকা ছিটাবে।

আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে একটি বিষয় নজরে আসে তা হলো বাপ্পির বর্ণনা মতে নাহিদ যেটার সাথে ফাসি দিয়েছে সেটার উচ্চতা মেঝো থেকে প্রায় ২০-২২ ফুট এতো উচুতে নাহিদ ওঠলো কিভাবে যেখানে ঘরে কোন চেয়ার,ডেবিল কিছুই ছিলো না, অথচ কিছুর সাহায্য ছারা ওখানে ওঠা যায় না। আর পুলিশও ওড়না আর দাও ছাড়া তো কিছুই আলামত জব্দ করেনি।

স্থানীয় লোকজনরা জানায় নাহিদ আত্মহত্যা করেছে নাকি নাহিদ কে হত্যা করাছে এটা নিয়ে সমাজে খুব কানাখোছা চলছে এবং তার বাবা নাকি অনেক টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে। আমরা এর বিচার চাই তা না হলে সমাজে এই ধরনের অপরাধ বেড়ে যাবে।

স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানান যে বর্তমানে সমাজের অবস্থা এই যে টাকা হলে সবই করা সম্ভব। এই সাইফুল্লাহ ঠাকুর, রফিক ঠাকুর এরা টাকা খেয়ে অনেক উল্টাপাল্টা বিচার করে থাকে। এর পর এস আই মুজিবুর ও এসআই জাহাঙ্গীর সাহেবরা টাকার বিনিময়ে আরো অনেক বড় বড় অপরাধী ছেড়ে দেয়, মাদকের আসামি,ধর্ষণের আসামী, ম্যাডারের আসামীও টাকা খেয়ে ছেড়ে দেয়। এখানে অনেকেই প্রশাসন কে টাকা দিয়ে বড় বড় অপরাধ সহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।এখনই এই ধরণের পুলিশদের লাগাম টেনে ধরা দরকার, এদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার এরা আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কে মলিন করে দিচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুশাসন কে কলুষিত করছে।আমরা এদের বিচার চাই।

এদিকে আমাদের প্রতিনিধিরা সরজমিনে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে দেওরার সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধি রা বিকল্প রাস্তায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

পুরাতন আরো খবর:

পুত্র বধু -শ্বশুরের কারিশমা খুনের  দিনই মিমাংসা

পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যা কান্ড নেই যে হত্যার পরে তার পরিবার সেই হত্যার বিচার দাবি করে নাই বা টাকার জন্য খুনের দিনই মিমাংসা হয়েছে এমন ঘটনাও মনে হয় এখনো ঘটেনি। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্যি যে এমনই এক অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শাহবাজপুর মধ্য পাড়ায়। স্ত্রীর পরোকিয়া স্বামী জেনে ফেলায় স্বামী কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্বশুরের মুখ বন্ধ করে দেয় পুত্র বধু।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার(২২) বাবার বাড়ি হত্যা করা হয় স্বামী নাহিদ মিয়া (২৮) কে।

অনুসন্ধানে জানা যায় স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামে বাড়িতে থাকে, এই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। স্বামী নাহিদ মিয়া স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে শ্বশুর বাড়ি আসে। ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার জগড়া হয়। রাত দুইটার দিকে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য স্ত্রী নয়ন তারা ও তার বড় ভাই রাব্বি মিলে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

এই হত্যা কান্ডে আত্ম হত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্ত্রী শ্বশুর কে, শাহবাজপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর কে ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহাঙ্গীর এবং এস আই মুজিবুর কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে ওই দিনই।

অনুসন্ধানে জানা যায়  হত্যা কান্ডের পর স্ত্রী নয়ন তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে কখনো আত্মাহত্যা, বুকে ব্যাথা, স্টোক করে মারা গেছে বলে অসম্পূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।

স্থানীয় লোকজন আমাদের প্রতিনিধীদের অভিহিত করেন যে ছেলের বাবা ও চেয়ারম্যান সাহেব মোটা অংকের টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে, এমন লোভি বাবা কোথাও আমরা দেখিনি। তার ছেলেকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে তার পুত্র বধু তাকে টাকা দিলো কেনো? এমন লোভি বাবা এবং  এই হত্যা কান্ডের কঠিন বিচার হওয়া দরকার তা না হলে আমাদের সমাজ ও আমাদের ছেলে- মেয়েরাও নষ্ট হয়ে যাবে।

আমাদের প্রতিনিধি স্ত্রী নয়ন তারার ভাইর সাথে কথা বললে তিনি টাকা আদান-প্রদানের কথা স্বীকার করেন।

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের সাথে সাক্ষাৎ করে নাহিদের লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডোম সুৃমন বলেন এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ডোম সুমন আরো বলেন আমি ২৫ বছর ধরে লাশ কাটি তাই আমরা লাশ দেখলেই বুজতে পারি কোনটা মৃত্যু কোনটা হত্যা কান্ড। হ্যা একথা সত্যি যে লাশ কাটা অবস্থায় আমরা নেশাগ্রস্ত থাকি কিন্তু এতো নেশাগ্রস্ত ছিলাম না যে নাহিদের মৃত্যু সাবাভিক নাকি হত্যাকান্ড তা বুজবো না। ডোম সুমন আরো জানান এস আই মুজিবুর সহ দুজন পুলিশ নাহিদ মিয়ার লাশ টি নিয়ে আসে।

এদিকে সরজমিনে  উভয়ের পরিবারের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা বিকল্প রাস্তায় থানায় আশ্রয় নেই। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এসআই জাহাঙ্গীর ও এসআই মুজিবুর আসামী নয়ন তারাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবংকি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর আসামি নয়ন তারা ও এসআই জাহাঙ্গীর, মুজিবুরের সাথে পোসমডাম রিপোর্ট ও সকল আলামত লোপাডের একটি মৌখিক চুক্তি হয়।

এই ব্যাপারে এসআই মুজিবুরের  কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন নাহিদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বর্ণনার রেকর্ড তাকে শুনালে এসআই মুজিবুর কাঁপা কাপা স্বরে বলেন তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছিলেন। এবং নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই। সেটার পোসমাডাম রিপোর্ট না আশা পযর্ন্ত কিছু করা যাচ্ছে না।

তখন এসআই কে প্রশ্ন করা হয় আপনারা সেখানে গেলে আপনাদের কে বিভিন্ন ভুল তথ্য দেওয়া হলো, আপনার তখনই বুজতে পারলেন এটা একটি হত্যাকান্ড  অথচ এর মামলা তো দূরের কথা আজ পযর্ন্ত একটি সাধারণ ডাইরিও হইলো না কেন?তার স্ত্রী নয়ন তারা কে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আসামি নয়নতারা পালিয়ে গেলো কিভাবে?  এর কোনো উত্তর এসআই আমাদের কে দিতে পারে নি।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা  জানান যে শফিউল্লাহ ঠাকুর টাকার বিনিময়ে সবসময় এভাবে উল্টো-পাল্টা শালিসি করে আর থানার এই এসআই জাহাঙ্গীর  টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধী খুনি মাদক মামলার আসামিদের ছেড়ে দেয়।কিছু অসাধু পুলিশের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন সেটার বদনাম হচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা দরকার।তা নাহলে আমাদের নেত্রীর সকল অর্জন এরা মাটি করে দিবে। এরপর

আমাদের প্রতিনিধি জেলার   এসপি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এসপি সব শোনার পর বললেন সদর থানার ওসি’র সাথে এই ব্যাপারটি কথা বলেন  তারপর আমাদের প্রতিনিধি যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি সাথে কথা বললে ওসি জানায় আসলেই মামলার বাদী হবে কে ?

এবং মেডিকেল ফাইনাল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা  কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবো না!

আমাদের অনুসন্ধানে চোখ রাখুন

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

টাকার বিনিময়ে প্রশাসন চুপ হত্যা হয় অপমৃত্যু মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া 

আপডেট টাইম : ০৮:২০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্টার।।

একটা প্রবাদ আছে যে টাকা দিয়ে বাঘের চৌখও কিনা যায়, বাঘের চৌখ কিনা যাক আর না যাক টাকা দিয়া যে পুলিশ প্রশাসন কিনা যে এটা কিন্তু সব জাগাতেই এখন দৃশ্যমান। কিছু অসাধু পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধ গুলো ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে। টাকার বিনিময় হত্যাকান্ড কে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া এখন তাদের রুটিনে পরিনত হয়েছে। তেমনি এক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়ার শেরপুরে।

স্ত্রী নয়নতারার পরোকিয়া স্বামী নাহিদ মিয়া জেনে ফেলায় স্বামী কে গত শে ডিসেম্বর রাতে  শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করা হয়।

স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামের বাড়ি তে বসবাস করে সেই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় ঝড়িয়ে পরে।স্বামী নাহিদ মিয়া গ্রামে আসলে গত ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার ঝগড়া হয়। স্ত্রী নয়নতারা তার পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য রাত আনুমানিক ১২ঃ৩০ মিনিটে নয়নতারা, নয়নতারার বড় ভাই বাপ্পি ও তার মা মিলে স্বামী নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ৩১ শে ডিসেম্বর লাশটি কে দাপন করে ওইদিনই ছেলের পরিবার কে চুপ রাখার জন্য ছেলের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়াকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে। এটার মধ্যাস্ততা করেন দেওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ও সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর। আর এই টাকাটা আদান-প্রদান হয় সরাইল উপজেলা পরিষদে বসে।যেখানে উপস্থিত ছিলো খুনি নয়নতারা,বাপ্পি, নয়নতারার মা,নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া, নাহিদের চাচাতো ভাই, দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ও সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর এবং ব্রাহ্মণ্যরাড়িয়া পুলিশ ফাড়ির এসআই মুজিবুর।

এদিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসআই মুজিবুর ও ওসি জাহাঙ্গীর এই হত্যা টিকে একটি অপমৃত্যু মামলা করে সুশাসন কে বৃদ্ধা আঙুল প্রদর্শন করে খুনিদের কে বাচিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সাক্ষাৎ করলে তারা যে বক্তব্য প্রদান করেন তা নিম্ন দেওয়া হলো-

অভিযুক্ত নয়নতারার বড় ভাই বাপ্পির বক্তব্য =

নাহিদ মিয়া নয়নতারার সাথে আমাদের শের পাড়ার বাড়িতেই  ছিলো। রাত ১২ টার দিকে সিকেরেট খেতে যায়, সিকেরেট খেয়ে এসে শুইলে শুয়া অবস্থায় স্টোক করে মারা যায়। আর এটা মিমাংসা করে দিয়েছে সাইফুল্লাহ ঠাকুর আমরা ছেলের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করি। আমাদের প্রতিনিধি টাকা প্রদানের কারন জানতে চাইলে বাপ্পি জানায় যে যাতে কোনো মামলা না হয় সেজন্যে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত নয়নতারার মায়ের বক্তব্যঃ-নাহিদ নিজের জীবনের উপর রাগ ছিলো এবং ওই দিন নয়নতারার সাথে এটা নিয়ে কথাও বলছিলো আর রাতে নাহিদ আত্মহত্যা করে। আমরা নাহিদ কে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই এবং রশি কেটে নিচে নামাই।

আমাদের প্রতিনিধি তার কাছে টাকার বিষয় টি জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে টাকা গুলো দিয়েছে যাতে কোন জামেলা না হয়।

এখানে মা ছেলের বক্তব্য দুই রকম হলো ছেলে বাপ্পি বললো নাহিদ স্টোক করেছে আর মা বললো নাহিদ আত্মহত্যা করেছে এবং তারাই নাহিদের লাশ টি  রশি কেটে নিচে নামিয়েছেন।

প্রশ্ন হলো দুজনের দু রকম বক্তব্য কেনো? আর নাহিদ যদি ফাশি দিয়ে আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে পুলিশ ছাড়া ঝুলন্ত লাশ তারা কেনো নামালেন?

মৃত নাহিদের বাবার বক্তব্যঃ-

নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া আমাদের প্রতিনিধি কে বলে নাহিদ আমার ছেলে ছিলো তাই আমার মিমাংসা আমি করেছি। নাহিদের চাচাতো ভাই বলেন যে আমাদের মিমাংসা হয়েগেছে। চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর আমাদের মিমাংসা করে দিছেন।

নাহিদ কি আত্মহত্যা করেছে নাকি নাহিদ কে হত্যা করা হয়েছে এই প্রশ্ন করলে তার কোনো উত্তর তারা দেননি।

এখানে প্রশ্ন হলো একজন পিতা কেনো তার ছেলে হত্যার স্বীকার হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে তার তদন্ত,  বিচার না চেয়ে ওই দিনই মিমাংসীত হয়ে যাবেন?

ডোম সুমনের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের কাছে নাহিদের লাশটি হত্যার নাকি আত্মহত্যার জানতে চাইলে ডোম সুমন বলেন আমি ২৫ বছর যাবৎ লাশ কাটি তাই লাশ দেখলেই বুঝতে পারি যে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা। নাহিদ কে হত্যা করা হয়েছিলো।নাহিদের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নাহিদের লাশ টি এসআই মুজিবুর আমাদের কাছে নিয়ে আসে।

আরো পুরানো সংবাদ।

এস আই মুজিবুরের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়ার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুরের সাথে যোগাযোগ করলে এসআই মুজিবুর বলেন নাহিদের ব্যাপারে  আমি কিছুই জানি না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বক্তব্যের রেকর্ড থাকে শুনালে এসআই মুজিবুর তখন বলেন যে ওসি জাহাঙ্গীর স্যারের নেতৃত্বে তার সহকারী হিসাবে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। আমরা নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই এবং ওরনা, দাও আলামত হিসাবে জব্দ করি।

এসআই করতলে যে ছিলেন  জাহাঙ্গীরের বক্তব্যঃ

এস আই  জাহাঙ্গীর আমাদের প্রতিনিধিদের বলেন আমি খবর শুনে হসপিটালে যাই এবং লাশের সুরাতাল করি।আর এসআই মুজিবুর ঘটনাস্থল  থেকে লাশটি হসপিটালে নেয় ও আলামত সংগ্রহ করে।  এস আই জাহাঙ্গীরের কাছে মামলার ব্যাপারে জানতে  চাওয়া তিনি বলেন এখনো কোনো মামলা হয়নি। পরবর্তীতে আবার ওসি জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ওসির কাছে জানতে চাওয়া হয় কিসের ভিত্তিতে এটা কে অপমৃত্যু মামলা দিলেন এখনো তো পোসমাডাম রিপোর্ট আসেনি,আর আপনারা তো লাশটি ঝুলন্ত পাননি? আর যদি নাহিদ ফাঁশি দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে পুলিশ ছাড়া এই লাশটি কারা নামালো? বা পুলিশ ছাড়া কেউ নামাতে পারে নাকি? এস আই  এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি। তিনি বলেন এগুলো এসআই মুজিবুর জানেন কারণ তিনিই ওখানে গিয়েছিলেন।

এখানে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য দুই রকম ও অসম্পূর্ণ। এসআই মুজিবুর প্রথমত নাহিদের ব্যাপরাটা অস্বীকার করে, প্রশ্ন হলো তিনি কেনো অস্বীকার করলেন?  এসআই ওসির উপর ওসি এসআই র উপর দায়িত্ব ছারছেন কেন? লাশটি তারা ঝুলন্ত না পেয়ে কাউকে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আর পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কিসের ভিত্তিতে এটা অপমৃত্যুর মামলা হলো।দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের বক্তব্যঃ

আমাদের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি রাজি না হলে মুটো ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন নাহিদ মিয়া ৩০শে ডিসেম্বর রাতে শের পাড়া শ্বশুর বাড়ি আত্মহত্যা করে। নাহিদের বাড়ি আমার এলাকায়।  নাহিদের একটি ছোটো ছেলে আছে ওই ছেলেটির কথা চিন্তা করে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর মিমাংসা করে দেই।

আমাদের প্রতিনিধির কাছে টাকা লেনদেনের বিষয় টি শুরুতে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন যে শিশু ছেলেটার কথা চিন্তা করে নয়নতারার পরিবার নাহিদের বাবাকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে।

এখানে প্রশ্ন হলো স্বামী যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে স্ত্রী কেনো তার শ্বশুর কে ৩ লক্ষ দিবে? নাকি শ্বশুর তার পুত্র বধু কে বরণ পোষনের খরচ দিবে? কি এমন ঘটনা নাহিদের সাথে ঘঠেছিলো যা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তরিগরি করে টাকা দিয়ে মিমাংসা হলো।

সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের বক্তব্যঃ-

আমাদের প্রতিনিধি সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে হ্যা নাহিদ মিয়া নামে একটি ছেলে মারা গিয়েছিল এবং তারা উভয় পরিবার মিমাংসা হয়েছে। আর আমাকে স্বাক্ষী রেখে আমার অফিসে বসে স্ত্রী নয়নতারা নাহিদ মিয়ার বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে।

চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর কে প্রশ্ন করা হয় এই টাকাটা কেন ছেলের বাবা কে দেওয়া হলো আমরা জানি স্বামী মারা গেলে ছেলের পরিবার তার স্ত্রী সন্তানের খরচ বহন এখানে তো তার ওল্টটা দেখছি কারন কি?  তাহল কি স্ত্রী স্বামী কে হত্যা করে টাকা দিয়ে মিমাংসা করে ফেললো এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর বলেন বিষয় টি আমারও সন্দেহ হয়ছে তবে দেওরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর ব্রাহ্মণবাড়িয়াই সব কিছু ঠিক করে, সব মেনেজ করে আমার অফিসে বসে শুধু আমাকে সামনে রেখে টাকা গুলো দিয়েছে।

চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুরের কাছে পুলিশের ভুমিকা নিয়া প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তারাও টাকার বিনিময়ে এমনটা করেছে তবে এটার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

এখানে চেয়ারম্যানের বক্তব্যে একটি বিষয় পরিস্কার আর তাহলো নয়নতারা নাহিদ মিয়ার বাবাকে চুপ রাখার জন্য সাইফুল্লাহ ঠাকুরের মাধ্যমে প্রশাসন সহ সব জাগায় টাকা ঠেলেছেন। কিন্তু কেনো? মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফের বক্তব্যঃ-অনেক বার চেষ্টার পর আমাদের প্রতিনিধি পোসমাডাম রিপোর্ট প্রদান কারী ডাঃ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করতে সক্ষম  হয়। ডাঃ শরিফ কে প্রশ্ন করা হয় যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কোন মামলা করা যায় কিনা? আর নাহিদের পোসমাডাম রিপোর্ট তো আপনি এখনো দেননি তাহলে নাহিদের এটা অপমৃত্যু মামলা হলো কিভাবে? ডাঃ শরিফ উত্তরে বলেন যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারা কোন মামলা হয় না আর নাহিদের পোসমাডাম রিপোর্ট এখনো দেইনি কিন্তু পুলিশ কিভাবে এটা অপমৃত্যু মামলা নিলো এটা তারা বলতে পারবে।

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেলো যে পোসমাডাম রিপোর্ট ছারাই অপমৃত্যু মামলা নিলো পুলিশ তাহলে কি পুলিশ টাকা খেয়ে হত্যাকান্ডকে অপমৃত্যু বলে খুনিদের কে বাচিয়ে দিলেন?

আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায় যে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। নাহিদের পরিবারকে চুপ রাখার জন্য নাহিদের বাবা হাবিবুল্লাহ মিয়া কে ৩ লক্ষ দেওয়া হয়েছে। আর আইনের হাত থেকে বাচার জন্য এসআই মুজিবুর ও  এসআই জাহাঙ্গীর কে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে,বিনিময়ে পুলিশ  হত্যাকান্ড কে অপমৃত্যুর মামলা করে আসামীদের বাচিয়ে দিয়েছে। আর এগুলো পুরোটাই ম্যানেজ করেছে নয়নতারা ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে নয়নতারা ও নাহিদের সালিসি দেওরার সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুর  আরো কয়েক বার করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় নাহিদের ঢাকা থাকার সুবাদে নয়নতারার বাড়িতে সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের প্রায় যাতায়াত ছিলো। তাহলে প্রশ্ন হলো সাইফুল্লাহ ঠাকুর নয়নতারা কে বাচানোর জন্য নিজে দায়িত্ব নিয়ে সব ম্যানেজ করলো আবার নয়নতারার বাসায় পূর্বে যাতায়াত ছিলো কিন্তুু কেনো?  তাহলে কি নয়নতারার কথিত প্রেমিক এই সাইফুল্লাহ ঠাকুরই?

অনুসন্ধানে জানা যায় নয়নতারারা অনেক সম্পদের মালিক, বিশাল ধনাঢ্যবান হওয়াতে এই হত্যাকান্ড কে টাকা ছিটিয়ে ধামাচাপা দিতে কোনো সমস্যাই হয়নি, প্রয়োজনে তারা আরো টাকা ছিটাবে।

আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে একটি বিষয় নজরে আসে তা হলো বাপ্পির বর্ণনা মতে নাহিদ যেটার সাথে ফাসি দিয়েছে সেটার উচ্চতা মেঝো থেকে প্রায় ২০-২২ ফুট এতো উচুতে নাহিদ ওঠলো কিভাবে যেখানে ঘরে কোন চেয়ার,ডেবিল কিছুই ছিলো না, অথচ কিছুর সাহায্য ছারা ওখানে ওঠা যায় না। আর পুলিশও ওড়না আর দাও ছাড়া তো কিছুই আলামত জব্দ করেনি।

স্থানীয় লোকজনরা জানায় নাহিদ আত্মহত্যা করেছে নাকি নাহিদ কে হত্যা করাছে এটা নিয়ে সমাজে খুব কানাখোছা চলছে এবং তার বাবা নাকি অনেক টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে। আমরা এর বিচার চাই তা না হলে সমাজে এই ধরনের অপরাধ বেড়ে যাবে।

স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানান যে বর্তমানে সমাজের অবস্থা এই যে টাকা হলে সবই করা সম্ভব। এই সাইফুল্লাহ ঠাকুর, রফিক ঠাকুর এরা টাকা খেয়ে অনেক উল্টাপাল্টা বিচার করে থাকে। এর পর এস আই মুজিবুর ও এসআই জাহাঙ্গীর সাহেবরা টাকার বিনিময়ে আরো অনেক বড় বড় অপরাধী ছেড়ে দেয়, মাদকের আসামি,ধর্ষণের আসামী, ম্যাডারের আসামীও টাকা খেয়ে ছেড়ে দেয়। এখানে অনেকেই প্রশাসন কে টাকা দিয়ে বড় বড় অপরাধ সহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।এখনই এই ধরণের পুলিশদের লাগাম টেনে ধরা দরকার, এদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার এরা আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কে মলিন করে দিচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুশাসন কে কলুষিত করছে।আমরা এদের বিচার চাই।

এদিকে আমাদের প্রতিনিধিরা সরজমিনে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে দেওরার সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ ঠাকুরের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধি রা বিকল্প রাস্তায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

পুরাতন আরো খবর:

পুত্র বধু -শ্বশুরের কারিশমা খুনের  দিনই মিমাংসা

পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যা কান্ড নেই যে হত্যার পরে তার পরিবার সেই হত্যার বিচার দাবি করে নাই বা টাকার জন্য খুনের দিনই মিমাংসা হয়েছে এমন ঘটনাও মনে হয় এখনো ঘটেনি। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্যি যে এমনই এক অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শাহবাজপুর মধ্য পাড়ায়। স্ত্রীর পরোকিয়া স্বামী জেনে ফেলায় স্বামী কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্বশুরের মুখ বন্ধ করে দেয় পুত্র বধু।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার(২২) বাবার বাড়ি হত্যা করা হয় স্বামী নাহিদ মিয়া (২৮) কে।

অনুসন্ধানে জানা যায় স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামে বাড়িতে থাকে, এই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। স্বামী নাহিদ মিয়া স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে শ্বশুর বাড়ি আসে। ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার জগড়া হয়। রাত দুইটার দিকে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য স্ত্রী নয়ন তারা ও তার বড় ভাই রাব্বি মিলে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

এই হত্যা কান্ডে আত্ম হত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্ত্রী শ্বশুর কে, শাহবাজপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর কে ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহাঙ্গীর এবং এস আই মুজিবুর কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে ওই দিনই।

অনুসন্ধানে জানা যায়  হত্যা কান্ডের পর স্ত্রী নয়ন তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে কখনো আত্মাহত্যা, বুকে ব্যাথা, স্টোক করে মারা গেছে বলে অসম্পূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।

স্থানীয় লোকজন আমাদের প্রতিনিধীদের অভিহিত করেন যে ছেলের বাবা ও চেয়ারম্যান সাহেব মোটা অংকের টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে, এমন লোভি বাবা কোথাও আমরা দেখিনি। তার ছেলেকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে তার পুত্র বধু তাকে টাকা দিলো কেনো? এমন লোভি বাবা এবং  এই হত্যা কান্ডের কঠিন বিচার হওয়া দরকার তা না হলে আমাদের সমাজ ও আমাদের ছেলে- মেয়েরাও নষ্ট হয়ে যাবে।

আমাদের প্রতিনিধি স্ত্রী নয়ন তারার ভাইর সাথে কথা বললে তিনি টাকা আদান-প্রদানের কথা স্বীকার করেন।

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের সাথে সাক্ষাৎ করে নাহিদের লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডোম সুৃমন বলেন এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ডোম সুমন আরো বলেন আমি ২৫ বছর ধরে লাশ কাটি তাই আমরা লাশ দেখলেই বুজতে পারি কোনটা মৃত্যু কোনটা হত্যা কান্ড। হ্যা একথা সত্যি যে লাশ কাটা অবস্থায় আমরা নেশাগ্রস্ত থাকি কিন্তু এতো নেশাগ্রস্ত ছিলাম না যে নাহিদের মৃত্যু সাবাভিক নাকি হত্যাকান্ড তা বুজবো না। ডোম সুমন আরো জানান এস আই মুজিবুর সহ দুজন পুলিশ নাহিদ মিয়ার লাশ টি নিয়ে আসে।

এদিকে সরজমিনে  উভয়ের পরিবারের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা বিকল্প রাস্তায় থানায় আশ্রয় নেই। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এসআই জাহাঙ্গীর ও এসআই মুজিবুর আসামী নয়ন তারাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবংকি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর আসামি নয়ন তারা ও এসআই জাহাঙ্গীর, মুজিবুরের সাথে পোসমডাম রিপোর্ট ও সকল আলামত লোপাডের একটি মৌখিক চুক্তি হয়।

এই ব্যাপারে এসআই মুজিবুরের  কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন নাহিদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বর্ণনার রেকর্ড তাকে শুনালে এসআই মুজিবুর কাঁপা কাপা স্বরে বলেন তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছিলেন। এবং নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই। সেটার পোসমাডাম রিপোর্ট না আশা পযর্ন্ত কিছু করা যাচ্ছে না।

তখন এসআই কে প্রশ্ন করা হয় আপনারা সেখানে গেলে আপনাদের কে বিভিন্ন ভুল তথ্য দেওয়া হলো, আপনার তখনই বুজতে পারলেন এটা একটি হত্যাকান্ড  অথচ এর মামলা তো দূরের কথা আজ পযর্ন্ত একটি সাধারণ ডাইরিও হইলো না কেন?তার স্ত্রী নয়ন তারা কে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আসামি নয়নতারা পালিয়ে গেলো কিভাবে?  এর কোনো উত্তর এসআই আমাদের কে দিতে পারে নি।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা  জানান যে শফিউল্লাহ ঠাকুর টাকার বিনিময়ে সবসময় এভাবে উল্টো-পাল্টা শালিসি করে আর থানার এই এসআই জাহাঙ্গীর  টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধী খুনি মাদক মামলার আসামিদের ছেড়ে দেয়।কিছু অসাধু পুলিশের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন সেটার বদনাম হচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা দরকার।তা নাহলে আমাদের নেত্রীর সকল অর্জন এরা মাটি করে দিবে। এরপর

আমাদের প্রতিনিধি জেলার   এসপি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এসপি সব শোনার পর বললেন সদর থানার ওসি’র সাথে এই ব্যাপারটি কথা বলেন  তারপর আমাদের প্রতিনিধি যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি সাথে কথা বললে ওসি জানায় আসলেই মামলার বাদী হবে কে ?

এবং মেডিকেল ফাইনাল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা  কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবো না!

আমাদের অনুসন্ধানে চোখ রাখুন