ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

সংস্কৃতি আর বিনোদনের প্রান কেন্দ্র আজ ময়লার ভাগাড়ে পরিনত, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • / ১৭৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এলাকার জ্ঞান পিপাসু ও সংস্কৃতি প্রেমীদের এক সময় খোরাক যোগাতো উপজেলার একমাত্র সংস্কৃতি ও বিনোদনের স্থান আজমিরীগঞ্জ গরুর হাট সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ‘র প্রচেষ্টায় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান লাইব্রেরিটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বই ও পত্রিকা পড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হতো

এই লাইব্রেরিতে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এক সময়ের জমজমাট জায়গাটা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
জরাজীর্ণ অবস্থা আর ময়লার স্তুপ নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আজ যেনো নিষ্প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবী এই লাইব্রেরিটি যেনো আবারও চালু করা হয় যার ফলে এলাকার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পাবে । পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই লাইব্রেরীর সামনে আসলে পুরোনো দিনের কথা মনে পরে যায়। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম এই লাইব্রেরিতে, এমনকি কয়েকটি নাটকও মঞ্চস্ত করেছি। নজরুল ইসলাম আরও বলেন ২০০৭ সালে সীডরে চালার টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি লাইব্রেরিটি, তাই আজ এই অবস্থা হয়েছে। শরিফ নগর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার এখনো মনে পরে ১৯৮৬ সালে এই লাইব্রেরী হলে ” জয় কলস ” নামক একটি নাটক মঞ্চস্ত হয়েছিল। তাছাড়া আমি সহ আমাদের একটি টিম অংশ নিয়েছিলাম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যার বিষয় ছিলো ” নারীদের ভোটাধিকার থাকা উচিৎ ” আমরা এই বিষয়ের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করি, তখন আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। তাছাড়া অনেক আচার অনুষ্ঠান হতো এখানে। তিনি আরও বলেন এখন আগের মতো আর নাটক, গান, আড্ডা হয় না, উপযুক্ত জায়গা ও পরিবেশ নেই বলে হারিয়ে যাচ্ছে লোক সংস্কৃতি। প্রধান শিক্ষক বলেন এই লাইব্রেরীটি পুনরায় স্বচল হওয়া খুবই প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজারুন্নেছা বলেন, এই লাইব্রেরীতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সহ আরও বিভিন্ন কর্মশালা হতো। রচনা লিখন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার লুপি, তারা বলেন আমাদের দাবী এই লাইব্রেরীটি যেনো পুনরায় চালু করা হয়। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের ডাকের কথা হয়, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি যেনো এটাকে পুনঃ সংস্কার করা যায়। তিনি আরও বলেন আমি এবং ইউএনও স্যার আমাদের জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই লাইব্রেরীটি পুনরায় চালু করার জন্য। লাইব্রেরিটি আবারও চালু হবে, গান, কবিতা, নাটক, খেলাদুলা, বই ও পত্রিকা পাঠ ইত্যাদি হবে, আবারও যৌবন দীপ্ত প্রাণ ফিরে পাবে এমই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কৃতি আর বিনোদনের প্রান কেন্দ্র আজ ময়লার ভাগাড়ে পরিনত, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

আপডেট টাইম : ০৮:০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এলাকার জ্ঞান পিপাসু ও সংস্কৃতি প্রেমীদের এক সময় খোরাক যোগাতো উপজেলার একমাত্র সংস্কৃতি ও বিনোদনের স্থান আজমিরীগঞ্জ গরুর হাট সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ‘র প্রচেষ্টায় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান লাইব্রেরিটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বই ও পত্রিকা পড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হতো

এই লাইব্রেরিতে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এক সময়ের জমজমাট জায়গাটা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
জরাজীর্ণ অবস্থা আর ময়লার স্তুপ নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আজ যেনো নিষ্প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবী এই লাইব্রেরিটি যেনো আবারও চালু করা হয় যার ফলে এলাকার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পাবে । পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই লাইব্রেরীর সামনে আসলে পুরোনো দিনের কথা মনে পরে যায়। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম এই লাইব্রেরিতে, এমনকি কয়েকটি নাটকও মঞ্চস্ত করেছি। নজরুল ইসলাম আরও বলেন ২০০৭ সালে সীডরে চালার টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি লাইব্রেরিটি, তাই আজ এই অবস্থা হয়েছে। শরিফ নগর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার এখনো মনে পরে ১৯৮৬ সালে এই লাইব্রেরী হলে ” জয় কলস ” নামক একটি নাটক মঞ্চস্ত হয়েছিল। তাছাড়া আমি সহ আমাদের একটি টিম অংশ নিয়েছিলাম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যার বিষয় ছিলো ” নারীদের ভোটাধিকার থাকা উচিৎ ” আমরা এই বিষয়ের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করি, তখন আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। তাছাড়া অনেক আচার অনুষ্ঠান হতো এখানে। তিনি আরও বলেন এখন আগের মতো আর নাটক, গান, আড্ডা হয় না, উপযুক্ত জায়গা ও পরিবেশ নেই বলে হারিয়ে যাচ্ছে লোক সংস্কৃতি। প্রধান শিক্ষক বলেন এই লাইব্রেরীটি পুনরায় স্বচল হওয়া খুবই প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজারুন্নেছা বলেন, এই লাইব্রেরীতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সহ আরও বিভিন্ন কর্মশালা হতো। রচনা লিখন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার লুপি, তারা বলেন আমাদের দাবী এই লাইব্রেরীটি যেনো পুনরায় চালু করা হয়। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের ডাকের কথা হয়, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি যেনো এটাকে পুনঃ সংস্কার করা যায়। তিনি আরও বলেন আমি এবং ইউএনও স্যার আমাদের জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই লাইব্রেরীটি পুনরায় চালু করার জন্য। লাইব্রেরিটি আবারও চালু হবে, গান, কবিতা, নাটক, খেলাদুলা, বই ও পত্রিকা পাঠ ইত্যাদি হবে, আবারও যৌবন দীপ্ত প্রাণ ফিরে পাবে এমই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।