ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন চট্টগ্রামে ১১৫ তম জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ।। বলি খেলা এক ধরনের কুস্তি খেলা যে খেলায় অনেক কুস্তি অংশগ্রহণ করেন জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্ভাবনার নতুন দুয়ার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া আখানগর ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টির জন্য চোখের পানি ফেলে দোয়া গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

সংস্কৃতি আর বিনোদনের প্রান কেন্দ্র আজ ময়লার ভাগাড়ে পরিনত, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এলাকার জ্ঞান পিপাসু ও সংস্কৃতি প্রেমীদের এক সময় খোরাক যোগাতো উপজেলার একমাত্র সংস্কৃতি ও বিনোদনের স্থান আজমিরীগঞ্জ গরুর হাট সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ‘র প্রচেষ্টায় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান লাইব্রেরিটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বই ও পত্রিকা পড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হতো

এই লাইব্রেরিতে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এক সময়ের জমজমাট জায়গাটা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
জরাজীর্ণ অবস্থা আর ময়লার স্তুপ নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আজ যেনো নিষ্প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবী এই লাইব্রেরিটি যেনো আবারও চালু করা হয় যার ফলে এলাকার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পাবে । পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই লাইব্রেরীর সামনে আসলে পুরোনো দিনের কথা মনে পরে যায়। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম এই লাইব্রেরিতে, এমনকি কয়েকটি নাটকও মঞ্চস্ত করেছি। নজরুল ইসলাম আরও বলেন ২০০৭ সালে সীডরে চালার টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি লাইব্রেরিটি, তাই আজ এই অবস্থা হয়েছে। শরিফ নগর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার এখনো মনে পরে ১৯৮৬ সালে এই লাইব্রেরী হলে ” জয় কলস ” নামক একটি নাটক মঞ্চস্ত হয়েছিল। তাছাড়া আমি সহ আমাদের একটি টিম অংশ নিয়েছিলাম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যার বিষয় ছিলো ” নারীদের ভোটাধিকার থাকা উচিৎ ” আমরা এই বিষয়ের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করি, তখন আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। তাছাড়া অনেক আচার অনুষ্ঠান হতো এখানে। তিনি আরও বলেন এখন আগের মতো আর নাটক, গান, আড্ডা হয় না, উপযুক্ত জায়গা ও পরিবেশ নেই বলে হারিয়ে যাচ্ছে লোক সংস্কৃতি। প্রধান শিক্ষক বলেন এই লাইব্রেরীটি পুনরায় স্বচল হওয়া খুবই প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজারুন্নেছা বলেন, এই লাইব্রেরীতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সহ আরও বিভিন্ন কর্মশালা হতো। রচনা লিখন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার লুপি, তারা বলেন আমাদের দাবী এই লাইব্রেরীটি যেনো পুনরায় চালু করা হয়। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের ডাকের কথা হয়, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি যেনো এটাকে পুনঃ সংস্কার করা যায়। তিনি আরও বলেন আমি এবং ইউএনও স্যার আমাদের জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই লাইব্রেরীটি পুনরায় চালু করার জন্য। লাইব্রেরিটি আবারও চালু হবে, গান, কবিতা, নাটক, খেলাদুলা, বই ও পত্রিকা পাঠ ইত্যাদি হবে, আবারও যৌবন দীপ্ত প্রাণ ফিরে পাবে এমই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সংস্কৃতি আর বিনোদনের প্রান কেন্দ্র আজ ময়লার ভাগাড়ে পরিনত, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

আপডেট টাইম : ০৮:০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এলাকার জ্ঞান পিপাসু ও সংস্কৃতি প্রেমীদের এক সময় খোরাক যোগাতো উপজেলার একমাত্র সংস্কৃতি ও বিনোদনের স্থান আজমিরীগঞ্জ গরুর হাট সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ‘র প্রচেষ্টায় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান লাইব্রেরিটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বই ও পত্রিকা পড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হতো

এই লাইব্রেরিতে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এক সময়ের জমজমাট জায়গাটা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
জরাজীর্ণ অবস্থা আর ময়লার স্তুপ নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আজ যেনো নিষ্প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবী এই লাইব্রেরিটি যেনো আবারও চালু করা হয় যার ফলে এলাকার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পাবে । পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই লাইব্রেরীর সামনে আসলে পুরোনো দিনের কথা মনে পরে যায়। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম এই লাইব্রেরিতে, এমনকি কয়েকটি নাটকও মঞ্চস্ত করেছি। নজরুল ইসলাম আরও বলেন ২০০৭ সালে সীডরে চালার টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আর সংস্কার করা হয়নি লাইব্রেরিটি, তাই আজ এই অবস্থা হয়েছে। শরিফ নগর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার এখনো মনে পরে ১৯৮৬ সালে এই লাইব্রেরী হলে ” জয় কলস ” নামক একটি নাটক মঞ্চস্ত হয়েছিল। তাছাড়া আমি সহ আমাদের একটি টিম অংশ নিয়েছিলাম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যার বিষয় ছিলো ” নারীদের ভোটাধিকার থাকা উচিৎ ” আমরা এই বিষয়ের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করি, তখন আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। তাছাড়া অনেক আচার অনুষ্ঠান হতো এখানে। তিনি আরও বলেন এখন আগের মতো আর নাটক, গান, আড্ডা হয় না, উপযুক্ত জায়গা ও পরিবেশ নেই বলে হারিয়ে যাচ্ছে লোক সংস্কৃতি। প্রধান শিক্ষক বলেন এই লাইব্রেরীটি পুনরায় স্বচল হওয়া খুবই প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজারুন্নেছা বলেন, এই লাইব্রেরীতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সহ আরও বিভিন্ন কর্মশালা হতো। রচনা লিখন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার লুপি, তারা বলেন আমাদের দাবী এই লাইব্রেরীটি যেনো পুনরায় চালু করা হয়। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের ডাকের কথা হয়, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি যেনো এটাকে পুনঃ সংস্কার করা যায়। তিনি আরও বলেন আমি এবং ইউএনও স্যার আমাদের জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই লাইব্রেরীটি পুনরায় চালু করার জন্য। লাইব্রেরিটি আবারও চালু হবে, গান, কবিতা, নাটক, খেলাদুলা, বই ও পত্রিকা পাঠ ইত্যাদি হবে, আবারও যৌবন দীপ্ত প্রাণ ফিরে পাবে এমই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।