নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলা সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দিগরাজ বাজারে ঝাড়ু নিয়ে মানববন্ধন
- আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
- / ১০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোংলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান নারী নেতৃত্ব হারাম বলে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শত শত নারীরা। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ২নং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন নারী সমাজের আয়োজনে দিগরাজ বাজারে ঝাড়ু নিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ ধরনের বক্তব্যের জন্য মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ চেয়ে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।তাকে গ্রেফতার করা না হলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন নারীরা।
জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের প্রচারণায় অংশ নিয়ে এক পথসভায় এই বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার। সে সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। জনমনে কোনও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। নারীরা সমাজনীতি ও রাজনীতির কী বোঝেন?’
এর প্রতিবাদে রবিবার নারীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সুজাতা দাস, মোংলা পৌর যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা স্থুতি সরকার, মহিলা আওয়ামীলীগের সম্পাদিকা কবিতা রায়,মিদুকা বাছাড়, ৭,৮,৯ এর সদস্য মরিয়ম বেগম,পারুল আক্তার,রাসমনি বালা, লিপি সরকার,আসমা হোসেন, তাপসী হালদারসহ অন্যান্য নারীবৃন্দরা। এ ছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ আলহাজ্ব মোঃ নাসির হাওলাদার, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু অর্ধেন্দু শেখর বিশ্বাস, দিগরাজ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্বাস জোমাদ্দার, দিগরাজ বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জি এস টনি, যুবলীগ নেতা সোবহানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে পুরো নারী সমাজকে অপমান ও অসম্মান করেছেন। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, স্পিকার একজন নারী। এ ছাড়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারীরা রয়েছেন। বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া ইকরাম ইজারাদার নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ধরনের বক্তব্যের কারণে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান নারীরা।