ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে দলিল জালিয়াতি করে নামজারি করতে এসে একজন গ্রেফতার রায়পুরের টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭ ছাত্রী ভৈরবে পৌর আওয়ামীলীগ কর্মী তপন গ্রেফতার রায়পুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু চট্টগ্রাম টেস্ট চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল নুরের জনসভার জন্য পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন মিরপুরে বিক্ষোভরত গার্মেন্টসকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সংঘাত মসজিদ এবং মসজিদের ইমাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে : মাওলানা রুহুল আমিন সেই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুলকে আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে নারীদের কথা যেন শুনতে না পারেন অন্য নারীরা’, আফগানিস্তানে নতুন নিষেধাজ্ঞা

খোয়াঁ গেছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তন্ময় জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা

ওমর ফারুক
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  • / ৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাস যোগে মোংলা থেকে খুলনায় যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা মূল্যের সোনা খুঁইয়েছেন মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়ের জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের কর্মচারী মাহি মোল্লা (৫০)। এ সময় সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে এ কর্মচারী। পরে খবর পেয়ে জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্র খুলনার রূপসা এলাকায় বাস থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কর্মচারী মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ার শিপসা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মাহির জ্ঞান ফেরেনি।

জুয়েলার্স মালিক ও অন্যান্য সূত্র জানায়, মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের মালিক তরুণ চন্দ্র মেশিনে গহনা তৈরীর জন্য তার কর্মচারী মাহি মোল্লাকে বুধবার দুপুরের পর ১১ ভরি ৪ আনা পাকা সোনা দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠায়। এরপর মাহি দিগরাজ থেকে রূপসাগামি বাস ওঠে। পরে রূপসা ষ্ট্যান্ডে গাড়ি গেলে বাসের ষ্টাফরা মাহিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মোবাইলে মালিক তরুণ চন্দ্রকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মালিক রুপসায় গিয়ে মাহিকে গাড়ির মধ্যে অচেতন ও তার প্যান্টের টিকেট পকেট ও গায়ে জ্যাকেটের ভিতরের পকেট কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে কর্মচারী মাহির কাছে থাকা ১১ ভরি ৪ আনা সোনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে, প্যান্ট ও জ্যাকেটের টিকেট কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কৌশলে মাহির কাছে থাকা সব সোনা নিয়ে সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে অচেতন মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎ’সকরা জানিয়েছেন, মাহির জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। খোঁয়া যাওয়া ওই সোনার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কর্মচারী মাহি মোল্লা সুস্থ হবার পর তার মুখে বিস্তারিত শুনে পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্রকে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খোয়াঁ গেছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তন্ময় জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

বাস যোগে মোংলা থেকে খুলনায় যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা মূল্যের সোনা খুঁইয়েছেন মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়ের জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের কর্মচারী মাহি মোল্লা (৫০)। এ সময় সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে এ কর্মচারী। পরে খবর পেয়ে জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্র খুলনার রূপসা এলাকায় বাস থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কর্মচারী মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ার শিপসা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মাহির জ্ঞান ফেরেনি।

জুয়েলার্স মালিক ও অন্যান্য সূত্র জানায়, মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের মালিক তরুণ চন্দ্র মেশিনে গহনা তৈরীর জন্য তার কর্মচারী মাহি মোল্লাকে বুধবার দুপুরের পর ১১ ভরি ৪ আনা পাকা সোনা দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠায়। এরপর মাহি দিগরাজ থেকে রূপসাগামি বাস ওঠে। পরে রূপসা ষ্ট্যান্ডে গাড়ি গেলে বাসের ষ্টাফরা মাহিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মোবাইলে মালিক তরুণ চন্দ্রকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মালিক রুপসায় গিয়ে মাহিকে গাড়ির মধ্যে অচেতন ও তার প্যান্টের টিকেট পকেট ও গায়ে জ্যাকেটের ভিতরের পকেট কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে কর্মচারী মাহির কাছে থাকা ১১ ভরি ৪ আনা সোনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে, প্যান্ট ও জ্যাকেটের টিকেট কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কৌশলে মাহির কাছে থাকা সব সোনা নিয়ে সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে অচেতন মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎ’সকরা জানিয়েছেন, মাহির জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। খোঁয়া যাওয়া ওই সোনার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কর্মচারী মাহি মোল্লা সুস্থ হবার পর তার মুখে বিস্তারিত শুনে পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্রকে।