ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

খোয়াঁ গেছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তন্ময় জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা

ওমর ফারুক
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাস যোগে মোংলা থেকে খুলনায় যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা মূল্যের সোনা খুঁইয়েছেন মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়ের জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের কর্মচারী মাহি মোল্লা (৫০)। এ সময় সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে এ কর্মচারী। পরে খবর পেয়ে জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্র খুলনার রূপসা এলাকায় বাস থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কর্মচারী মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ার শিপসা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মাহির জ্ঞান ফেরেনি।

জুয়েলার্স মালিক ও অন্যান্য সূত্র জানায়, মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের মালিক তরুণ চন্দ্র মেশিনে গহনা তৈরীর জন্য তার কর্মচারী মাহি মোল্লাকে বুধবার দুপুরের পর ১১ ভরি ৪ আনা পাকা সোনা দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠায়। এরপর মাহি দিগরাজ থেকে রূপসাগামি বাস ওঠে। পরে রূপসা ষ্ট্যান্ডে গাড়ি গেলে বাসের ষ্টাফরা মাহিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মোবাইলে মালিক তরুণ চন্দ্রকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মালিক রুপসায় গিয়ে মাহিকে গাড়ির মধ্যে অচেতন ও তার প্যান্টের টিকেট পকেট ও গায়ে জ্যাকেটের ভিতরের পকেট কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে কর্মচারী মাহির কাছে থাকা ১১ ভরি ৪ আনা সোনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে, প্যান্ট ও জ্যাকেটের টিকেট কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কৌশলে মাহির কাছে থাকা সব সোনা নিয়ে সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে অচেতন মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎ’সকরা জানিয়েছেন, মাহির জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। খোঁয়া যাওয়া ওই সোনার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কর্মচারী মাহি মোল্লা সুস্থ হবার পর তার মুখে বিস্তারিত শুনে পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্রকে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খোয়াঁ গেছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তন্ময় জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

বাস যোগে মোংলা থেকে খুলনায় যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা মূল্যের সোনা খুঁইয়েছেন মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়ের জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের কর্মচারী মাহি মোল্লা (৫০)। এ সময় সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে এ কর্মচারী। পরে খবর পেয়ে জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্র খুলনার রূপসা এলাকায় বাস থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কর্মচারী মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ার শিপসা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মাহির জ্ঞান ফেরেনি।

জুয়েলার্স মালিক ও অন্যান্য সূত্র জানায়, মোংলা শহরের মাদ্রাসা রোড়স্থ মেসার্স তন্ময় জুয়েলার্সের মালিক তরুণ চন্দ্র মেশিনে গহনা তৈরীর জন্য তার কর্মচারী মাহি মোল্লাকে বুধবার দুপুরের পর ১১ ভরি ৪ আনা পাকা সোনা দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠায়। এরপর মাহি দিগরাজ থেকে রূপসাগামি বাস ওঠে। পরে রূপসা ষ্ট্যান্ডে গাড়ি গেলে বাসের ষ্টাফরা মাহিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মোবাইলে মালিক তরুণ চন্দ্রকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মালিক রুপসায় গিয়ে মাহিকে গাড়ির মধ্যে অচেতন ও তার প্যান্টের টিকেট পকেট ও গায়ে জ্যাকেটের ভিতরের পকেট কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে কর্মচারী মাহির কাছে থাকা ১১ ভরি ৪ আনা সোনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে, প্যান্ট ও জ্যাকেটের টিকেট কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কৌশলে মাহির কাছে থাকা সব সোনা নিয়ে সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে অচেতন মাহিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎ’সকরা জানিয়েছেন, মাহির জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। খোঁয়া যাওয়া ওই সোনার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ১১ লাখ টাকা। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কর্মচারী মাহি মোল্লা সুস্থ হবার পর তার মুখে বিস্তারিত শুনে পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন জুয়েলার্স মালিক তরুণ চন্দ্রকে।