ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

রায়পুরে ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • / ৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর সংসদীয় আসনে ১৩ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির, তৃণমূল বিএনপির ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১২ জনই জামানত হারাচ্ছেন। গত রোববার ভোট গ্রহণ শেষে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অনেক প্রার্থী এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় ভোটার টানতে পারেননি। এসব প্রার্থীরা মোট প্রদত্ত ভোটের প্রায় ১০ শতাংশের নিচে ভোট পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া আরও ৮টি রাজনৈতিক দল এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। যদিও প্রার্থীদের অনেককেই এলাকার লোকজন চিনতো না। শুধুমাত্র তিনজন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা ছিল। ভোটের ফলাফলে ১২ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলা এবং সদরের ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪২৬ জন। মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৮৬০ টি। প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ হিসেবে প্রার্থী জামানত পেতে হলে অন্তত এক হাজার ৯০৯ ভোট পেতে হত। কিন্তু নয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে ৯ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। ফলে সংরক্ষিত নারী এ সংসদ সদস্য জামানত হারাচ্ছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু ২৩৮৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের এফএম জসিম উদ্দিন ৯০৩, বিজয়ী নয়নের সহধর্মিণী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা তরমুজ প্রতীকে ৩৪৫, জাসদের মো. আমির হোসেন মশাল প্রতীকে ২৩৯, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩২০, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন একতারা প্রতীকে ৩৫২, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান দাদন গাজী ডাব প্রতীকে ৮৮, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম চেয়ার প্রতীকে ৫৪৫, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে ৬০১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. ফরহাদ মিয়া হাত ঘড়ি প্রতীকে ৩২৮, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন ছড়ি প্রতীকে ৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সাল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিধি অনুযায়ী কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যাঁরা কম ভোট পেয়েছেন, তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন

আপডেট টাইম : ১২:৩২:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর সংসদীয় আসনে ১৩ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির, তৃণমূল বিএনপির ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১২ জনই জামানত হারাচ্ছেন। গত রোববার ভোট গ্রহণ শেষে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অনেক প্রার্থী এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় ভোটার টানতে পারেননি। এসব প্রার্থীরা মোট প্রদত্ত ভোটের প্রায় ১০ শতাংশের নিচে ভোট পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া আরও ৮টি রাজনৈতিক দল এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। যদিও প্রার্থীদের অনেককেই এলাকার লোকজন চিনতো না। শুধুমাত্র তিনজন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা ছিল। ভোটের ফলাফলে ১২ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলা এবং সদরের ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪২৬ জন। মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৮৬০ টি। প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ হিসেবে প্রার্থী জামানত পেতে হলে অন্তত এক হাজার ৯০৯ ভোট পেতে হত। কিন্তু নয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে ৯ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। ফলে সংরক্ষিত নারী এ সংসদ সদস্য জামানত হারাচ্ছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু ২৩৮৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের এফএম জসিম উদ্দিন ৯০৩, বিজয়ী নয়নের সহধর্মিণী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা তরমুজ প্রতীকে ৩৪৫, জাসদের মো. আমির হোসেন মশাল প্রতীকে ২৩৯, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩২০, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন একতারা প্রতীকে ৩৫২, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান দাদন গাজী ডাব প্রতীকে ৮৮, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম চেয়ার প্রতীকে ৫৪৫, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে ৬০১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. ফরহাদ মিয়া হাত ঘড়ি প্রতীকে ৩২৮, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন ছড়ি প্রতীকে ৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সাল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিধি অনুযায়ী কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যাঁরা কম ভোট পেয়েছেন, তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত।