ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড

সিলেট -৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়

ইমাম হোসেন মামুন
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৩:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • / ৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মোট সাতজন। যাদের মধ্যে কেউই পূর্বে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হননি।

সাত প্রার্থী থাকলেও লড়াইটা ছিলো মূলতঃ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির এই তিন নতুনের মধ্যে। যাদের মধ্যে বাজিমাত করেছেন আনজুমানে আল ইসলাহের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুছামুদ্দীন চৌধুরী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

হুছামুদ্দীন চৌধুরীর বাবা প্রয়াত আল্লামা আবদুল লতিফ চৌধুরী সারা দেশে ফুলতলী হুজুর হিসেবে পরিচিত। আবদুল লতিফের তৈরি করা সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহের অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ আছেন। ফুলতলী অনুসারীদের সিলেট-৫ আসনে একটা বড় ভোট ব্যাংক আছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এসব ভোট কোন প্রার্থীর পক্ষে যাবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা আলোচনা থাকতো।

এবারের নির্বাচনে ফুলতলী হুজুরের ছেলে হুছামুদ্দীন নিজেই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় তাঁকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গত ৫ ডিসেম্বর হুছামুদ্দীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ বৈঠকের পর থেকেই হুছামুদ্দীনের অনুসারীরা বিষয়টিকে শুভ ইঙ্গিত বলে প্রচার শুরু করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিজ দলের প্রার্থীকে রেখে হুছামুদ্দীনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় নামেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নৌকার প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও হুছামুদ্দীনকে জিতিয়ে আনতে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের তৎপরতা ছিল। এমনকি তাঁর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও নামেন। ছাত্রলীগ একাধিকবার হুছামুদ্দীনের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশও করে।

হুছামুদ্দীন ও মাসুক উদ্দিনের বাইরে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আহমদ আল কবির ২০ হাজার ২৩০ ভোট, জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ ১২৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার ২ হাজার ২০৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের বদরুল আলম ১৫৯ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম ২১৪ ভোট পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে হুছামুদ্দীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। পরে হুছামুদ্দীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। একই সাথে গুঞ্জন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবিরও শক্ত লড়াই গড়ে তুলবেন। তবে রবিবার রাতে সব হিসেব-নিকেশ পিছে ফেলে জয় ছিনিয়ে আনেন মাওলানা হুছামুদ্দীন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিলেট -৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়

আপডেট টাইম : ০৪:০৩:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৪

জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মোট সাতজন। যাদের মধ্যে কেউই পূর্বে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হননি।

সাত প্রার্থী থাকলেও লড়াইটা ছিলো মূলতঃ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির এই তিন নতুনের মধ্যে। যাদের মধ্যে বাজিমাত করেছেন আনজুমানে আল ইসলাহের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুছামুদ্দীন চৌধুরী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

হুছামুদ্দীন চৌধুরীর বাবা প্রয়াত আল্লামা আবদুল লতিফ চৌধুরী সারা দেশে ফুলতলী হুজুর হিসেবে পরিচিত। আবদুল লতিফের তৈরি করা সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহের অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ আছেন। ফুলতলী অনুসারীদের সিলেট-৫ আসনে একটা বড় ভোট ব্যাংক আছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এসব ভোট কোন প্রার্থীর পক্ষে যাবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা আলোচনা থাকতো।

এবারের নির্বাচনে ফুলতলী হুজুরের ছেলে হুছামুদ্দীন নিজেই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় তাঁকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গত ৫ ডিসেম্বর হুছামুদ্দীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ বৈঠকের পর থেকেই হুছামুদ্দীনের অনুসারীরা বিষয়টিকে শুভ ইঙ্গিত বলে প্রচার শুরু করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিজ দলের প্রার্থীকে রেখে হুছামুদ্দীনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় নামেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নৌকার প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও হুছামুদ্দীনকে জিতিয়ে আনতে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের তৎপরতা ছিল। এমনকি তাঁর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও নামেন। ছাত্রলীগ একাধিকবার হুছামুদ্দীনের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশও করে।

হুছামুদ্দীন ও মাসুক উদ্দিনের বাইরে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আহমদ আল কবির ২০ হাজার ২৩০ ভোট, জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ ১২৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার ২ হাজার ২০৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের বদরুল আলম ১৫৯ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম ২১৪ ভোট পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে হুছামুদ্দীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। পরে হুছামুদ্দীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। একই সাথে গুঞ্জন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবিরও শক্ত লড়াই গড়ে তুলবেন। তবে রবিবার রাতে সব হিসেব-নিকেশ পিছে ফেলে জয় ছিনিয়ে আনেন মাওলানা হুছামুদ্দীন।