ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

অন্যায়ের শরীক হবেন না, অবৈধ ভোট বর্জন করুন : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

দেশের জনগণের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছে, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারী দলের প্রাথী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারনে দেশবাসীকে বলবো আপনারা এই অবৈধ ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরীক হবেন না, ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জন, খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানান। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।

ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালমায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্ত ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিলো উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গনতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারো জনগণকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে।
তিনি বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগন এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আমরা রাজপথে আছি।
আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোন ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী খেলায় সরকার নির্বাচন করেও ফেলতে পারে। এতে কিছু যায় আসে না কারণ এ দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দিবে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্যায়ের শরীক হবেন না, অবৈধ ভোট বর্জন করুন : নজরুল ইসলাম খান

আপডেট টাইম : ০৮:৫০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের জনগণের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছে, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারী দলের প্রাথী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারনে দেশবাসীকে বলবো আপনারা এই অবৈধ ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরীক হবেন না, ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জন, খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানান। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।

ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালমায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্ত ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিলো উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গনতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারো জনগণকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে।
তিনি বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগন এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আমরা রাজপথে আছি।
আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোন ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী খেলায় সরকার নির্বাচন করেও ফেলতে পারে। এতে কিছু যায় আসে না কারণ এ দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দিবে না।