ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন

১০ ডিগ্রি বেড়েছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

পঞ্চগড়ে আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। এ ছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডা জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর রেকর্ড হয়েছিল ৯.৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯.৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই দেখা মেলে সূর্যোদয়ের। সূর্যের কিরণে আলো ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে কনকনে ঠাণ্ডা বইতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, বিকাল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশাহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তীব্র শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যানচালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, ‘কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, সকালে কুয়াশা না থাকলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির ঝরার শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালি করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এ সময়টাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১০ ডিগ্রি বেড়েছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড়ে আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। এ ছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডা জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর রেকর্ড হয়েছিল ৯.৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯.৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই দেখা মেলে সূর্যোদয়ের। সূর্যের কিরণে আলো ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে কনকনে ঠাণ্ডা বইতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, বিকাল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশাহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তীব্র শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যানচালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, ‘কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, সকালে কুয়াশা না থাকলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির ঝরার শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালি করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এ সময়টাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।