ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে এস এইচ হলের শিক্ষার্থীদের

ইবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় পাখিদের কিচিরমিচির। শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, বুলবুলি, দোয়েল ইত্যাদি পাখি মুখরিত করে রাখে এস এইচ হল সহ অন্যান্য আবাসিক হলগুলো। আর এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকালে পাখিদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, পাখি চত্বরসহ নানা জায়গায় সারাদিন পাখিরা কিচিরমিচির করে। আবার কখনো এসব পাখিরা হাজির হয় আবাসিক হল সংলগ্ন গাছগুলোতে, হলের বারান্দায়, ছাদে ও জানালার পাশে। মিষ্টি কন্ঠে গান গাইতে থাকে এসব পাখিরা। শিক্ষার্থীরা এসব শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, অনেকে পাখিদের খাবার দেয়।

এস এইচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, প্রতিদিন ভোরে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে পাখিদের খাবার দেই, মনে আনন্দ আসে।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, গ্রামে চাষের জমিতে অনেক পাখি দেখতাম, বিকেলে আবার পাখিরা উড়ে যেত তখন মন খারাপ লাগতো। এখন আমার হলের চারপাশে পাখিদের বাসা। সারাদিন কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, পাখিদের সুরের ধুম্রজালে প্রকৃতির সাথে আমিও মোহিত হয়ে জেগে উঠি প্রতিদিন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিপ্রেমী লেখক ও কবি মিজানুর রহমান বলেন , পাখিদের দেখলে মনে ভালোবাসা জাগ্রত হয়। পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি স্থান। কেম্পাসে পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজনন ব্যবস্থা থাকায় সবসময় পাখিদের আনাগোনা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের জন্য সম্পদ। পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে এস এইচ হলের শিক্ষার্থীদের

আপডেট টাইম : ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় পাখিদের কিচিরমিচির। শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, বুলবুলি, দোয়েল ইত্যাদি পাখি মুখরিত করে রাখে এস এইচ হল সহ অন্যান্য আবাসিক হলগুলো। আর এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকালে পাখিদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, পাখি চত্বরসহ নানা জায়গায় সারাদিন পাখিরা কিচিরমিচির করে। আবার কখনো এসব পাখিরা হাজির হয় আবাসিক হল সংলগ্ন গাছগুলোতে, হলের বারান্দায়, ছাদে ও জানালার পাশে। মিষ্টি কন্ঠে গান গাইতে থাকে এসব পাখিরা। শিক্ষার্থীরা এসব শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, অনেকে পাখিদের খাবার দেয়।

এস এইচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, প্রতিদিন ভোরে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে পাখিদের খাবার দেই, মনে আনন্দ আসে।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, গ্রামে চাষের জমিতে অনেক পাখি দেখতাম, বিকেলে আবার পাখিরা উড়ে যেত তখন মন খারাপ লাগতো। এখন আমার হলের চারপাশে পাখিদের বাসা। সারাদিন কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, পাখিদের সুরের ধুম্রজালে প্রকৃতির সাথে আমিও মোহিত হয়ে জেগে উঠি প্রতিদিন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিপ্রেমী লেখক ও কবি মিজানুর রহমান বলেন , পাখিদের দেখলে মনে ভালোবাসা জাগ্রত হয়। পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি স্থান। কেম্পাসে পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজনন ব্যবস্থা থাকায় সবসময় পাখিদের আনাগোনা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের জন্য সম্পদ। পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।