ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফুলবাড়ীতে বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত মাটিতে বসে নাটক দেখে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও নাজমুন নাহার কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৫১ বছর বয়সে এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছেন সাংবাদিক দম্পতি আশুলিয়ায় স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি গাজীপুরে সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণে উচ্ছেদ অভিযান মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ গণমাধ্যম দিবস: কলম হোক সত্য ও স্বাধীনতার প্রতীক গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন ছড়িয়েছে বসতবাড়িতে, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট মোংলায় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উপ-প্রেস সচিব

পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে এস এইচ হলের শিক্ষার্থীদের

ইবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১২৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় পাখিদের কিচিরমিচির। শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, বুলবুলি, দোয়েল ইত্যাদি পাখি মুখরিত করে রাখে এস এইচ হল সহ অন্যান্য আবাসিক হলগুলো। আর এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকালে পাখিদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, পাখি চত্বরসহ নানা জায়গায় সারাদিন পাখিরা কিচিরমিচির করে। আবার কখনো এসব পাখিরা হাজির হয় আবাসিক হল সংলগ্ন গাছগুলোতে, হলের বারান্দায়, ছাদে ও জানালার পাশে। মিষ্টি কন্ঠে গান গাইতে থাকে এসব পাখিরা। শিক্ষার্থীরা এসব শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, অনেকে পাখিদের খাবার দেয়।

এস এইচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, প্রতিদিন ভোরে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে পাখিদের খাবার দেই, মনে আনন্দ আসে।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, গ্রামে চাষের জমিতে অনেক পাখি দেখতাম, বিকেলে আবার পাখিরা উড়ে যেত তখন মন খারাপ লাগতো। এখন আমার হলের চারপাশে পাখিদের বাসা। সারাদিন কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, পাখিদের সুরের ধুম্রজালে প্রকৃতির সাথে আমিও মোহিত হয়ে জেগে উঠি প্রতিদিন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিপ্রেমী লেখক ও কবি মিজানুর রহমান বলেন , পাখিদের দেখলে মনে ভালোবাসা জাগ্রত হয়। পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি স্থান। কেম্পাসে পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজনন ব্যবস্থা থাকায় সবসময় পাখিদের আনাগোনা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের জন্য সম্পদ। পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে এস এইচ হলের শিক্ষার্থীদের

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় পাখিদের কিচিরমিচির। শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, বুলবুলি, দোয়েল ইত্যাদি পাখি মুখরিত করে রাখে এস এইচ হল সহ অন্যান্য আবাসিক হলগুলো। আর এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকালে পাখিদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, পাখি চত্বরসহ নানা জায়গায় সারাদিন পাখিরা কিচিরমিচির করে। আবার কখনো এসব পাখিরা হাজির হয় আবাসিক হল সংলগ্ন গাছগুলোতে, হলের বারান্দায়, ছাদে ও জানালার পাশে। মিষ্টি কন্ঠে গান গাইতে থাকে এসব পাখিরা। শিক্ষার্থীরা এসব শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, অনেকে পাখিদের খাবার দেয়।

এস এইচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, প্রতিদিন ভোরে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে পাখিদের খাবার দেই, মনে আনন্দ আসে।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, গ্রামে চাষের জমিতে অনেক পাখি দেখতাম, বিকেলে আবার পাখিরা উড়ে যেত তখন মন খারাপ লাগতো। এখন আমার হলের চারপাশে পাখিদের বাসা। সারাদিন কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, পাখিদের সুরের ধুম্রজালে প্রকৃতির সাথে আমিও মোহিত হয়ে জেগে উঠি প্রতিদিন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিপ্রেমী লেখক ও কবি মিজানুর রহমান বলেন , পাখিদের দেখলে মনে ভালোবাসা জাগ্রত হয়। পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি স্থান। কেম্পাসে পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজনন ব্যবস্থা থাকায় সবসময় পাখিদের আনাগোনা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের জন্য সম্পদ। পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।