ইবিতে মধ্যরাতে সাউন্ড বক্সের শব্দে অতিষ্ঠ আবাসিক শিক্ষার্থীরা
- আপডেট টাইম : ০১:৩৯:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে মধ্যরাতে সাউন্ড বক্সের শব্দে রীতিমতো অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কার্যদিবসেই চলে ইনকোর্স বা সেমিস্টার পরীক্ষা, অন্যদিকে সাম্প্রতি সময়ে প্রতিদিনই প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে গানবাজনা। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা-কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোই উচ্চসুরে গান বাজানো বন্ধ প্রসঙ্গে অভিযোগ দিয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলোতে প্রায়ই রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হয়, যেটা কয়েকবার নিষেধ করার পরেও বন্ধ হয়নি। প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত গান তথা উচ্চ শব্দে বক্স বাজানোর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারছে না।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে , ‘প্রতিনিয়ত উচ্চস্বরে গান বাজানোর ফলে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। যার ফলে চাকরি প্রস্তুতিরত শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বেশি । এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষও জানালেও কোন সুরহা হয়নি।’ প্রক্টরের নিকট তারা এই দূর্ভোগ লাঘবের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি যুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে।’
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. মুজাহিদুল ইসলাম (১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইবি ছাত্রলীগ), সোহাগ শেখ (সাংগঠনিক সম্পাদক, ইবি ছাত্রলীগ), মোঃ আল-আমিন হোসেন (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ), মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (পরিসংখ্যান বিভাগ), মারুফুল ইসলাম (বাংলা বিভাগ), মিজানুর রহমান মিজান (আরবি বিভাগ) এই অভিযোগ পত্রে সংহতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ করছি প্রতিদিনই রাত হলেই উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হয়। আজ আমার পরীক্ষা ছিল, গতকাল সারারাত কিছু করতে পারিনি। এভাবে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকের শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ মনে হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রত্রটি পেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল ১২ টায় বিষয়টা নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে মিটিং করা হবে। ভোগান্তির ব্যাপারে কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত আরোপ করা হবে। শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ও অতিষ্ঠ হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে মিটিংয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে।’