ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরীকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে প্রকৃতি- গাছেই সিদ্ধ হচ্ছে আবাদি ফসল মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল”নওগাঁয় ওবায়দুল কাদের র‌্যাবের অভিযানে ২,৫০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ ০১ জন চোরাকারবারী আটক আজমিরীগঞ্জে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ। রাজধানীর মিরপুরে বিদেশি সিগারেটের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার নাজিরপুরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে পরিবেশ দ্বাদশ নির্বাচনে আমি আবারও এমপি নির্বাচিত হলে কোন কাজ অসমাপ্ত থাকবে না’ মোঃএবাদুল করিম বুলবুল এমপি কিশোরগঞ্জে বনাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কিশোরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

আজ ঠাকুরগাঁওয়ে শতকণ্ঠে উচ্চারিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণ

আবদুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি।।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের চুম্বকীয় আজ শত কন্ঠে উচ্চারিত হলো ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠ (ঠাকুরগাঁও বড়মাঠ) এ।

বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন আজ। আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতকাটা কালো কোট পরে দৃঢ়তার সঙ্গে হেঁটে এসে মঞ্চে উঠলেন দীর্ঘদেহী এক বাঙালি। সঙ্গে করে তিনি নিয়ে এসেছেন সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির ভবিষ্যত্, আত্মসম্মান ও অধিকার আদায়ের মন্ত্র।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয়বাংলা।’ একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধু সেদিন মঞ্চে আরোহণ করেন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। মাত্র ১৮-১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরীকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা

আজ ঠাকুরগাঁওয়ে শতকণ্ঠে উচ্চারিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণ

আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

আবদুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি।।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের চুম্বকীয় আজ শত কন্ঠে উচ্চারিত হলো ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠ (ঠাকুরগাঁও বড়মাঠ) এ।

বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন আজ। আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতকাটা কালো কোট পরে দৃঢ়তার সঙ্গে হেঁটে এসে মঞ্চে উঠলেন দীর্ঘদেহী এক বাঙালি। সঙ্গে করে তিনি নিয়ে এসেছেন সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির ভবিষ্যত্, আত্মসম্মান ও অধিকার আদায়ের মন্ত্র।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয়বাংলা।’ একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধু সেদিন মঞ্চে আরোহণ করেন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। মাত্র ১৮-১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।