ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীরা
- আপডেট টাইম : ০১:১০:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
- / ৯৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
কাশিমপুর সীমান্তবর্তী গনকবাড়ী এলাকা পারমাণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল এন্ড কলেজ (এ ই আর ই স্কুল এন্ড কলেজ) এর শিক্ষার্থীকে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে মারধর ও রক্তাক্ত করার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে প্লেকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ২৯ নভেম্বর (বুধবার) বিকেলে পরীক্ষার ফলাফল কে কেন্দ্র করে পারমাণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল এন্ড কলেজ (এ ই আর ই স্কুল এন্ড কলেজ) এর নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কৌশিক
কে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে মারধর ও রক্তাক্ত করে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর।ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর।
পরে আহত অবস্থায় শিক্ষার্থী কৌশিক কে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্র নাগরিক হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ীতে পাঠানো হয়।
বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে জানাজানি হলে ৩০শে নভেম্বর সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা এ অমানবিক টর্চার ও নির্মম আঘাত এর প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর এর পদত্যাগ এর দাবিতে আন্দোলন করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, অলৌকিক ক্ষমতা বলে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত প্রবীর সূত্রধর অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি হিন্দু ধর্মের হওয়ায় মুসলমানদের ইসলাম শিক্ষা বইকে ক্লাস রুম থেকে বাইরে ফেলে দিয়েছেন। গতকাল তিনি আমাদের সহপাঠী থেকে অমানবিকভাবে মারধরও রক্তাক্ত করেছেন। আমরা শিক্ষকের পদত্যাগ চাই।
এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জাহিদ জানায়, প্রবীর সূত্রধর স্যার যে কাজটি করেছেন কাজটি খারাপ করেছেন। গায়ে হাত তোলার একটি লিমিটেশন থাকার দরকার ছিলো। রক্ত ক্ষরণ হওয়ার বিষয়টি অতিরিক্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর এর কাছে মারধর রক্তাক্ত করার বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, আপনারা স্কুলে এসে চা খায়ে যান এবং এই বিষয়টি হতে আমাকে বাঁচান। আমি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব চাই না। আপনারা আমাকে বাঁচান।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে খুব প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু ও মূল দৃষ্টান্তমূলক বিচার এর দাবি জানায়। যেন পরবর্তীতে কোন স্কুলে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।