ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

বরগুনায় মনোনয়ন পেলেন যারা

জাতীয় সংসদের আসন ১০৯ বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী আসনে ৭ম বারের মতন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছেন পাঁচবারের সাংসদ এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

অন্যদিকে প্রথম বারের মতন সংসদীয় আসন ১১০ পাথরঘাটা – বামনা বেতাগী থেকে মনোয়ন লাভ করেছেন সংরক্ষিত আসন ৩১৫ এর সংসদ সদস্য সাবেক প্রায়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী সুলতানা নাদিরা।

বরগুনা -১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন ২২ জন।

সকলকে মনোনয়ন দৌড়ে পিছনে ফেলে সপ্তম বারের মতন দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন বরগুনা – আমতলী ও তালতলী জনপদের কারিশমাটিক নেতা এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি।

বরগুনা – ২ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন ১৪ জন ।

এই আসনের তিন বারের সাংসদ আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি সহ বাকীদের পিছনে ফেলে প্রথম বারের মতন মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা নাদিরা ।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলীতে ১৯৪৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান।

এরপরেই তিনি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরবর্তীতে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকেন।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীও ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় জড়িয়ে থেকে অনেক উত্থান ও স্বৈরশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথমবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

এরপরে ১৯৯৭ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে খাদ্য উপমন্ত্রী পরে নৌ পরিবহন প্রতি মন্ত্রী নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন লাভ করলেও দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট হেরে যান। এরপরে তিনি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বরগুনা -২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভকারী সুলতানা নাদিরা প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু এর সহ ধর্মিণী।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আধিপত্যে থাকা এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে গোলাম সরোয়ার টুলু সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

তিনি নবম সংসদের এমপি থাকা অবস্হায় মৃত্যু বরণ করেন।

তার মৃত্যুর পরে দলীয় মনোনয়ন আবেদন করেও মনোনয়ন লাভ করতে না পারলেও একাদশ জাতীয় সংসদের ৩১৫ সংরক্ষিত আসনে সদস্য হিসেবে মনোনীত এমপি হন।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তা দুজন বিজয়ের পথে পা বেড়িয়েছেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বরগুনায় মনোনয়ন পেলেন যারা

আপডেট টাইম : ০৩:০০:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

জাতীয় সংসদের আসন ১০৯ বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী আসনে ৭ম বারের মতন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছেন পাঁচবারের সাংসদ এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

অন্যদিকে প্রথম বারের মতন সংসদীয় আসন ১১০ পাথরঘাটা – বামনা বেতাগী থেকে মনোয়ন লাভ করেছেন সংরক্ষিত আসন ৩১৫ এর সংসদ সদস্য সাবেক প্রায়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী সুলতানা নাদিরা।

বরগুনা -১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন ২২ জন।

সকলকে মনোনয়ন দৌড়ে পিছনে ফেলে সপ্তম বারের মতন দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন বরগুনা – আমতলী ও তালতলী জনপদের কারিশমাটিক নেতা এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি।

বরগুনা – ২ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন ১৪ জন ।

এই আসনের তিন বারের সাংসদ আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি সহ বাকীদের পিছনে ফেলে প্রথম বারের মতন মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা নাদিরা ।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলীতে ১৯৪৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান।

এরপরেই তিনি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরবর্তীতে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকেন।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীও ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় জড়িয়ে থেকে অনেক উত্থান ও স্বৈরশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথমবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

এরপরে ১৯৯৭ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে খাদ্য উপমন্ত্রী পরে নৌ পরিবহন প্রতি মন্ত্রী নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন লাভ করলেও দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট হেরে যান। এরপরে তিনি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বরগুনা -২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভকারী সুলতানা নাদিরা প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু এর সহ ধর্মিণী।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আধিপত্যে থাকা এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে গোলাম সরোয়ার টুলু সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

তিনি নবম সংসদের এমপি থাকা অবস্হায় মৃত্যু বরণ করেন।

তার মৃত্যুর পরে দলীয় মনোনয়ন আবেদন করেও মনোনয়ন লাভ করতে না পারলেও একাদশ জাতীয় সংসদের ৩১৫ সংরক্ষিত আসনে সদস্য হিসেবে মনোনীত এমপি হন।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তা দুজন বিজয়ের পথে পা বেড়িয়েছেন।