ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় তারেক রহমানের আহবানে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কুমিল্লা জেলা সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা ও স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, চলে গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর সই নকল করে ৩৩ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে বৈদেশিক ঋণে ধাক্কা, ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁটের শঙ্কা ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এর কুমিল্লা জেলা’য় কোতোয়ালি মডেল থানা’র চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে – ৮৪ বোতল বিদেশি মদ, ৪৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৩ বোতল স্কাপ, ৭৯ বোতল বিয়ার, ৭৭৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১০,৮২,০৭০ টাকা সহ ০২ জন মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার শত পার্থক্য থাকলেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই: ড. ইউনূস থাকছে না বিতর্কিত ধারা, মতপ্রকাশ অপরাধ নয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ২৮ রাষ্ট্রদূত

৭ মার্চের ভাষণ কে লিখেছিলেন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:০২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ২৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেই সময় রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত ছিল। ৩ মার্চ পল্টনের একটি ছাত্র সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এদিন সকাল থেকে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। তারা ধারণা করছিলেন- বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা আসতে পারে। মঞ্চে গণসঙ্গীত চলছিল সকাল থেকেই।এদিন সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। দুপুর ২টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদসহ তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিব তার বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন জনসভার উদ্দেশ্যে। ভাষণ দিতে বাসা থেকে বেরোনোর সময় শেখ মুজিবকে তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বলেছিলেন- তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলবে।

৭ মার্চের সেই ভাষণ তিনি নিজের চিন্তা থেকেই দিয়েছিলেন। ভাষণটি লিখিত ছিলো না। সবই তার মনের খাতায় লেখা ছিল। তবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসার আগের নির্ধারিত রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্নপথে শেখ মুজিবকে নেওয়া হয়েছিল জনসভায়। সেদিন শেখ মুজিব সেই মঞ্চে একাই ভাষণ দিয়েছিলেন। মঞ্চের কারো কাছ থেকে নেননি কোনো স্লিপ।

৭ মার্চের ভাসণে জনসমুদ্র। ছবি- সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটা গেরিলা মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা, জয় বাংলা।’

প্রায় ১৮ মিনিটের এই ভাষণে সবদিকই উঠে এসেছিল। এই একটি ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। স্বাধীনতার বীজ তিনি বপন করেছিলেন, বলেছেন তোফায়েল আহমেদ।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এমন অনেকে বলেছেন, লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষের স্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নীরবতা। ভাষণ শেষে আবারও স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাস্তাগুলো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৭ মার্চের ভাষণ কে লিখেছিলেন

আপডেট টাইম : ০৮:০২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেই সময় রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত ছিল। ৩ মার্চ পল্টনের একটি ছাত্র সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এদিন সকাল থেকে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। তারা ধারণা করছিলেন- বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা আসতে পারে। মঞ্চে গণসঙ্গীত চলছিল সকাল থেকেই।এদিন সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। দুপুর ২টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদসহ তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিব তার বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন জনসভার উদ্দেশ্যে। ভাষণ দিতে বাসা থেকে বেরোনোর সময় শেখ মুজিবকে তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বলেছিলেন- তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলবে।

৭ মার্চের সেই ভাষণ তিনি নিজের চিন্তা থেকেই দিয়েছিলেন। ভাষণটি লিখিত ছিলো না। সবই তার মনের খাতায় লেখা ছিল। তবে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসার আগের নির্ধারিত রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্নপথে শেখ মুজিবকে নেওয়া হয়েছিল জনসভায়। সেদিন শেখ মুজিব সেই মঞ্চে একাই ভাষণ দিয়েছিলেন। মঞ্চের কারো কাছ থেকে নেননি কোনো স্লিপ।

৭ মার্চের ভাসণে জনসমুদ্র। ছবি- সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটা গেরিলা মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা, জয় বাংলা।’

প্রায় ১৮ মিনিটের এই ভাষণে সবদিকই উঠে এসেছিল। এই একটি ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। স্বাধীনতার বীজ তিনি বপন করেছিলেন, বলেছেন তোফায়েল আহমেদ।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এমন অনেকে বলেছেন, লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষের স্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নীরবতা। ভাষণ শেষে আবারও স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাস্তাগুলো।