ইবিতে প্রধান ফটক অবরোধ, যথাসময়ে পরীক্ষার দাবি শিক্ষার্থীদের
- আপডেট টাইম : ১২:২৮:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ১০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে উক্ত বিভাগে দ্রুত সেমিস্টার পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা । পরে দুপুর ১:০০ টার দিকে বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সমস্যার সমাধান না পেয়ে দুপুর ২:০০ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া দুপুর ২টার বাস দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। পরে দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা কেনো, বলতে হবে বলতে হবে।’ ‘শিক্ষার্থীরা রাজনীতির স্বীকার কেন, জবাব দিন জবাব দিন।’ ‘নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন, পরীক্ষা নিন পরীক্ষা নিন।’ লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে নন ক্রেডিট পরিক্ষা নিতে হবে। চতুর্থ বর্ষের সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা এ মাসের মধ্যেই শুরু করতে হবে।
জানা যায়, বেলা ১২টার দিকে একই দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বারবার বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও আশ্বাস পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি পরীক্ষা হবে। কিন্তু বারবার ডেট দিয়েও সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারছে না শিক্ষকেরা। এতে আমরা ভোগান্তিতে পরেছি। সকালে বিভাগে এসে শুনছি চেয়ারম্যান স্যার অব্যহতি নিবে। তাইলে এখন আমরা পরীক্ষা দিব কিভাবে? এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার পর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক ছেড়েছে। এ বিষয়ে আমারা শিক্ষকদের সাথে বসে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজবো।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে পারিনি। শনিবার সকালে আমি সভাপতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। প্রশাসন বিষয়টির প্রতি সুনজর দিবেন বলে আশাবাদী।’