ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা এক লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু

গাজীপুর সদর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্র বিভ্রান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২০৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।
এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।
একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’
একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সকল তথ্যের সততা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন গিয়ে এই মৌসুমী স্টাফদের অস্বিত্ব পাওয়া গেল। সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর সদর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্র বিভ্রান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।
এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।
একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’
একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সকল তথ্যের সততা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন গিয়ে এই মৌসুমী স্টাফদের অস্বিত্ব পাওয়া গেল। সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন