ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

গাজীপুর সদর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্র বিভ্রান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।
এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।
একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’
একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সকল তথ্যের সততা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন গিয়ে এই মৌসুমী স্টাফদের অস্বিত্ব পাওয়া গেল। সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর সদর সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল চক্র বিভ্রান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে তিনজন দালাল নিয়মিত অফিস । তারা একটি করে অফিস কক্ষ ব্যবহার করে সরকারী চেয়ার-টেবিলে বসে অফিসারের মত কাজকর্ম করছেন। ভূমি রেকর্ড জরিপ অফিসে এ ধরণের স্টাফ নিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।

গত রবিবার সকালে সরেজমিন গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য। দোতলা বাড়ির পুরোটিই এই সরকারী অফিস। অফিসের নীচতলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায় ডান দিকে একটি রুমে সরকারী কর্মকর্তার আদলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন নুরুন্নবী সুমন। তার নিজের পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে আমতা আমতা শুরু করেন। বার বার তিনি ‘আক্কাছ আলী স্যার’র নাম বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন এই অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলীর নিকটাত্মীয়। জমির মালিক কোন ভূক্তভোগীকে সুমনের সাথে কথা বলতে হয়। আক্কাছ আলী সরাসরি কোন ভূক্তভোগীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন না।

এই অফিসের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, একই সিটিং-এ চেয়ার টেবিলে বসে সরকারী কাজ করছেন মোঃ রুবেল মিয়া ও মাইনুল ইসলাম । এরা তিনজনই সরকারী স্টাফ। অফিসে তাদের ভাবসাব এমনটাই।
এই বিষয়ে কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গাজীপুর সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী তাজুল ইসলাম বলেন, সুমন, রুবেল ও মাইনুল মৌসুমী স্টাফ।
একটি সরকারী অফিসে তিনজন অস্পষ্ট স্টাফ সম্পর্কে জানতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, সুমন আমার আত্মীয় নয়। তবে এরা মৌসুমী স্টাফ। এদেরকে ডেলি হাজিরা ভিত্তিক কাজ করানো হয়। তিনি আরো জানান, এ অফিসের আন্ডারে ১০ থেকে ১২জন অনুমোদিত মৌসুমী স্টাফ রয়েছে। এরা ফিল্ডে কাজ করছেন। আবার কেউ অফিসে কাজ করছেন।
এদের বেতন বা হাজিরার টাকা কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খাতে সরকারের আলাদা ফান্ড রয়েছে।
অফিসের মূল দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান এদের বিষয়ে বলেন, ‘এদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে পেসকার ও রেকর্ড অফিসারকে বলেন।’
একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু সরকারী জায়গা জমি ও বিচারাধীন মামলার নালিশি সম্পত্তি এলোমেলোভাবে রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সকল তথ্যের সততা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন গিয়ে এই মৌসুমী স্টাফদের অস্বিত্ব পাওয়া গেল। সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন