ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আবরার ফাহাদ হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার ৪৩ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

গণপিটুনিতে মহাম্মদপুরে যুবকের মৃত্যু

শফিকুল ইসলাম, মহাম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে রিয়াজ মোল্যা (৩০) নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রাম্য দলাদলির জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফুলবাড়ি সদোনালা খালের পাড় থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়ে চলে যান জসিম নামের জনৈক ব্যক্তি। বুধবার সকাল সাতটার সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনাটিকে ঘিরে স্থানীয় দুইপক্ষের লোকজন পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। নিহতের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে। অন্যপক্ষ বলছে-সদোনালা খাল থেকে রাতে চুরি করে মাছ মারার সময় রিয়াজ মোল্যাকে গণপিটুনি দেওয়ার কারণে তিনি মারা গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে।

এদিকে, ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও নহটাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ এবং একই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ববিরোধের জেরে রিয়াজকে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। নিহত রিয়াজ ওই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। তবে অপর মহল বলছেন- সদোনালা খাল থেকে চুরি করে মাছ ধরার সময় গ্রামবাসী তাতে গণপিটুণি দেয়। পরে হাসাপাতালে মারা যান।

নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ বলেন, গ্রাম্যভাবে জিল্লুর রহমান আমাদের প্রতিপক্ষ। তবে গ্রাম্য দলাদলির কারণে খুনের ঘটনা ঘটেনি বলে তার দাবি। চুরি করে মাছ ধরার সময় গণপিটুণির কারণে রিয়াজ মারা গেছে। তবে জিল্লুর রহমান এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি করছেন। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে সদোনালা খালের নৈহ প্রহরী জসিমের কারছে। সেই বলতে পারবে মঙ্গলবার রাতে রিয়াজকে কারা এবং কেনো মেরেছিলো।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘চুরি করে খাল থেকে মাছ চুরির সময় পাহারাদার ও তাদের লোকজন রিয়াজকে মারধোরের কারণে তারা মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণপিটুনিতে মহাম্মদপুরে যুবকের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১২:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে রিয়াজ মোল্যা (৩০) নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রাম্য দলাদলির জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফুলবাড়ি সদোনালা খালের পাড় থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়ে চলে যান জসিম নামের জনৈক ব্যক্তি। বুধবার সকাল সাতটার সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনাটিকে ঘিরে স্থানীয় দুইপক্ষের লোকজন পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। নিহতের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে। অন্যপক্ষ বলছে-সদোনালা খাল থেকে রাতে চুরি করে মাছ মারার সময় রিয়াজ মোল্যাকে গণপিটুনি দেওয়ার কারণে তিনি মারা গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে।

এদিকে, ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও নহটাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ এবং একই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ববিরোধের জেরে রিয়াজকে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। নিহত রিয়াজ ওই গ্রামের জিল্লুর রহমান গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। তবে অপর মহল বলছেন- সদোনালা খাল থেকে চুরি করে মাছ ধরার সময় গ্রামবাসী তাতে গণপিটুণি দেয়। পরে হাসাপাতালে মারা যান।

নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ বলেন, গ্রাম্যভাবে জিল্লুর রহমান আমাদের প্রতিপক্ষ। তবে গ্রাম্য দলাদলির কারণে খুনের ঘটনা ঘটেনি বলে তার দাবি। চুরি করে মাছ ধরার সময় গণপিটুণির কারণে রিয়াজ মারা গেছে। তবে জিল্লুর রহমান এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি করছেন। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে সদোনালা খালের নৈহ প্রহরী জসিমের কারছে। সেই বলতে পারবে মঙ্গলবার রাতে রিয়াজকে কারা এবং কেনো মেরেছিলো।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘চুরি করে খাল থেকে মাছ চুরির সময় পাহারাদার ও তাদের লোকজন রিয়াজকে মারধোরের কারণে তারা মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’