ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২০ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাগুরার মহম্মদপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রী বীমলেন্দু শিকদারের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতির দুই তীরে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামীণ মেলা বসতে শুরু করে মধুমতির দু’কুলে। মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত চলে এই মেলা উৎসব।

২০১৪ সালে শুরু হয় এই মেলা। তারপর থেকেই লোক মুখে শুনা যায় বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচের এই মেলা খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। তাই লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাদদেশে পার্শবর্তী যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ ও এলাকার শিশু-কিশোর, কিশোরিসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।

দুপুর ২ ঘটিকায় শান্তির প্রতিক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।এরপর শুরু হয় চোখ জুড়ানো মন মাতানো কাঙ্খিত সেই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচ দেখে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতির দুই পাড়ের লাখো আমুদে দর্শক।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার বাসুদেব কুমার মালোর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাসুদেব
কুমার কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উল ইসলাম।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। উদ্বোধনের পরপরই সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে।উল্লাসে মেতে উঠে নদী পাড়ের আমুদে দর্শক।

কালাই ও গহনা নামে দুই গ্রুপে বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কালাই গ্রুপে ১৩টি এবং গহনা গ্রুপে ১১টি মোট ২৪টি নৌকা অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী প্রথম ও দ্বিতীয়দেরকে বড় ফ্রিজ এবং তৃতীয়দেরকে ৩২ ইঞ্চি এলিটি টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মাগুরার মহম্মদপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রী বীমলেন্দু শিকদারের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতির দুই তীরে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামীণ মেলা বসতে শুরু করে মধুমতির দু’কুলে। মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত চলে এই মেলা উৎসব।

২০১৪ সালে শুরু হয় এই মেলা। তারপর থেকেই লোক মুখে শুনা যায় বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচের এই মেলা খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। তাই লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাদদেশে পার্শবর্তী যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ ও এলাকার শিশু-কিশোর, কিশোরিসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।

দুপুর ২ ঘটিকায় শান্তির প্রতিক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।এরপর শুরু হয় চোখ জুড়ানো মন মাতানো কাঙ্খিত সেই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচ দেখে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতির দুই পাড়ের লাখো আমুদে দর্শক।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার বাসুদেব কুমার মালোর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাসুদেব
কুমার কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উল ইসলাম।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। উদ্বোধনের পরপরই সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে।উল্লাসে মেতে উঠে নদী পাড়ের আমুদে দর্শক।

কালাই ও গহনা নামে দুই গ্রুপে বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কালাই গ্রুপে ১৩টি এবং গহনা গ্রুপে ১১টি মোট ২৪টি নৌকা অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী প্রথম ও দ্বিতীয়দেরকে বড় ফ্রিজ এবং তৃতীয়দেরকে ৩২ ইঞ্চি এলিটি টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।