ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাগুরার মহম্মদপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রী বীমলেন্দু শিকদারের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতির দুই তীরে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামীণ মেলা বসতে শুরু করে মধুমতির দু’কুলে। মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত চলে এই মেলা উৎসব।

২০১৪ সালে শুরু হয় এই মেলা। তারপর থেকেই লোক মুখে শুনা যায় বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচের এই মেলা খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। তাই লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাদদেশে পার্শবর্তী যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ ও এলাকার শিশু-কিশোর, কিশোরিসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।

দুপুর ২ ঘটিকায় শান্তির প্রতিক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।এরপর শুরু হয় চোখ জুড়ানো মন মাতানো কাঙ্খিত সেই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচ দেখে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতির দুই পাড়ের লাখো আমুদে দর্শক।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার বাসুদেব কুমার মালোর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাসুদেব
কুমার কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উল ইসলাম।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। উদ্বোধনের পরপরই সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে।উল্লাসে মেতে উঠে নদী পাড়ের আমুদে দর্শক।

কালাই ও গহনা নামে দুই গ্রুপে বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কালাই গ্রুপে ১৩টি এবং গহনা গ্রুপে ১১টি মোট ২৪টি নৌকা অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী প্রথম ও দ্বিতীয়দেরকে বড় ফ্রিজ এবং তৃতীয়দেরকে ৩২ ইঞ্চি এলিটি টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মাগুরার মহম্মদপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রী বীমলেন্দু শিকদারের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতির দুই তীরে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামীণ মেলা বসতে শুরু করে মধুমতির দু’কুলে। মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত চলে এই মেলা উৎসব।

২০১৪ সালে শুরু হয় এই মেলা। তারপর থেকেই লোক মুখে শুনা যায় বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচের এই মেলা খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। তাই লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাদদেশে পার্শবর্তী যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ ও এলাকার শিশু-কিশোর, কিশোরিসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।

দুপুর ২ ঘটিকায় শান্তির প্রতিক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।এরপর শুরু হয় চোখ জুড়ানো মন মাতানো কাঙ্খিত সেই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচ দেখে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতির দুই পাড়ের লাখো আমুদে দর্শক।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার বাসুদেব কুমার মালোর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাসুদেব
কুমার কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উল ইসলাম।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। উদ্বোধনের পরপরই সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে।উল্লাসে মেতে উঠে নদী পাড়ের আমুদে দর্শক।

কালাই ও গহনা নামে দুই গ্রুপে বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কালাই গ্রুপে ১৩টি এবং গহনা গ্রুপে ১১টি মোট ২৪টি নৌকা অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী প্রথম ও দ্বিতীয়দেরকে বড় ফ্রিজ এবং তৃতীয়দেরকে ৩২ ইঞ্চি এলিটি টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।