ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুরে কারখানায় দেওয়া আগুনে পুড়ে মরল শ্রমিক

সিনিয়র সংবাদদাতা যারা হায়াৎ তথ্য ছবি ধারণের রাকিবুল হাসান
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন দেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন দেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা। এই আগুনে ইমরান হোসেন নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান।

মৃত ইমরান হোসেন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ফিনিশিং সেকশনের শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জানায়, বিকেল ৫টার দিকে কাশিমপুর-কোনাবাড়ী রোডে অবস্থিত এবিএম ফ্যাশন কারখানার গেট ভেঙ্গে উত্তেজিত শ্রমিকরা ভেতরে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মারধর করে। আন্দোলনের কারণে গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করলেও এবিএম ফ্যাশন কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছিল। খবরটি আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে । পরে শ্রমিকরা ওই কারখানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় আন্দোলনকারীরা।

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ না দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কারখানায় আগুন জালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপু ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কারখানায় ডাম্পিং শুরু করে। রাত ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। পরে সেখানে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে কারখানার ভেতর থেকে ইমরান নামে এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে পুড়ে এবিএম ফ্যাশন কারখানার এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে,,,

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে কারখানায় দেওয়া আগুনে পুড়ে মরল শ্রমিক

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন দেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন দেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা। এই আগুনে ইমরান হোসেন নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান।

মৃত ইমরান হোসেন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ফিনিশিং সেকশনের শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জানায়, বিকেল ৫টার দিকে কাশিমপুর-কোনাবাড়ী রোডে অবস্থিত এবিএম ফ্যাশন কারখানার গেট ভেঙ্গে উত্তেজিত শ্রমিকরা ভেতরে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মারধর করে। আন্দোলনের কারণে গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করলেও এবিএম ফ্যাশন কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছিল। খবরটি আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে । পরে শ্রমিকরা ওই কারখানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় আন্দোলনকারীরা।

এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ না দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কারখানায় আগুন জালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপু ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কারখানায় ডাম্পিং শুরু করে। রাত ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। পরে সেখানে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে কারখানার ভেতর থেকে ইমরান নামে এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে পুড়ে এবিএম ফ্যাশন কারখানার এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে,,,