ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

এ,জেড,এম উজ্জ্বল; পটুয়াখালী জেলা প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৭৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।