ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

এ,জেড,এম উজ্জ্বল; পটুয়াখালী জেলা প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।