ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

গোবিন্দগঞ্জে অধিকাংশ দাখিল ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা, ৩ টা না বাজতেই মাদ্রাসা ছুটি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৭৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশকয়েকটি ইবতেদায়ী সংযুক্ত দাখিল মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা। ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দর কোল ফাতেমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বৈরাগীহাট সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা, খারিতা দাখিল মাদ্রাসা ও খলসি দাখিল মাদ্রাসা গুলোতে তেমন কোনো ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকাল দশটায় যখন প্রথম ক্লাসে হাজির হয় এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি গননা করে তখন দেখা যায় কয়েকটা ক্লাস মিলে ১৫ থেকে ১৬ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছে। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

এসব মাদ্রাসায় কোন ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয় না।কিন্তু এখানকার পড়াশোনার মান ভালো না হওয়ায় অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছে। ফলে ঐ মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয়েছে। এমনকি দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায় না।তাই শিক্ষকরা তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ছাত্র ছাত্রী যোগাড় করে পরীক্ষা দেওয়ায়। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। এছাড়াও গত ২০২৩ সালে এসএসসি /দাখিল পরীক্ষায় বৈরাগীহাট দাখিল মাদ্রাসার এক পরীক্ষাথীর বদলি পরীক্ষাথী হিসেবে ছাত্র ভারা করে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়।কিন্তু সেই বদলি পরীক্ষাথী কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার পর শেষ পরীক্ষার দিনে হলে ধরা পড়ে এবং তাকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে এক্সফেল ও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। ফলে ঐ ছাত্রের ভবিষ্যতে নষ্ট হয়ে যায়। এই খবরটি সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার হলেও ঐ মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি এড়িয়ে চলে।
খাড়িতা দাখিল মাদ্রাসার ঐ একই অবস্থা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আগে এ (খাড়িতা) মাদ্রাসায় অনেক ছাত্রছাত্রী ছিলো পড়াশোনাও ভালো ছিলো।কিন্তু এখন আগের মতো কোন পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী আসে না।মাস্টার রা ঠিক সময়ে মাদ্রাসায় আসে না।মাস্টাররা তাদের ইচ্ছা মতো মাদ্রাসায় আসে গল্প গুজব করে আবার তিনটা না বাজতেই মাদ্রাসায় তালা দিয়ে চলে যায়। এই হলো মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর একই অবস্থা।নেই কোন সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রী। মাস্টাররা হাতে গনা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করছেন। আর মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের বেতন নিচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে অধিকাংশ দাখিল ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা, ৩ টা না বাজতেই মাদ্রাসা ছুটি

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশকয়েকটি ইবতেদায়ী সংযুক্ত দাখিল মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা। ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দর কোল ফাতেমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বৈরাগীহাট সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা, খারিতা দাখিল মাদ্রাসা ও খলসি দাখিল মাদ্রাসা গুলোতে তেমন কোনো ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকাল দশটায় যখন প্রথম ক্লাসে হাজির হয় এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি গননা করে তখন দেখা যায় কয়েকটা ক্লাস মিলে ১৫ থেকে ১৬ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছে। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

এসব মাদ্রাসায় কোন ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয় না।কিন্তু এখানকার পড়াশোনার মান ভালো না হওয়ায় অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছে। ফলে ঐ মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয়েছে। এমনকি দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায় না।তাই শিক্ষকরা তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ছাত্র ছাত্রী যোগাড় করে পরীক্ষা দেওয়ায়। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। এছাড়াও গত ২০২৩ সালে এসএসসি /দাখিল পরীক্ষায় বৈরাগীহাট দাখিল মাদ্রাসার এক পরীক্ষাথীর বদলি পরীক্ষাথী হিসেবে ছাত্র ভারা করে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়।কিন্তু সেই বদলি পরীক্ষাথী কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার পর শেষ পরীক্ষার দিনে হলে ধরা পড়ে এবং তাকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে এক্সফেল ও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। ফলে ঐ ছাত্রের ভবিষ্যতে নষ্ট হয়ে যায়। এই খবরটি সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার হলেও ঐ মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি এড়িয়ে চলে।
খাড়িতা দাখিল মাদ্রাসার ঐ একই অবস্থা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আগে এ (খাড়িতা) মাদ্রাসায় অনেক ছাত্রছাত্রী ছিলো পড়াশোনাও ভালো ছিলো।কিন্তু এখন আগের মতো কোন পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী আসে না।মাস্টার রা ঠিক সময়ে মাদ্রাসায় আসে না।মাস্টাররা তাদের ইচ্ছা মতো মাদ্রাসায় আসে গল্প গুজব করে আবার তিনটা না বাজতেই মাদ্রাসায় তালা দিয়ে চলে যায়। এই হলো মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর একই অবস্থা।নেই কোন সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রী। মাস্টাররা হাতে গনা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করছেন। আর মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের বেতন নিচ্ছে।