ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

গোবিন্দগঞ্জে অধিকাংশ দাখিল ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা, ৩ টা না বাজতেই মাদ্রাসা ছুটি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশকয়েকটি ইবতেদায়ী সংযুক্ত দাখিল মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা। ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দর কোল ফাতেমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বৈরাগীহাট সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা, খারিতা দাখিল মাদ্রাসা ও খলসি দাখিল মাদ্রাসা গুলোতে তেমন কোনো ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকাল দশটায় যখন প্রথম ক্লাসে হাজির হয় এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি গননা করে তখন দেখা যায় কয়েকটা ক্লাস মিলে ১৫ থেকে ১৬ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছে। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

এসব মাদ্রাসায় কোন ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয় না।কিন্তু এখানকার পড়াশোনার মান ভালো না হওয়ায় অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছে। ফলে ঐ মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয়েছে। এমনকি দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায় না।তাই শিক্ষকরা তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ছাত্র ছাত্রী যোগাড় করে পরীক্ষা দেওয়ায়। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। এছাড়াও গত ২০২৩ সালে এসএসসি /দাখিল পরীক্ষায় বৈরাগীহাট দাখিল মাদ্রাসার এক পরীক্ষাথীর বদলি পরীক্ষাথী হিসেবে ছাত্র ভারা করে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়।কিন্তু সেই বদলি পরীক্ষাথী কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার পর শেষ পরীক্ষার দিনে হলে ধরা পড়ে এবং তাকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে এক্সফেল ও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। ফলে ঐ ছাত্রের ভবিষ্যতে নষ্ট হয়ে যায়। এই খবরটি সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার হলেও ঐ মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি এড়িয়ে চলে।
খাড়িতা দাখিল মাদ্রাসার ঐ একই অবস্থা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আগে এ (খাড়িতা) মাদ্রাসায় অনেক ছাত্রছাত্রী ছিলো পড়াশোনাও ভালো ছিলো।কিন্তু এখন আগের মতো কোন পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী আসে না।মাস্টার রা ঠিক সময়ে মাদ্রাসায় আসে না।মাস্টাররা তাদের ইচ্ছা মতো মাদ্রাসায় আসে গল্প গুজব করে আবার তিনটা না বাজতেই মাদ্রাসায় তালা দিয়ে চলে যায়। এই হলো মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর একই অবস্থা।নেই কোন সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রী। মাস্টাররা হাতে গনা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করছেন। আর মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের বেতন নিচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে অধিকাংশ দাখিল ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা, ৩ টা না বাজতেই মাদ্রাসা ছুটি

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশকয়েকটি ইবতেদায়ী সংযুক্ত দাখিল মাদ্রাসা গুলোর করুন দশা। ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দর কোল ফাতেমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বৈরাগীহাট সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা, খারিতা দাখিল মাদ্রাসা ও খলসি দাখিল মাদ্রাসা গুলোতে তেমন কোনো ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকাল দশটায় যখন প্রথম ক্লাসে হাজির হয় এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি গননা করে তখন দেখা যায় কয়েকটা ক্লাস মিলে ১৫ থেকে ১৬ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছে। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রী নেই বললেই চলে।

এসব মাদ্রাসায় কোন ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয় না।কিন্তু এখানকার পড়াশোনার মান ভালো না হওয়ায় অবিভাবকগন তাদের ছেলে মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছে। ফলে ঐ মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রীর সংকট হয়েছে। এমনকি দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায় না।তাই শিক্ষকরা তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ছাত্র ছাত্রী যোগাড় করে পরীক্ষা দেওয়ায়। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। এছাড়াও গত ২০২৩ সালে এসএসসি /দাখিল পরীক্ষায় বৈরাগীহাট দাখিল মাদ্রাসার এক পরীক্ষাথীর বদলি পরীক্ষাথী হিসেবে ছাত্র ভারা করে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়।কিন্তু সেই বদলি পরীক্ষাথী কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার পর শেষ পরীক্ষার দিনে হলে ধরা পড়ে এবং তাকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে এক্সফেল ও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। ফলে ঐ ছাত্রের ভবিষ্যতে নষ্ট হয়ে যায়। এই খবরটি সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার হলেও ঐ মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি এড়িয়ে চলে।
খাড়িতা দাখিল মাদ্রাসার ঐ একই অবস্থা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আগে এ (খাড়িতা) মাদ্রাসায় অনেক ছাত্রছাত্রী ছিলো পড়াশোনাও ভালো ছিলো।কিন্তু এখন আগের মতো কোন পড়াশোনা না হওয়ায় ছাত্রছাত্রী আসে না।মাস্টার রা ঠিক সময়ে মাদ্রাসায় আসে না।মাস্টাররা তাদের ইচ্ছা মতো মাদ্রাসায় আসে গল্প গুজব করে আবার তিনটা না বাজতেই মাদ্রাসায় তালা দিয়ে চলে যায়। এই হলো মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা। আর সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গুলোর একই অবস্থা।নেই কোন সংখ্যা গরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রী। মাস্টাররা হাতে গনা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করছেন। আর মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের বেতন নিচ্ছে।