ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই – সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাব-রেজিস্টার প্রদীপের ঘুষ দুর্নীতির অনুসন্ধানে সময়ের কন্ঠ পত্রিকা বৈষম্যহীন দেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা উৎসবের উল্লাসে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা ভাঙ্গুড়ায় পল্লী পশু চিকিৎসক ও প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় ধরা ভোলালর চরফ্যাসনে মৎস্য অফিসের অফিস সহকারীর আলিশান বাড়ি,গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ টঙ্গীর বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি আদালত এলাকায় জনরোষ থেকে নিরাপত্তা হেফাজতে! “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” শুভ নববর্ষ ১৪৩২ নবীনগর জুলাইপাড়ার প্রবাসী ও গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নতুন রাস্তা ও কাঠের ব্রিজ শুভ উদ্বোধন আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল

গোবিন্দগঞ্জে নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্য মূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাঁচা বাজারে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর মূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে। দাম বৃদ্ধির কারণে দ্রুব্য মূল্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিমাগার কোল্ড স্টোর গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু আছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে আলু ক্রয় করে পর্যাপ্ত আলি স্টোরে সংরক্ষণ করে রেখেছে। সেদিকে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। এসব আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মূল্য তোয়াক্কা না করে বেশি দামে বিক্রি করছে।
বাজারে এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা আলু স্টোরে ব্যাপারির কাছ থেকে দেশি আলু ৪৫ টাকা সূর্য মূখী আলু ৪০ টাকা এবং কাডিনাল আলু ৩৫/৩৬ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে এসেছি। এর কমে তারা আলু বিক্রি করে না।তাহলে আমরা কয়টাকা করে বিক্রি করবো।আমাদের ও তো পেট আছে।

বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত রেখে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি করেছে। আগে আমরা ১ শত টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে ব্যাগ ভরে বাজার করে আনতাম,কিন্তু এখন ৫ শত টাকা নিয়ে বাজার করতে গেলে কিছুই হয় না।
সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তিন আরও বলেন গোবিন্দগঞ্জ গরুহাটিতে সকালে নিয়মিত কাঁচা বাজার আড়তের হাট বসে।সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা বেগুন, পটোল,মূলা,কাঁচামরিচ,কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।যেমন : বেগুন ৪৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ টাকায়,পটল ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৫০ টাকায়,মূলা ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ৪০ টাকায়,কাঁচামরিচ ১৬০/১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
একজন দিনমজুরির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা আগের মতো এখন কাজ পায়না।আর যদি কাজ পায়, সে কাজের দিনমজুরি হিসেবে ৪ শত টাকা পায়। তা দিয়ে আমাদের কোনো মতো সংসার চলতো।কিন্তু এখন বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। চাল,ডাল,তেল,পেঁয়াজ,আলু কিনতেই সব টাকা শেষ হয়,তাহলে আমরা মাছ,গোস্ত কিনবো কই থেকে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বাজারে এভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের দিনমজুর মানুষের মরণ ছারা কোন উপায় নেই। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ সরকার কিছু দ্রব্যর দাম নির্ধারণ করে দিলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকার বেঁধে দেওয়া মূল্যর তোয়াক্কা না করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এজন্য তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকারকে বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্য মূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে

আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাঁচা বাজারে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর মূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে। দাম বৃদ্ধির কারণে দ্রুব্য মূল্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিমাগার কোল্ড স্টোর গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু আছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে আলু ক্রয় করে পর্যাপ্ত আলি স্টোরে সংরক্ষণ করে রেখেছে। সেদিকে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। এসব আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মূল্য তোয়াক্কা না করে বেশি দামে বিক্রি করছে।
বাজারে এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা আলু স্টোরে ব্যাপারির কাছ থেকে দেশি আলু ৪৫ টাকা সূর্য মূখী আলু ৪০ টাকা এবং কাডিনাল আলু ৩৫/৩৬ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে এসেছি। এর কমে তারা আলু বিক্রি করে না।তাহলে আমরা কয়টাকা করে বিক্রি করবো।আমাদের ও তো পেট আছে।

বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত রেখে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি করেছে। আগে আমরা ১ শত টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে ব্যাগ ভরে বাজার করে আনতাম,কিন্তু এখন ৫ শত টাকা নিয়ে বাজার করতে গেলে কিছুই হয় না।
সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তিন আরও বলেন গোবিন্দগঞ্জ গরুহাটিতে সকালে নিয়মিত কাঁচা বাজার আড়তের হাট বসে।সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা বেগুন, পটোল,মূলা,কাঁচামরিচ,কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।যেমন : বেগুন ৪৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ টাকায়,পটল ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৫০ টাকায়,মূলা ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ৪০ টাকায়,কাঁচামরিচ ১৬০/১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
একজন দিনমজুরির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা আগের মতো এখন কাজ পায়না।আর যদি কাজ পায়, সে কাজের দিনমজুরি হিসেবে ৪ শত টাকা পায়। তা দিয়ে আমাদের কোনো মতো সংসার চলতো।কিন্তু এখন বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। চাল,ডাল,তেল,পেঁয়াজ,আলু কিনতেই সব টাকা শেষ হয়,তাহলে আমরা মাছ,গোস্ত কিনবো কই থেকে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বাজারে এভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের দিনমজুর মানুষের মরণ ছারা কোন উপায় নেই। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ সরকার কিছু দ্রব্যর দাম নির্ধারণ করে দিলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকার বেঁধে দেওয়া মূল্যর তোয়াক্কা না করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এজন্য তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকারকে বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ করেন।