ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান

দশ বছরেও ভাগ্য পরিবর্তন হলোনা নদী পারের মানুষের

আবু তারেক গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

বছর আসে বছর যায় কিন্তু আমাদের ভাগ্যর পরিবর্তন হয় না বললেন গোবিন্দগঞ্জের পৌর এলাকার খলসি গ্রামের নদী পারের মানুষ। তারা বলছেন দশ বছরে আমাদের এ গ্রামটি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে কোন বাধ সংস্কার করা হয়নি। এলাকাবাসী বলছেন আমাদের ভাগ্য ভালো কারন গত তিন বছরে বড় কোন বন্যা হয়নি। গত তিন বছর যদি বড় কোন বন্যা হতো তাহলে এ অংশের নদী ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক গ্রাস করতো। এ কারনে মহান সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। সৃষ্টিকর্তা এবং সরকার ছাড়া আমাদের কেউ নেই তারা চাইলে আমাদের এ বাধটি মেরামত হতে পারে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। এখানে ঝড়ঝঞ্জা, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। নদীভাঙ্গন ও তেমনি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের প্লাবন ভূমির প্রায় ৫ ভাগ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। নদীতে যখন প্রচন্ড ¯্রােত থাকে তখন এসব ঢেউ দুই পাড়ের ক্ষয় ঘটায়। ফলে নদী পাড়ের মাটি সাধারণত দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রতি বছর বর্ষার শুরু হতে শেষ পর্যন্ত নদীভাঙন চলতেই থাকে।

নির্বাচন এলে অনেক নেতাই প্রতিশ্রতি দেয় কিন্তু কোন কাজ হয়না। এভাবেই চলে যায় বছর পেরিয়ে যুগ কিন্তু এ বাঁধের কোন কাজ হয় না। আমরা বিভিন্ন মিডিয়া ও পেপার পত্রিকায় শুনি বন্যা আসলে বাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে সরকার কিন্তু আমাদের খলসি থেকে হাওয়া খানা পর্যন্ত কোন কাজ করতে দেখলাম না কোন দিন। পৌর সভার ২,৪নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত এ অঞ্চলটির মানুষ নদী ভাঙ্গনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে। বাধ না থাকায় প্রতি বছর বন্যায় করাল গ্রাসে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বসতভিটা,সরকরী স্থাপনা,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির শসান,ব্রীজ সহ নানা স্থাপনা রয়েছে হুমকির মুখে। বন্যার সময় সনাতন ধর্মালম্বীর কোন মানুষের মৃত্যু হলে শসানে সৎকার্য করা অসম্ভব হয়ে পরে। তাই নদী পারের এমানুষ এ বাঁধটি দ্রæত সংস্কার করে স্থায়ী সমাধানের আশা তাদের।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজিক্টে(এলজিএসপি) সিসি বেøাক দিয়ে একশত দশ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রটেকশন ওয়াল এর প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। সেটি বর্তমান বিশ্বের বৈশিক অর্থনৈতিক সংকটের কারনে বাস্তবায়ন হয়নি তবে সংকট কেটে গেলে এটি বাস্তবায়ন হবে। এ প্রটেকশন ওয়ালটি নির্মান হলে নদীতীর বর্তী মানুষের নদী ভাঙ্গনের যে সমস্যা সেটি থাকবে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দশ বছরেও ভাগ্য পরিবর্তন হলোনা নদী পারের মানুষের

আপডেট টাইম : ১১:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

বছর আসে বছর যায় কিন্তু আমাদের ভাগ্যর পরিবর্তন হয় না বললেন গোবিন্দগঞ্জের পৌর এলাকার খলসি গ্রামের নদী পারের মানুষ। তারা বলছেন দশ বছরে আমাদের এ গ্রামটি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে কোন বাধ সংস্কার করা হয়নি। এলাকাবাসী বলছেন আমাদের ভাগ্য ভালো কারন গত তিন বছরে বড় কোন বন্যা হয়নি। গত তিন বছর যদি বড় কোন বন্যা হতো তাহলে এ অংশের নদী ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক গ্রাস করতো। এ কারনে মহান সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। সৃষ্টিকর্তা এবং সরকার ছাড়া আমাদের কেউ নেই তারা চাইলে আমাদের এ বাধটি মেরামত হতে পারে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। এখানে ঝড়ঝঞ্জা, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। নদীভাঙ্গন ও তেমনি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের প্লাবন ভূমির প্রায় ৫ ভাগ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। নদীতে যখন প্রচন্ড ¯্রােত থাকে তখন এসব ঢেউ দুই পাড়ের ক্ষয় ঘটায়। ফলে নদী পাড়ের মাটি সাধারণত দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রতি বছর বর্ষার শুরু হতে শেষ পর্যন্ত নদীভাঙন চলতেই থাকে।

নির্বাচন এলে অনেক নেতাই প্রতিশ্রতি দেয় কিন্তু কোন কাজ হয়না। এভাবেই চলে যায় বছর পেরিয়ে যুগ কিন্তু এ বাঁধের কোন কাজ হয় না। আমরা বিভিন্ন মিডিয়া ও পেপার পত্রিকায় শুনি বন্যা আসলে বাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে সরকার কিন্তু আমাদের খলসি থেকে হাওয়া খানা পর্যন্ত কোন কাজ করতে দেখলাম না কোন দিন। পৌর সভার ২,৪নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত এ অঞ্চলটির মানুষ নদী ভাঙ্গনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে। বাধ না থাকায় প্রতি বছর বন্যায় করাল গ্রাসে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বসতভিটা,সরকরী স্থাপনা,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির শসান,ব্রীজ সহ নানা স্থাপনা রয়েছে হুমকির মুখে। বন্যার সময় সনাতন ধর্মালম্বীর কোন মানুষের মৃত্যু হলে শসানে সৎকার্য করা অসম্ভব হয়ে পরে। তাই নদী পারের এমানুষ এ বাঁধটি দ্রæত সংস্কার করে স্থায়ী সমাধানের আশা তাদের।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজিক্টে(এলজিএসপি) সিসি বেøাক দিয়ে একশত দশ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রটেকশন ওয়াল এর প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। সেটি বর্তমান বিশ্বের বৈশিক অর্থনৈতিক সংকটের কারনে বাস্তবায়ন হয়নি তবে সংকট কেটে গেলে এটি বাস্তবায়ন হবে। এ প্রটেকশন ওয়ালটি নির্মান হলে নদীতীর বর্তী মানুষের নদী ভাঙ্গনের যে সমস্যা সেটি থাকবে না।