আজমিরীগঞ্জে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানোর পর মেসেঞ্জারে বাক-বিতন্ডার জের ধরে সংঘর্ষে দুই জন আহত। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সদর ইউনিয়নের নোয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা মনিন্দ্র দাসের পুত্র রাসেল দাস (২০) কিছুদিন পুর্বে সাজু তালুকদারের এক আত্মীয়াকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাটায়। উক্ত আইডিটি সাজু তালুকদারের মোবাইলে লগইন থাকায় বিষয়টি সাজু তালুকদার জানতে পেরে মেসেঞ্জারে রাসেল দাসকে গালগালি করেন। এ নিয়ে মেসেঞ্জারে দুজনের মধ্যে গালাগালি ও বাক-বিতণ্ডা বাঁধে। এরই জের ধরে সাজু তালুকদার বুধবার বিকালে তার বন্ধু প্রান্ত দাসকে সাথে নিয়ে আজমিরীগঞ্জ সদরে আসেন। সদরে আসার পর আজমিরীগঞ্জ কলেজে পড়ুয়া তার আরো কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে গত মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার রাত প্রায় দশ ঘটিকায় আজমিরীগঞ্জ মধ্যবাজারের মাছ বাজার রাসেল দাসের কর্মস্থানের সামনে মাছ বাজারে রাসেল দাস ও অরুপ দাসকে মারপিট করে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধঁলে অরুপ দাস ও নুর আলম মিয়া আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনা স্হল থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে।আটককৃতরা হলো উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের অমরেশ তালুকদারের পুত্র সাজু তালুকদার (১৯) একই গ্রামের প্রভাস চন্দ্র দাসের পুত্র প্রান্ত দাস (১৯) এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বিষ্ণুপুরের জীবেন্দ্র বৈষ্ণবের পুত্র প্রজিত বৈষ্ণব। ২৭ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সকালে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর উদ্যোগে উভয়পক্ষের সম্মতিতে শালিশে বিষয়টি নিস্পত্তির শর্তে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেয় তাদের স্বজনরা। এই বিষয় জানার জন্য বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুসেঞ্জিত চৌধুরীর সঙ্গে ফোন আলোচনা করতে চাইলে তাহার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ভুপেন্দ্র বর্মন জানান, আকটকৃতরা এইচ এস সি পরিক্ষার্থী, তারা দুই বন্ধু একই ক্লাসে পড়ে ফেইসবুকে ম্যাসেঞ্জার লেখালেখির পর মন কশাকশি হলে এই ঘটনাটি ঘটে , এতে দুইজন আহত হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম ফারুক তাহার সঙ্গে আলোচনা বলেন, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেঞ্জিত চৌধুরীর , আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মমিনুর রহমান সজিব সহ এদের
উদ্যোগে উভয়পক্ষের সম্মতিতে শালিশে নিস্পত্তি করা হবে। বলে মুচলেখা দেয়ায় তাদেের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মমিনুর রহমান সজিব এর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করলে তিনি বলেন তাহারা এসএসসি পরীক্ষার্থী এদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে
দয়া করে আমরা সালিশের ব্যবস্থা করে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি।