ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয় বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

পাথরঘাটা রিপোর্টার।।

শিশু ধর্ষণ মামলায় ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ৩৫ দিন কারাবাসের অভিযোগ তুলেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বাদল মিয়া (৫৭)। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ডাক যোগে ঢাকার শিশু আদালত থেকে বাদল মিয়া নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেটি গ্রহণ করার পর এ গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় বরগুনা সদর থানায়।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। টানা ৩৫ দিন কারাবাসের পর গত ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জামিনের সাথে মামলা থেকে বাদল মিয়াকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

জামিনের পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উল্লেখ করেন, যে গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে মামলা নম্বর লেখা হয়েছে জি.আর ৪২৫/১৭ ও শিশু ৮৯০/১৮ (ঢাকা)।

এছাড়াও মামলা দায়েরের সাল ২০১৭ হলেও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিচারকের স্বাক্ষরের স্থলে তারিখ দেওয়া হয়েছে ৪ এপ্রিল ২০১৪।

অন্যদিকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতারের পর সেই তথ্য ডাকযোগে ঢাকা জজ আদালতে পাঠানো হলেও এ নামের কোন আদালত নেই বলে চিঠিটি ফেরত আসে। বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখ থাকা নম্বরে কোন মামলা বিচারাধীন নেই বলেও নিশ্চিত হয় বরগুনার আদালত। তাই বাদল মিয়াকে জামিনের পাশাপাশি এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

বাদল মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য ভুয়া একটি গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশের সোর্স সাইফুল ও ইলিয়াস বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে আমাকে ঘৃণ্য অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ৩৫ দিন কারাভোগ করিয়েছে। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান বলেন, ‘বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনা থানায় এসেছে ২০১৮ সালে। তখন আমি পিরোজপুরে কর্মরত ছিলাম। আমি বরগুনা থানায় যোগদান করেছি গত বছরের ৬ নভেম্বর। সে হিসেবে আমি যোগদান করার দুই বছর আগেই বরগুনা থানায় বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। তাই আদালতের আদেশ অনুযায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আমি আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যসব গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মতই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখানে পুলিশের কোন দোষ নেই। কেননা সকল ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না পুলিশের। তবে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয়

বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

পাথরঘাটা রিপোর্টার।।

শিশু ধর্ষণ মামলায় ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ৩৫ দিন কারাবাসের অভিযোগ তুলেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বাদল মিয়া (৫৭)। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ডাক যোগে ঢাকার শিশু আদালত থেকে বাদল মিয়া নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেটি গ্রহণ করার পর এ গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় বরগুনা সদর থানায়।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। টানা ৩৫ দিন কারাবাসের পর গত ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জামিনের সাথে মামলা থেকে বাদল মিয়াকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

জামিনের পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উল্লেখ করেন, যে গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে মামলা নম্বর লেখা হয়েছে জি.আর ৪২৫/১৭ ও শিশু ৮৯০/১৮ (ঢাকা)।

এছাড়াও মামলা দায়েরের সাল ২০১৭ হলেও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিচারকের স্বাক্ষরের স্থলে তারিখ দেওয়া হয়েছে ৪ এপ্রিল ২০১৪।

অন্যদিকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতারের পর সেই তথ্য ডাকযোগে ঢাকা জজ আদালতে পাঠানো হলেও এ নামের কোন আদালত নেই বলে চিঠিটি ফেরত আসে। বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখ থাকা নম্বরে কোন মামলা বিচারাধীন নেই বলেও নিশ্চিত হয় বরগুনার আদালত। তাই বাদল মিয়াকে জামিনের পাশাপাশি এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

বাদল মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য ভুয়া একটি গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশের সোর্স সাইফুল ও ইলিয়াস বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে আমাকে ঘৃণ্য অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ৩৫ দিন কারাভোগ করিয়েছে। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান বলেন, ‘বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনা থানায় এসেছে ২০১৮ সালে। তখন আমি পিরোজপুরে কর্মরত ছিলাম। আমি বরগুনা থানায় যোগদান করেছি গত বছরের ৬ নভেম্বর। সে হিসেবে আমি যোগদান করার দুই বছর আগেই বরগুনা থানায় বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। তাই আদালতের আদেশ অনুযায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আমি আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যসব গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মতই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখানে পুলিশের কোন দোষ নেই। কেননা সকল ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না পুলিশের। তবে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।