ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মা-তুমি অনন্ত, তুমি মহাসমুদ্র, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ গাজীপুরের কাশিমপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ২জন ও ধর্ষণ মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ নিজেকে কতটুকু জানি? আমাদের অবস্থার ভিত্তি কী? গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি মগবাজারে বিজয় উৎসবে আমীরে জামায়াতের দৃপ্ত ভাষণ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারত নাসিরনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত ভৈরবে দুলা ভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন ঘাতক গ্রেফতার বিগত সময়ে অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসাবে কাজ করেছে: প্রেস সচিব পাঁচ সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪২৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।