ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ৩৮৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।