ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শিক্ষাণবিশ নার্সের ভুলে মনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা রোগীর মৃত্যু

বরিশাল ব্যুরো
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শিক্ষাণবিশ নার্সের ভুলে মনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্যালাইনের মাধ্যমে দেয়া ইনজেকশন সারাসরি শিরায় পুশ করার সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ইউনিট-৩ ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মনোয়ারা বেগম (৭০) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নয়াভাঙ্গলী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ চৌকিদারের স্ত্রী।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিসিন-৩ ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেন। তবে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।

মৃতের ছেলে সেন্টু চৌকিদার জানান, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত বুধবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৩ এর মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় মনোয়ারা বেগমকে। গত চার দিনের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সোমবার সকালেও পরিবারের সদস্যদের সাথে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল মঙ্গলবার তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার।

তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে একজন নার্স এসে রোগীর শিরায় কে.টি নামক ইনজেকশন পুশ করে। এরপর মুহূর্তেই নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ডলে পড়েন মা। দ্রুত চিকিৎসককে ডাকা হলে তারা এসে সকাল সাড়ে ৯ টায় মাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

সেন্টু চৌকিদার বলেন, ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিতা ইনজেকশন সিরিঞ্জে ভরে রোগীর শরীরে পুশ করার জন্য শিক্ষাণবিশ (ইন্টার্ন) নার্স শায়েলা আক্তার বর্নাকে বলেন। বর্না রোগীর শিরায় ইনজেকশন পুশ করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মা। ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেনকে অভিযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আমাদের শান্তনা দিয়ে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেন বলেন, কয়েকজন স্বজন এমন অভিযোগ নিয়ে আসছিলেন। এখানে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসকদের কোন অবহেলা ছিল না। কে.টি নামক ইনজেকশনটি শরীরের পটাশিয়াম বা লবন পুরণ করে। ওই রোগীর শরীরে পটাশিয়ামের প্রচুর ঘাটতি ছিল। এজন্য তাকে কয়েকদিন ধরে ওই ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, ‘ইনজেকশন কে.টি স্যালাইনের সঙ্গে মিশিয়ে সল্পগতিতে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। আমরা ব্যবস্থাপত্রে সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু শুনেছি শিক্ষাণবিশ নার্স স্যালাইনে না মিশিয়ে সরাসরি রোগীর শিরায় পুশ করেছে। এ জন্য রোগীর মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছি। কী ঘটেছিল, কার কারণে ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিতা বলেন, ‘সকালে আমি ইনজেকশন রেডি করে ইন্টার্ন নার্স বর্নার হাতে তুলে দিয়ে রোগীর স্যালাইনে মিশিয়ে দিতে বলেছি। কিন্তু সেটা না করে বর্না সরাসরি রোগীর শিরায় পুশ করেছে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুনি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটা ওই ইন্টার্নের অসাবধানতার কারণে হতে পারে।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে কেউ নিয়ে আসেনি। স্বজনরা এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শিক্ষাণবিশ নার্সের ভুলে মনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা রোগীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শিক্ষাণবিশ নার্সের ভুলে মনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্যালাইনের মাধ্যমে দেয়া ইনজেকশন সারাসরি শিরায় পুশ করার সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ইউনিট-৩ ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মনোয়ারা বেগম (৭০) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নয়াভাঙ্গলী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ চৌকিদারের স্ত্রী।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিসিন-৩ ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেন। তবে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।

মৃতের ছেলে সেন্টু চৌকিদার জানান, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত বুধবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৩ এর মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় মনোয়ারা বেগমকে। গত চার দিনের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সোমবার সকালেও পরিবারের সদস্যদের সাথে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল মঙ্গলবার তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার।

তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে একজন নার্স এসে রোগীর শিরায় কে.টি নামক ইনজেকশন পুশ করে। এরপর মুহূর্তেই নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ডলে পড়েন মা। দ্রুত চিকিৎসককে ডাকা হলে তারা এসে সকাল সাড়ে ৯ টায় মাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

সেন্টু চৌকিদার বলেন, ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিতা ইনজেকশন সিরিঞ্জে ভরে রোগীর শরীরে পুশ করার জন্য শিক্ষাণবিশ (ইন্টার্ন) নার্স শায়েলা আক্তার বর্নাকে বলেন। বর্না রোগীর শিরায় ইনজেকশন পুশ করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মা। ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেনকে অভিযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আমাদের শান্তনা দিয়ে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের হোসেন বলেন, কয়েকজন স্বজন এমন অভিযোগ নিয়ে আসছিলেন। এখানে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসকদের কোন অবহেলা ছিল না। কে.টি নামক ইনজেকশনটি শরীরের পটাশিয়াম বা লবন পুরণ করে। ওই রোগীর শরীরে পটাশিয়ামের প্রচুর ঘাটতি ছিল। এজন্য তাকে কয়েকদিন ধরে ওই ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, ‘ইনজেকশন কে.টি স্যালাইনের সঙ্গে মিশিয়ে সল্পগতিতে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। আমরা ব্যবস্থাপত্রে সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু শুনেছি শিক্ষাণবিশ নার্স স্যালাইনে না মিশিয়ে সরাসরি রোগীর শিরায় পুশ করেছে। এ জন্য রোগীর মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছি। কী ঘটেছিল, কার কারণে ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিতা বলেন, ‘সকালে আমি ইনজেকশন রেডি করে ইন্টার্ন নার্স বর্নার হাতে তুলে দিয়ে রোগীর স্যালাইনে মিশিয়ে দিতে বলেছি। কিন্তু সেটা না করে বর্না সরাসরি রোগীর শিরায় পুশ করেছে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুনি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটা ওই ইন্টার্নের অসাবধানতার কারণে হতে পারে।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে কেউ নিয়ে আসেনি। স্বজনরা এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।