ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা: বিজেএসএ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে।
এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

বাংলাদেশের বিচারকদের সংগঠন বিজেএসএ-এর সভাপতি এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়া ও মহাসচিব মজিবুর রহমান আজ রোববার এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রহণ করা প্রস্তাবটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে। এই রায়ে কোনো বাহ্যিক প্রভাব, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রলোভন বা অন্য কোনো কারণ ছিল না।

আরও
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত
তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করছে, তা জোর দিয়ে বলা জরুরি। বিচারিক কার্যক্রম এবং নির্বাহী কার্যাবলীর মধ্যে কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। আমরা এই রেজুলেশনটিকে আমাদের বিচারবিভাগীয় কাজে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখি এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই। আমরা একে স্ববিরোধী মনে করি, কারণ, একদিকে বিচার বিভাগ মামলা জটের জন্য সমালোচিত হয়, অন্যদিকে, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য এর নিন্দা করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারসহ সংশ্লিষ্ট অনশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঢালাও ও আকস্মিক নিন্দাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা: বিজেএসএ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে।
এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

বাংলাদেশের বিচারকদের সংগঠন বিজেএসএ-এর সভাপতি এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়া ও মহাসচিব মজিবুর রহমান আজ রোববার এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রহণ করা প্রস্তাবটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে। এই রায়ে কোনো বাহ্যিক প্রভাব, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রলোভন বা অন্য কোনো কারণ ছিল না।

আরও
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত
তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করছে, তা জোর দিয়ে বলা জরুরি। বিচারিক কার্যক্রম এবং নির্বাহী কার্যাবলীর মধ্যে কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। আমরা এই রেজুলেশনটিকে আমাদের বিচারবিভাগীয় কাজে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখি এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই। আমরা একে স্ববিরোধী মনে করি, কারণ, একদিকে বিচার বিভাগ মামলা জটের জন্য সমালোচিত হয়, অন্যদিকে, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য এর নিন্দা করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারসহ সংশ্লিষ্ট অনশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঢালাও ও আকস্মিক নিন্দাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।