ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবি’র পণ্যে হাসিনা সরকারের স্লোগান দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে রমজানে প্রকাশ্যে খাবার খাওয়ায় ২০ জন মুসলিমকে গ্রেপ্তার করেছে নাইজেরিয়ান পুলিশ পুলিশ লাইনে গোপন বন্দিশালার খোঁজ মিলেছে: গুম কমিশন মিয়ানমারে বন্দী ৫০০ পাকিস্তানি, চালানো হচ্ছে ব্যাপক নির্যাতন আ.লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না : সারজিস মতিঝিল উত্তর থানা জামায়াত কর্তৃক সেহরি ও ইফতার ফুড প্যাকেট উপহার প্রদান জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে – ডা. শফিকুর রহমান ৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন শিকদার কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে- কী বলছেন ড. ইউনূস

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা: বিজেএসএ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে।
এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

বাংলাদেশের বিচারকদের সংগঠন বিজেএসএ-এর সভাপতি এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়া ও মহাসচিব মজিবুর রহমান আজ রোববার এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রহণ করা প্রস্তাবটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে। এই রায়ে কোনো বাহ্যিক প্রভাব, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রলোভন বা অন্য কোনো কারণ ছিল না।

আরও
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত
তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করছে, তা জোর দিয়ে বলা জরুরি। বিচারিক কার্যক্রম এবং নির্বাহী কার্যাবলীর মধ্যে কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। আমরা এই রেজুলেশনটিকে আমাদের বিচারবিভাগীয় কাজে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখি এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই। আমরা একে স্ববিরোধী মনে করি, কারণ, একদিকে বিচার বিভাগ মামলা জটের জন্য সমালোচিত হয়, অন্যদিকে, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য এর নিন্দা করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারসহ সংশ্লিষ্ট অনশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঢালাও ও আকস্মিক নিন্দাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা: বিজেএসএ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে।
এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

বাংলাদেশের বিচারকদের সংগঠন বিজেএসএ-এর সভাপতি এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়া ও মহাসচিব মজিবুর রহমান আজ রোববার এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রহণ করা প্রস্তাবটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

তারা আরও বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনাল এই মামলাটি নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছে, কেবল মাত্র বাস্তব প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং প্রযোজ্য আইনগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করেছে। এই রায়ে কোনো বাহ্যিক প্রভাব, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রলোভন বা অন্য কোনো কারণ ছিল না।

আরও
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত
তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করছে, তা জোর দিয়ে বলা জরুরি। বিচারিক কার্যক্রম এবং নির্বাহী কার্যাবলীর মধ্যে কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। আমরা এই রেজুলেশনটিকে আমাদের বিচারবিভাগীয় কাজে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখি এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই। আমরা একে স্ববিরোধী মনে করি, কারণ, একদিকে বিচার বিভাগ মামলা জটের জন্য সমালোচিত হয়, অন্যদিকে, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য এর নিন্দা করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারসহ সংশ্লিষ্ট অনশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঢালাও ও আকস্মিক নিন্দাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।