আনোয়ারায় বাঁশের সাঁকোয় দুই ইউনিয়নবাসীর চরম দুর্ভোগ
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বহুদিন ধরে শুনে আসতেছি এখানে পাকা ব্রিজ হবে। ভোট আসলে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা
আশ্বাস দেয় ব্রিজ করে দিবেন আর অফিসাররা আসলে শুধু ম্যাপে নিয়ে যায়। এত বছর হয়ে গেছে কিন্তু ব্রিজ আর পাকা হয় না।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা জুঁইদণ্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের সাপমারা খালের ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোর পাশে দাঁড়িয়ে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন জুঁইদণ্ডী গ্রামের বৃদ্ধ ফখরুল আহমদ।
উপজেলার দুই ইউনিয়নের যাতায়াতের মাধ্যম সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচল রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। জরুরিভিত্তিতে সাঁকোটি মেরামত না করলে দুই পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ছাড়াও জুঁইদণ্ডী জেকেএস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। এ
সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে মানুষ। তবে খালের ওপর ৬৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সুপারিশপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমিন শরীফ জানান, দুই ইউনিয়নের যাতায়াতের মাধ্যম সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে মানুষের যাতায়াত। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশে দ্রুত মেরামত করে দেয়া হয়েছে। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন উপজেলার সাপমারা খালের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর দ্রুত মেরামতের জন্য বলা হয়েছিল, ইতোমধ্যে সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন এলে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।