ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

২০০৩ সালের নিউজ পোর্টাল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০০৩
  • / ৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ৪০০ শিশুর দুঃসহ জীবন কাটছে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টঃ-

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ৪০০-এর অধিক শিত বন্দি আছে। এদের অধিকাংশের বন্দিজীবন দুই বছরের বেশি পেরিয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর অগ্রগতি নেই। এই শিশুদের জামিনও হয়নি এ সময়ের মধ্যে।

শিশুদের দাগি আসামিদের সঙ্গেই মাধ

সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন “অধিকার’ ও ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে’র যৌথ অনুসন্ধান শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সারা দেশের ৬৫টি কারাগারে ১ হাজার ২০০-এর বেশি শিশু আছে ঢাকা কেন্দ্রায় কারাগার গত ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে শিশু অপরাধীদের আলাদা স্থানে রাখার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

তবে এ বিধান লঙ্ঘন করে

কারাবন্দি শিশুদের অধিকাংশ অস্ত্র, মাদক বা বিস্ফোরণ আইনে মামলার আসামি। তবে কারা ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির আগে পিকেটিং ঠেকানোর জন্য এবং কর্মসূচি চলাকালে গোলযোগের কারণে পুলিশ এসব শিশুদের ঢাকার রাস্তা থেকে গণহারে আটক করে। এসব শিশুকে দীর্ঘদিন আটক রাখাতে পুলিশ এদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য বা অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া মাদক পরিবহণ কাজে শিশুদের ব্যবহার করে একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী।

এতে শিশুরা ধরা পড়ে।এদিকে আইন বিষয়ক বলছে আইন আছে আইনের ব্যবস্থা নেই আজ শিশুরা রাজনৈতিক বলি হয়ে কারাগারে ভুগছে শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে কর্ম সেখানেই। অনুসন্ধানে চোখ রাখুন

(আরো পুরাতন খবরঃ-

 

এখন বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্রে যুদ্ধ হচ্ছে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টেঃ-
এখন কয়েকটি রাষ্ট্রে ইরাক থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল ইরাক যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থা। এই আক্রমণ শুরু হয় ১৯ মার্চ, ২০০৩ এ যা এক মাস ব্যাপী চলেছি। এর মাঝে ২১ দিন সর্বাত্মক যুদ্ধ হয়েছিল ,
যার এক দিকে ছিল ইরাক বাহিনী ও অন্যদিকে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ড এর সম্মিলিত বাহিনী। এই যুদ্ধ প্রাথমিক ভাবে শেষ হয় ১ মে, ২০০৩। এদিন তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যুদ্ধ সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর পরে গঠিত হয়, কোয়ালিশন প্রভিশনাল অথোরিটি (Coalition Provisional Authority বা সংক্ষেপে CPA). যা সক্রিয় ছিল জানুয়ারী ২০০৫ এ পরবর্তী ইরাকি পার্লামেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী ২০১১ পর্যন্ত ইরাক এ অবস্থান করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী প্রাথমিক অবস্থায় ১,৭৭,১৯৪ জন এর বাহিনী প্রেরণ করে যা ১৯ মার্চ ২০০৩ হতে ১ মে ২০০৩ পর্যন্ত বজায় ছিল। সৈন্যদের মাঝে ১,৩৩,০০০ জন ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ৪৫,০০০ জন ছিল যুক্তরাজ্য থেকে, ২০০০ জন ছিল অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং ১৯৪ জন ছিল পোল্যান্ড থেকে। পরবর্তীতে আরো ৩৬ টা দেশ এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল। আক্রমণের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে ১৮ ই ফেব্রুয়ারি তে যুক্তরাষ্ট্র হতে ১ লাখ সৈন্য কুয়েতেে এসে পৌছায়। যৌথ বাহিনী ইরাকি কুর্দিস্থানের পেশমার্গা’দের থেকে সহযোগিতা প্রাপ্ত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ভাষ্যনুযায়ী, তাদের লক্ষ্য “ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ ধবংস করা, সাদ্দামের সন্ত্রাসের প্রতি সহযোগিতা শেষ করা, এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা।” অন্যদের ভাষ্যনুযায়ী ইরাক আক্রমণ ছিল ১১ সেপ্টেম্বর-এ যুক্তরষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিশোধ। ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী আক্রমণের দরুণ যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ব্লেয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরাকের নিজেদের সম্ভাব্য নিউক্লিয়ার, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র ধ্বংসের অনীহাই ছিল এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার মূল অনুঘটক।

২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসের সিবিস পোল অনুযায়ী, ৬৪% আমেরিকান ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ কে অনুমোদন করেছন, ৬৩% চেয়েছিলেন বুশ যাতে যুদ্ধে না জড়িয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধান খোজার চেষ্টা করেন এবং ৬২% মনে করতেন এই যুদ্ধের দরুণ যুক্তরাষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। ইরাকের উপর এই আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দীর্ঘদিন এর মিত্র দের দ্বারা বিরোধিতার সম্মুখীন হয়, যার ভিতর উল্লেখযোগ্য ছিলঃ ফ্রান্স, কানাডা, জার্মান এবং নিউজিল্যান্ড। বিরোধিতাকারী দেশসমূহের যুক্তি ছিল UNMOVIC এর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইরাকে এমন কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায় নি যার দরুণ এখানে আক্রমণ যুক্তিযুক্ত হবে। আক্রমণ পরবর্তী সময়ে ইরাকে শত শত রাসায়নিক অস্ত্র পাওয়া যায় যা মূলত ১৯৯১ এর উপসাগরীয় যুদ্ধের আগে প্রস্তুতকৃত, যার বেশ কিছু সাদ্দাম হোসেনের শাসন কাল এর আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগই অকেজো অবস্থায় ছিল। প্রায় ৫০০০ এর মতন রাসায়নিক অস্ত্রের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় যা ১৯৯১ এর আগেই তৈরি করা হয়েছিল এবং অনেক আগে থেকেই পরিত্যক্ত ছিল। এই পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার ও ইরাকের উপর আক্রমণ কে যৌক্তিক প্রমাণ করে না।

যুদ্ধ শুরুর ১ মাস আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ এ বিশ্বব্যাপী ইরাক যুদ্ধের বিপক্ষে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়। এর মাঝে রোমে ত্রিশ লক্ষাধিক লোক এর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ উল্লেখযোগ্য ছিল। গিনেস বুক অফ রেকর্ড অনুযায়ী এই বিক্ষোভ ই ছিল যুদ্ধের বিপক্ষে সংঘটিত সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ। French academic Dominique Reynié এর হিসেব অনুযায়ী ২০০৩ সালের ৩ জানুয়ারি হতে ১২ ই এপ্রিল পর্যন্ত, বিশ্বের নানান প্রান্তের সর্বমোট ৩ কোটি ৬০ লক্ষ লোক সম্ভাব্য ইরাক এর উপর আক্রমণের প্রতিবাদ স্বরূপ সর্বমোট ৩০০০ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।

এই আক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০ মার্চ ২০০৩ এ বাগদাদের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস এর উপর বিমান আক্রমণ এর মাধ্যমে। পরবর্তী দিনে, যৌথ বাহিনী ইরাক-কুয়েত সীমান্ত হত বসরায় আক্রমণ সূচনা করে। একই সময়ে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত নেভাল বেজ হতে সাড়াশি আক্রমণ পরিচালিত হয় বসরা ও সংলগ্ন অঞ্চলের তেল খনি রক্ষার জন্য। অন্যদিকে নিয়মিত বাহিনী ইরাকে দক্ষিণ অঞ্চল দখলে মনোযোগী হয়। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য ছিল ২৩ মার্চ এ অনুষ্ঠিত নাসিরিয়াহ যুদ্ধ। উপুর্যপুরি বিমান আক্রমণের মাধ্যমে ইরাকি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া হয় যার দরুণ ইরাকি বাহিনী কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়নি। ২৬ মার্চ এ ১৭৩তম এয়ারবোর্ন ব্রিগেড উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক শহরের সন্নিকটে অবতরণ করে। যেখানে তারা কুর্দি বিদ্রোহী দের সাথে যুক্ত হয়ে ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ও উত্তরাঞ্চল কে করতলগত করে।বাহিনীর মূল অংশ ইরাকের কেন্দ্রস্থল অভিমুখী অভিযান বজায় রাখে। অভিযান চলাকালীন ইরাকি বাহিনী কর্তৃক খুব সামান্য বাধার সম্মুখীন হয়। বেশিরভাগ ইরাকি বাহিনী খুব দ্রুত পরাজিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর ভিতর বাগদাদ দখল সম্পন্ন হয়। এছাড়াও ইরাকের অন্য অঞ্চলে ও অভিযান বজায় ছিল, যেমন ১০ এপ্রিল কিরকুক দখলে আসে। তিরকিত (সাদ্দাম হোসেনের জন্মভূমি) ১৫ এপ্রিল দখলে আসে। যৌথ বাহিনীর দখল সম্পন্নের দরুণ সাদ্দাম হোসেন সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ লুকিয়ে থাকা শুরু করেন। ১ মে তে জর্জ ডব্লিউ বুশ আক্রমণের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ও ইরাকে সেনা দখলদারিত্বের সূচনা হয়।

(মফস্বল  পাতায় )

বাংলাদেশের ইতিহাস জিয়া মানেই  বাংলাদেশ বলে

জিয়ার নাম কোথায়?

গঠিত হয়েছিল বিএনপি নামের দলটি। এই দল

গঠনের কয়েকদিন অনুসন্ধানে জানতে পাই  চাঁদপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। দশকের পর দশক আমজনতার স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করেছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন- এমন কয়েকজন সেখানে উপস্থিত। আগের দিন চাঁদপুর শহরে বিএনপি গঠনের আয়োজিত সমাবেশের উল্লেখ করে একজন ব্যক্তি  বলেন, যে দলে যোগ দিলেই ক্ষমতাসীন- সে দলে যুক্ত হওয়ার যতো লোকের অভাব হয়নি। মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে না, কোনো সমস্যা নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করতে হবে না, জেল-জুলুম সহ্য করতে হবে না, নির্বাচন করতে হবে না- কী আনন্দ! কী আনন্দ!

বিএনপি নেতারা ঠিকই বলেন, কারও বক্তৃতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। তারা এটা বলতে চান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রসঙ্গে। প্রকৃতপক্ষে এটা প্রযোজ্য জিয়াউর রহমানের ‘২৭ মার্চ প্রদত্ত চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ভাষণ’ প্রসঙ্গে। যে লাখ লাখ

তরুণ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়নের জন্য মরণপ্রাণ লড়েছিল, তাদের মধ্যে একজনও কি মিলবে- যে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল? মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গনে গিয়েছে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে, সহযোদ্ধা কারও প্রাণ গেলে জাতীয় পতাকায় আবৃত করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানিয়েছে। এ সময় কেউ কি জিয়াউর রহমানের নাম নিয়েছে? তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এই স্লোগান দুটি নিষিদ্ধ করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শত শত গোপন দলিল প্রকাশ করেছে,

যেগুলোতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সে সময়ে পাকিস্তানে অবস্থিত মার্কিন কূটনীতিকরা পাঠিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের

পদস্থ ব্যক্তিদের আলোচনা থেকেও আমরা সে সময়ের অনেক ঘটনা জানতে পরি। এর কোনোটিতেই জিয়াউর রহমানের নাম পর্যন্ত নেই। ১৩ মার্চ সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে একটু দূরে ছিলেন, কিন্তু এটা ছিল নিছক কৌশলগত। তিনি স্পষ্ট করেন, তার লক্ষ্য ‘মুক্তি’- যা স্বাধীনতার খুব কাছের বিষয়।

পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাস থেকে ১৫ মার্চ, ১৯৭১ তারিখ জানানো হয়- Sheikh Mujibur Rahman announced in Dacca early today, that his party, the Awami League, was taking over the administration of East Pakistan on the grounds that the party had a majority (288 of 300 ) in the Provincial Assembly. Mujib acted unilaterally and in defiance of

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক আইন প্রশাসন যা পাকিস্তান সরকার অব্যাহত রেখেছে। মুজিবের ঘোষণায় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য 35টি “নির্দেশ” ছিল তা ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি ইচ্ছাকৃত এবং সাবধানে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ছিল।

এই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়, মুজিব সরাসরি ইয়াহিয়া সরকারের মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু সতর্কতার সাথে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার অযোগ্য ঘোষণা এড়িয়ে গেছেন এবং ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রকাশিত জনগণের “গণতান্ত্রিক” কণ্ঠস্বরের উপর ভিত্তি করে তার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইয়াহিয়া সরকারকে এই সমালোচনামূলক পদক্ষেপে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং ইয়াহিয়া নিজেই মুজিবের সাথে কথা বলার জন্য ঢাকায় উড়ে গেছেন।

২৬ মার্চ, ওয়াশিংটনে স্পোশাল গ্রুপ

২৬ মার্চ, ওয়াশিংটনে স্পোশাল গ্রুপ অব অ্যাকশনের সভার আলোচনায় জানানো হয়— A clandestine radio broadcast Mujibur Rahman declaring the independence of Bangla Desh.

এখানে জিয়াউর রহমান কোথায়? ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগা হিলালি প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে ইয়াহিয়া খানের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। এতে বলা হয়— In the larger interest of the country I exercised utmost restraint and patience and tried to evolve a generally acceptable formula to resolve constitutional difficulties. In pursuit of the same objective, I went personally to East Pakistan to hold consultations with Sheikh Mujibur Rahman. Even while I was there, the Awami League leaders continued to make statements and to indulge in practices which clearly showed that they were not

আপস ঢাকায় শেষ দফা আলোচনা আমাকে সন্দেহের অবকাশ দিয়েছিল যে দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য নিশ্চিত করবে এমন কোনো সাংবিধানিক ফর্মুলা মেনে নেওয়ার তাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না। অবশেষে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করেছিল যা কার্যত দেশকে ভেঙে ফেলার পরিমান ছিল।

বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিলে আগেরদিন বলা হয়-

Pakistan Ambassador Hilaly told Van Hollen on instructions April 16 that Government of Pakistan wished to bring to USG’s attention possible approach by representatives alleging to represent “Provisional Government of Bangla Desh.”

শপথ গ্রহণের পর ১৯ এপ্রিল হেনরি কিসিঞ্জার জানতে চান, বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কোথায় এবং কারা রয়েছে সরকারে। উত্তরে বলা হয়, স্থানটি কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায় (প্রথমে এখানেই শপথের কথা ছিল, পরে মেহেরপুরে স্থানান্তর করা হয়)। শেখ মুজিবুর রহমান সরকার প্রধান এবং তাজউদ্দিন আহমদ দ্বিতীয় ব্যক্তি।

৩ জুন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও হেনরি কিসিঞ্জারের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশ। কিসিঞ্জার বলেন- `If East Pakistan becomes independent, it is going to become a cesspool. It is going to be 100 million people, they have the lowest standard of living in Asia, no resources.’

Cesspool শব্দের অর্থ বাড়ির শৌচালয়ের মলমূত্র সংগ্রহের জন্য ভূগর্ভস্থ গর্ত। হায়! তার এ ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট

বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যে ভুল পথে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়, তার পেছনে হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকা ছিল। খোন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আসেন এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া। তারা পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু দেশ এবং বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মাধ্যমে যে সব নীতি ও কর্মসূচি বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল তার পরিণতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

১৯৭১ সালের ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক আলোচনায় বল হয়, পররাষ্ট্র দফতর has received document/2/ dated “Mujibnagar”, April 24, 1971, addressed to President. Document requests immediate USG recognition of

“সার্বভৌম স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” এর অবিলম্বে USG স্বীকৃতি এবং USG এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা যা বলে “২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা।” এছাড়াও সংযুক্ত রয়েছে 10 এপ্রিল, 1971 তারিখের “স্বাধীনতার ঘোষণা”, “ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি” ইসলাম কর্তৃক “বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানের আইন অব্যাহত রাখার ঘোষণা” এবং “রাষ্ট্রপতি” শেখ মুজিবুর রহমান সহ বাংলাদেশ সরকারের কথিত মন্ত্রিসভা। নথিটি পশ্চিম বার্লিন থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক এয়ার মেইল ​​পাঠানো হয়েছে, 26 মে, 1971 তারিখে পোস্টমার্ক করা হয়েছে

কোন ফেরত ঠিকানা ছাড়া.”সার্বভৌম স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” এর অবিলম্বে USG স্বীকৃতি এবং USG এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা যা বলে “২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা।” এছাড়াও সংযুক্ত রয়েছে 10 এপ্রিল, 1971 তারিখের “স্বাধীনতার ঘোষণা”, “ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি” ইসলাম কর্তৃক “বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানের আইন অব্যাহত রাখার ঘোষণা” এবং “রাষ্ট্রপতি” শেখ মুজিবুর রহমান সহ বাংলাদেশ সরকারের কথিত মন্ত্রিসভা। নথিটি পশ্চিম বার্লিন থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক এয়ার মেইল ​​পাঠানো হয়েছে, 26 মে, 1971 তারিখে পোস্টমার্ক করা হয়েছে কোন ফেরত ঠিকানা ছাড়াই।সাপ্তাহিক সময়ের  কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২০০৩ সালের নিউজ পোর্টাল

আপডেট টাইম : ১২:০০:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০০৩

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ৪০০ শিশুর দুঃসহ জীবন কাটছে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টঃ-

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ৪০০-এর অধিক শিত বন্দি আছে। এদের অধিকাংশের বন্দিজীবন দুই বছরের বেশি পেরিয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর অগ্রগতি নেই। এই শিশুদের জামিনও হয়নি এ সময়ের মধ্যে।

শিশুদের দাগি আসামিদের সঙ্গেই মাধ

সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন “অধিকার’ ও ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে’র যৌথ অনুসন্ধান শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সারা দেশের ৬৫টি কারাগারে ১ হাজার ২০০-এর বেশি শিশু আছে ঢাকা কেন্দ্রায় কারাগার গত ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে শিশু অপরাধীদের আলাদা স্থানে রাখার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

তবে এ বিধান লঙ্ঘন করে

কারাবন্দি শিশুদের অধিকাংশ অস্ত্র, মাদক বা বিস্ফোরণ আইনে মামলার আসামি। তবে কারা ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির আগে পিকেটিং ঠেকানোর জন্য এবং কর্মসূচি চলাকালে গোলযোগের কারণে পুলিশ এসব শিশুদের ঢাকার রাস্তা থেকে গণহারে আটক করে। এসব শিশুকে দীর্ঘদিন আটক রাখাতে পুলিশ এদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য বা অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া মাদক পরিবহণ কাজে শিশুদের ব্যবহার করে একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী।

এতে শিশুরা ধরা পড়ে।এদিকে আইন বিষয়ক বলছে আইন আছে আইনের ব্যবস্থা নেই আজ শিশুরা রাজনৈতিক বলি হয়ে কারাগারে ভুগছে শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে কর্ম সেখানেই। অনুসন্ধানে চোখ রাখুন

(আরো পুরাতন খবরঃ-

 

এখন বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্রে যুদ্ধ হচ্ছে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টেঃ-
এখন কয়েকটি রাষ্ট্রে ইরাক থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল ইরাক যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থা। এই আক্রমণ শুরু হয় ১৯ মার্চ, ২০০৩ এ যা এক মাস ব্যাপী চলেছি। এর মাঝে ২১ দিন সর্বাত্মক যুদ্ধ হয়েছিল ,
যার এক দিকে ছিল ইরাক বাহিনী ও অন্যদিকে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ড এর সম্মিলিত বাহিনী। এই যুদ্ধ প্রাথমিক ভাবে শেষ হয় ১ মে, ২০০৩। এদিন তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যুদ্ধ সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর পরে গঠিত হয়, কোয়ালিশন প্রভিশনাল অথোরিটি (Coalition Provisional Authority বা সংক্ষেপে CPA). যা সক্রিয় ছিল জানুয়ারী ২০০৫ এ পরবর্তী ইরাকি পার্লামেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী ২০১১ পর্যন্ত ইরাক এ অবস্থান করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী প্রাথমিক অবস্থায় ১,৭৭,১৯৪ জন এর বাহিনী প্রেরণ করে যা ১৯ মার্চ ২০০৩ হতে ১ মে ২০০৩ পর্যন্ত বজায় ছিল। সৈন্যদের মাঝে ১,৩৩,০০০ জন ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ৪৫,০০০ জন ছিল যুক্তরাজ্য থেকে, ২০০০ জন ছিল অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং ১৯৪ জন ছিল পোল্যান্ড থেকে। পরবর্তীতে আরো ৩৬ টা দেশ এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল। আক্রমণের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে ১৮ ই ফেব্রুয়ারি তে যুক্তরাষ্ট্র হতে ১ লাখ সৈন্য কুয়েতেে এসে পৌছায়। যৌথ বাহিনী ইরাকি কুর্দিস্থানের পেশমার্গা’দের থেকে সহযোগিতা প্রাপ্ত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ভাষ্যনুযায়ী, তাদের লক্ষ্য “ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ ধবংস করা, সাদ্দামের সন্ত্রাসের প্রতি সহযোগিতা শেষ করা, এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা।” অন্যদের ভাষ্যনুযায়ী ইরাক আক্রমণ ছিল ১১ সেপ্টেম্বর-এ যুক্তরষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিশোধ। ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী আক্রমণের দরুণ যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ব্লেয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরাকের নিজেদের সম্ভাব্য নিউক্লিয়ার, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র ধ্বংসের অনীহাই ছিল এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার মূল অনুঘটক।

২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসের সিবিস পোল অনুযায়ী, ৬৪% আমেরিকান ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ কে অনুমোদন করেছন, ৬৩% চেয়েছিলেন বুশ যাতে যুদ্ধে না জড়িয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধান খোজার চেষ্টা করেন এবং ৬২% মনে করতেন এই যুদ্ধের দরুণ যুক্তরাষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। ইরাকের উপর এই আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দীর্ঘদিন এর মিত্র দের দ্বারা বিরোধিতার সম্মুখীন হয়, যার ভিতর উল্লেখযোগ্য ছিলঃ ফ্রান্স, কানাডা, জার্মান এবং নিউজিল্যান্ড। বিরোধিতাকারী দেশসমূহের যুক্তি ছিল UNMOVIC এর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইরাকে এমন কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায় নি যার দরুণ এখানে আক্রমণ যুক্তিযুক্ত হবে। আক্রমণ পরবর্তী সময়ে ইরাকে শত শত রাসায়নিক অস্ত্র পাওয়া যায় যা মূলত ১৯৯১ এর উপসাগরীয় যুদ্ধের আগে প্রস্তুতকৃত, যার বেশ কিছু সাদ্দাম হোসেনের শাসন কাল এর আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগই অকেজো অবস্থায় ছিল। প্রায় ৫০০০ এর মতন রাসায়নিক অস্ত্রের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় যা ১৯৯১ এর আগেই তৈরি করা হয়েছিল এবং অনেক আগে থেকেই পরিত্যক্ত ছিল। এই পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার ও ইরাকের উপর আক্রমণ কে যৌক্তিক প্রমাণ করে না।

যুদ্ধ শুরুর ১ মাস আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ এ বিশ্বব্যাপী ইরাক যুদ্ধের বিপক্ষে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়। এর মাঝে রোমে ত্রিশ লক্ষাধিক লোক এর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ উল্লেখযোগ্য ছিল। গিনেস বুক অফ রেকর্ড অনুযায়ী এই বিক্ষোভ ই ছিল যুদ্ধের বিপক্ষে সংঘটিত সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ। French academic Dominique Reynié এর হিসেব অনুযায়ী ২০০৩ সালের ৩ জানুয়ারি হতে ১২ ই এপ্রিল পর্যন্ত, বিশ্বের নানান প্রান্তের সর্বমোট ৩ কোটি ৬০ লক্ষ লোক সম্ভাব্য ইরাক এর উপর আক্রমণের প্রতিবাদ স্বরূপ সর্বমোট ৩০০০ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।

এই আক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০ মার্চ ২০০৩ এ বাগদাদের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস এর উপর বিমান আক্রমণ এর মাধ্যমে। পরবর্তী দিনে, যৌথ বাহিনী ইরাক-কুয়েত সীমান্ত হত বসরায় আক্রমণ সূচনা করে। একই সময়ে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত নেভাল বেজ হতে সাড়াশি আক্রমণ পরিচালিত হয় বসরা ও সংলগ্ন অঞ্চলের তেল খনি রক্ষার জন্য। অন্যদিকে নিয়মিত বাহিনী ইরাকে দক্ষিণ অঞ্চল দখলে মনোযোগী হয়। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য ছিল ২৩ মার্চ এ অনুষ্ঠিত নাসিরিয়াহ যুদ্ধ। উপুর্যপুরি বিমান আক্রমণের মাধ্যমে ইরাকি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া হয় যার দরুণ ইরাকি বাহিনী কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়নি। ২৬ মার্চ এ ১৭৩তম এয়ারবোর্ন ব্রিগেড উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক শহরের সন্নিকটে অবতরণ করে। যেখানে তারা কুর্দি বিদ্রোহী দের সাথে যুক্ত হয়ে ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ও উত্তরাঞ্চল কে করতলগত করে।বাহিনীর মূল অংশ ইরাকের কেন্দ্রস্থল অভিমুখী অভিযান বজায় রাখে। অভিযান চলাকালীন ইরাকি বাহিনী কর্তৃক খুব সামান্য বাধার সম্মুখীন হয়। বেশিরভাগ ইরাকি বাহিনী খুব দ্রুত পরাজিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর ভিতর বাগদাদ দখল সম্পন্ন হয়। এছাড়াও ইরাকের অন্য অঞ্চলে ও অভিযান বজায় ছিল, যেমন ১০ এপ্রিল কিরকুক দখলে আসে। তিরকিত (সাদ্দাম হোসেনের জন্মভূমি) ১৫ এপ্রিল দখলে আসে। যৌথ বাহিনীর দখল সম্পন্নের দরুণ সাদ্দাম হোসেন সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ লুকিয়ে থাকা শুরু করেন। ১ মে তে জর্জ ডব্লিউ বুশ আক্রমণের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ও ইরাকে সেনা দখলদারিত্বের সূচনা হয়।

(মফস্বল  পাতায় )

বাংলাদেশের ইতিহাস জিয়া মানেই  বাংলাদেশ বলে

জিয়ার নাম কোথায়?

গঠিত হয়েছিল বিএনপি নামের দলটি। এই দল

গঠনের কয়েকদিন অনুসন্ধানে জানতে পাই  চাঁদপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। দশকের পর দশক আমজনতার স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করেছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন- এমন কয়েকজন সেখানে উপস্থিত। আগের দিন চাঁদপুর শহরে বিএনপি গঠনের আয়োজিত সমাবেশের উল্লেখ করে একজন ব্যক্তি  বলেন, যে দলে যোগ দিলেই ক্ষমতাসীন- সে দলে যুক্ত হওয়ার যতো লোকের অভাব হয়নি। মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে না, কোনো সমস্যা নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করতে হবে না, জেল-জুলুম সহ্য করতে হবে না, নির্বাচন করতে হবে না- কী আনন্দ! কী আনন্দ!

বিএনপি নেতারা ঠিকই বলেন, কারও বক্তৃতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। তারা এটা বলতে চান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রসঙ্গে। প্রকৃতপক্ষে এটা প্রযোজ্য জিয়াউর রহমানের ‘২৭ মার্চ প্রদত্ত চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ভাষণ’ প্রসঙ্গে। যে লাখ লাখ

তরুণ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়নের জন্য মরণপ্রাণ লড়েছিল, তাদের মধ্যে একজনও কি মিলবে- যে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল? মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গনে গিয়েছে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে, সহযোদ্ধা কারও প্রাণ গেলে জাতীয় পতাকায় আবৃত করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানিয়েছে। এ সময় কেউ কি জিয়াউর রহমানের নাম নিয়েছে? তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এই স্লোগান দুটি নিষিদ্ধ করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শত শত গোপন দলিল প্রকাশ করেছে,

যেগুলোতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সে সময়ে পাকিস্তানে অবস্থিত মার্কিন কূটনীতিকরা পাঠিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের

পদস্থ ব্যক্তিদের আলোচনা থেকেও আমরা সে সময়ের অনেক ঘটনা জানতে পরি। এর কোনোটিতেই জিয়াউর রহমানের নাম পর্যন্ত নেই। ১৩ মার্চ সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে একটু দূরে ছিলেন, কিন্তু এটা ছিল নিছক কৌশলগত। তিনি স্পষ্ট করেন, তার লক্ষ্য ‘মুক্তি’- যা স্বাধীনতার খুব কাছের বিষয়।

পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাস থেকে ১৫ মার্চ, ১৯৭১ তারিখ জানানো হয়- Sheikh Mujibur Rahman announced in Dacca early today, that his party, the Awami League, was taking over the administration of East Pakistan on the grounds that the party had a majority (288 of 300 ) in the Provincial Assembly. Mujib acted unilaterally and in defiance of

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক আইন প্রশাসন যা পাকিস্তান সরকার অব্যাহত রেখেছে। মুজিবের ঘোষণায় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য 35টি “নির্দেশ” ছিল তা ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি ইচ্ছাকৃত এবং সাবধানে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ছিল।

এই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়, মুজিব সরাসরি ইয়াহিয়া সরকারের মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু সতর্কতার সাথে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার অযোগ্য ঘোষণা এড়িয়ে গেছেন এবং ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রকাশিত জনগণের “গণতান্ত্রিক” কণ্ঠস্বরের উপর ভিত্তি করে তার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইয়াহিয়া সরকারকে এই সমালোচনামূলক পদক্ষেপে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং ইয়াহিয়া নিজেই মুজিবের সাথে কথা বলার জন্য ঢাকায় উড়ে গেছেন।

২৬ মার্চ, ওয়াশিংটনে স্পোশাল গ্রুপ

২৬ মার্চ, ওয়াশিংটনে স্পোশাল গ্রুপ অব অ্যাকশনের সভার আলোচনায় জানানো হয়— A clandestine radio broadcast Mujibur Rahman declaring the independence of Bangla Desh.

এখানে জিয়াউর রহমান কোথায়? ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগা হিলালি প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে ইয়াহিয়া খানের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। এতে বলা হয়— In the larger interest of the country I exercised utmost restraint and patience and tried to evolve a generally acceptable formula to resolve constitutional difficulties. In pursuit of the same objective, I went personally to East Pakistan to hold consultations with Sheikh Mujibur Rahman. Even while I was there, the Awami League leaders continued to make statements and to indulge in practices which clearly showed that they were not

আপস ঢাকায় শেষ দফা আলোচনা আমাকে সন্দেহের অবকাশ দিয়েছিল যে দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য নিশ্চিত করবে এমন কোনো সাংবিধানিক ফর্মুলা মেনে নেওয়ার তাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না। অবশেষে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করেছিল যা কার্যত দেশকে ভেঙে ফেলার পরিমান ছিল।

বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিলে আগেরদিন বলা হয়-

Pakistan Ambassador Hilaly told Van Hollen on instructions April 16 that Government of Pakistan wished to bring to USG’s attention possible approach by representatives alleging to represent “Provisional Government of Bangla Desh.”

শপথ গ্রহণের পর ১৯ এপ্রিল হেনরি কিসিঞ্জার জানতে চান, বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কোথায় এবং কারা রয়েছে সরকারে। উত্তরে বলা হয়, স্থানটি কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায় (প্রথমে এখানেই শপথের কথা ছিল, পরে মেহেরপুরে স্থানান্তর করা হয়)। শেখ মুজিবুর রহমান সরকার প্রধান এবং তাজউদ্দিন আহমদ দ্বিতীয় ব্যক্তি।

৩ জুন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও হেনরি কিসিঞ্জারের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশ। কিসিঞ্জার বলেন- `If East Pakistan becomes independent, it is going to become a cesspool. It is going to be 100 million people, they have the lowest standard of living in Asia, no resources.’

Cesspool শব্দের অর্থ বাড়ির শৌচালয়ের মলমূত্র সংগ্রহের জন্য ভূগর্ভস্থ গর্ত। হায়! তার এ ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট

বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যে ভুল পথে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়, তার পেছনে হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকা ছিল। খোন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আসেন এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া। তারা পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু দেশ এবং বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মাধ্যমে যে সব নীতি ও কর্মসূচি বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল তার পরিণতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

১৯৭১ সালের ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক আলোচনায় বল হয়, পররাষ্ট্র দফতর has received document/2/ dated “Mujibnagar”, April 24, 1971, addressed to President. Document requests immediate USG recognition of

“সার্বভৌম স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” এর অবিলম্বে USG স্বীকৃতি এবং USG এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা যা বলে “২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা।” এছাড়াও সংযুক্ত রয়েছে 10 এপ্রিল, 1971 তারিখের “স্বাধীনতার ঘোষণা”, “ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি” ইসলাম কর্তৃক “বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানের আইন অব্যাহত রাখার ঘোষণা” এবং “রাষ্ট্রপতি” শেখ মুজিবুর রহমান সহ বাংলাদেশ সরকারের কথিত মন্ত্রিসভা। নথিটি পশ্চিম বার্লিন থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক এয়ার মেইল ​​পাঠানো হয়েছে, 26 মে, 1971 তারিখে পোস্টমার্ক করা হয়েছে

কোন ফেরত ঠিকানা ছাড়া.”সার্বভৌম স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” এর অবিলম্বে USG স্বীকৃতি এবং USG এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা যা বলে “২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করা।” এছাড়াও সংযুক্ত রয়েছে 10 এপ্রিল, 1971 তারিখের “স্বাধীনতার ঘোষণা”, “ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি” ইসলাম কর্তৃক “বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানের আইন অব্যাহত রাখার ঘোষণা” এবং “রাষ্ট্রপতি” শেখ মুজিবুর রহমান সহ বাংলাদেশ সরকারের কথিত মন্ত্রিসভা। নথিটি পশ্চিম বার্লিন থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক এয়ার মেইল ​​পাঠানো হয়েছে, 26 মে, 1971 তারিখে পোস্টমার্ক করা হয়েছে কোন ফেরত ঠিকানা ছাড়াই।সাপ্তাহিক সময়ের  কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন