জকিগঞ্জের সেই আলোচিত শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার বদলি
- আপডেট টাইম : ১১:৩২:০৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩
- / ১২৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
জকিগঞ্জের আলোচিত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানাকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তার এ বদলির খবরে খুশি উপজেলা অধিকাংশ শিক্ষক।
গত ২০১৯ সালের ১৭ জুন জকিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দ্বায়িত্ব) হিসেবে নাজনীন সুলতানা যোগদানের পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠে আসে।
গত ২ জুলাই ২০২২ খ্রি: দৈনিক জনকন্ঠে ‘ জকিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা কাজে অনিয়মের অভিযোগ ‘শিরোনামে বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। ৪ জুলাই ২০২২ ‘দৈনিক যুগান্তর’ ও ‘দৈনিক আমাদের সময়ে’ পত্রিকায় জকিগঞ্জ বিদ্যালয়ের মেরামত প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগ’ শিরোনামে লেখা প্রকাশিত হয়।
এদিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের সোনাসার এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এনামুল হাসিন চিশতী গত ২০২২ সালের ৩১ জুলাই সকল অনিয়ম দূর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রকাশিত গণমাধ্যম দেখা যায় – প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা জকিগঞ্জে যোগদানের পরই বদলি বানিজ্য, শিক্ষা কমিটির নির্দেশ উপেক্ষা, বিভিন্ন প্রকল্পের কমিশন বাণিজ্য, অর্থের বিনিময়ে শ্রান্তি বিনোদনের ছুটি প্রদান, প্রশ্নপত্র বাণিজ্যে আলোচিত। আজ ২৮ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়।
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তার নাজনীন সুলতানা জকিগঞ্জে যোগদানের পরই দালাল শ্রেণির একদল শিক্ষকের সহায়তায় তিনি গোটা উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমকে বাণিজ্যখানায় রূপ দেন। প্রতিটি বিদ্যালয় ভিজিট ও বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা থেকে তাকে দিতে হয় নির্দিষ্ট অংক। টাকার ভাগ না দিলে তিনি ভিজিট রিপোর্টে শিক্ষার পরিবেশ ভালো না, শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না, ক্লাস করেন না এরকম মন্তব্য রেখেন। জকিগঞ্জের দালাল শ্রেণির শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে বারবার উপজেলা শিক্ষা অফিসাকে দুর্নীতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে আমাদের মান সম্মান, এই শিক্ষা বিভাগের বিরুদ্ধে বারবার কলঙ্কিত প্রশ্নবিদ্ধ এবং আলোচনা সমালোচনা থেকে ফিরিয়ে আসতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সচেতন মহলের দৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষকরা।