ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মেসির জোড়া গোলে বার্সার জয়

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ২৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক॥

দুই অর্ধে দেখা মিলল বার্সেলোনার দুই রূপ। প্রথমভাগে ভুগল প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙতে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলল পরিকল্পিত ফুটবল। জোড়া গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। অবনমন অঞ্চলের এলচেকে সহজেই হারিয়ে জয়ে ফিরল রোনাল্ড কুমানের দল।

কাম্প নউয়ে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লা লিগার ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোলের পর তাদের শেষ গোলটি করেন জর্দি আলবা।

জয়ে ফেরার মধ্য দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ, ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে বার্সেলোনা।

২৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হতে পারতো। তবে ছয় গজ বক্সে একজনকে কাটিয়ে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এলচের সুযোগটি ছিল আরও সহজ। কিন্তু ১০ গজ দূর থেকে উড়িয়ে মারেন অরক্ষিত লুকাস বোয়ে।

প্রথমার্ধে প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে টানা আক্রমণ করলেও এলচের রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বার্সেলোনা। ডি-বক্সে তৎপর ত্রিনকাও ২০তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান। কিন্তু তার শট দারুণ রিফ্লেক্সে রুখে দেন গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া।

বিরতির খানিক আগে প্রতি-আক্রমণে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় সফরকারীরা। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন পেরে মিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে অপেক্ষা ফুরোয় বার্সেলোনার। বল পায়ে খানিকটা এগিয়ে ডি-বক্সের মুখে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। সতীর্থের ব্যাকহিলে ফিরতি পাস ধরে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা। গোলরক্ষক বাদিয়া ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও রুখতে পারেননি।

৬৮তম মিনিটে দারুণ গোছালো আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। আর বল ধরে দুজনের বাধা এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

প্রথম গোলে পিচিচি ট্রফির দৌড়ে লুইস সুয়ারেসকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে ওঠেন মেসি। এবার ব্যবধানটা বড় করলেন। তার গোল হলো ১৭টি। ২ গোল কম নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের সুয়ারেস।

আলবার ৭৩তম মিনিটের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার। মেসি ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে হেডে ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ান ব্রাথওয়েট। দারুণ ভঙ্গিমায় বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডিফেন্ডার আলবা।

বদলি নামা অঁতোয়ান গ্রিজমান শেষ দিকে ১ মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। ওয়ান-অন-ওয়ানে ক্রসবারে মারার পর কোনাকুনি শটে পাশের জাল কাঁপান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পাঁচ দিন পর লা লিগায় কাদিসের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল মেসিরা।

তিন দিন পর কঠিন পরীক্ষায় নামবে দলটি; লিগে খেলতে হবে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বর দল সেভিয়ার বিপক্ষে।

এর চার দিন পর ওই দলের বিপক্ষেই কোপা দেল রেতে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল কুমানের দল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেসির জোড়া গোলে বার্সার জয়

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক॥

দুই অর্ধে দেখা মিলল বার্সেলোনার দুই রূপ। প্রথমভাগে ভুগল প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙতে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলল পরিকল্পিত ফুটবল। জোড়া গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। অবনমন অঞ্চলের এলচেকে সহজেই হারিয়ে জয়ে ফিরল রোনাল্ড কুমানের দল।

কাম্প নউয়ে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লা লিগার ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোলের পর তাদের শেষ গোলটি করেন জর্দি আলবা।

জয়ে ফেরার মধ্য দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ, ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে বার্সেলোনা।

২৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হতে পারতো। তবে ছয় গজ বক্সে একজনকে কাটিয়ে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এলচের সুযোগটি ছিল আরও সহজ। কিন্তু ১০ গজ দূর থেকে উড়িয়ে মারেন অরক্ষিত লুকাস বোয়ে।

প্রথমার্ধে প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে টানা আক্রমণ করলেও এলচের রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বার্সেলোনা। ডি-বক্সে তৎপর ত্রিনকাও ২০তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান। কিন্তু তার শট দারুণ রিফ্লেক্সে রুখে দেন গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া।

বিরতির খানিক আগে প্রতি-আক্রমণে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় সফরকারীরা। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন পেরে মিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে অপেক্ষা ফুরোয় বার্সেলোনার। বল পায়ে খানিকটা এগিয়ে ডি-বক্সের মুখে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। সতীর্থের ব্যাকহিলে ফিরতি পাস ধরে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা। গোলরক্ষক বাদিয়া ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও রুখতে পারেননি।

৬৮তম মিনিটে দারুণ গোছালো আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। আর বল ধরে দুজনের বাধা এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

প্রথম গোলে পিচিচি ট্রফির দৌড়ে লুইস সুয়ারেসকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে ওঠেন মেসি। এবার ব্যবধানটা বড় করলেন। তার গোল হলো ১৭টি। ২ গোল কম নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের সুয়ারেস।

আলবার ৭৩তম মিনিটের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার। মেসি ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে হেডে ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ান ব্রাথওয়েট। দারুণ ভঙ্গিমায় বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডিফেন্ডার আলবা।

বদলি নামা অঁতোয়ান গ্রিজমান শেষ দিকে ১ মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। ওয়ান-অন-ওয়ানে ক্রসবারে মারার পর কোনাকুনি শটে পাশের জাল কাঁপান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পাঁচ দিন পর লা লিগায় কাদিসের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল মেসিরা।

তিন দিন পর কঠিন পরীক্ষায় নামবে দলটি; লিগে খেলতে হবে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বর দল সেভিয়ার বিপক্ষে।

এর চার দিন পর ওই দলের বিপক্ষেই কোপা দেল রেতে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল কুমানের দল।