ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

স্বামীর সঙ্গে ছোট বোনের পরকীয়া, যা করল বড় বোন

সিলেট জেলার প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

নির্মম। হৃদয় বিদারক। গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বড় বোন। ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া।

ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৭ নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের কাস্তইল গ্রামে। নিজের ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জাসমিন আক্তার। গত শুক্রবার জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১১টার পর জাসমিন আক্তার নিজ ঘরের ভেতর বিষ পান করলে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ প্রদান করেন। সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটেই মৃত্যু হয় জাসমিন আক্তারের।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাসমিন আক্তার উপজেলার কাস্তইল গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর তৃতীয় কন্যা। তার ছোট বোন মান্না বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় নিহত জাসমিন আক্তারের স্বামীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাম্প্রতিক সময়ে জাসমিন আক্তার বিষয়টি আচ করতে পারলে মা’কে অবগত করে বিচারপ্রার্থী হোন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী বলেন- তাকে অনেক বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কষ্ট সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে জীবাণু নাশক (দুই বোতল) বিষ পান করে আত্মহত্যা করে সে। জাসমিন আক্তার এবিষয় নিয়ে কয়েকদিন থেকে পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি করছে। মৃত্যুর আগে সে এও বলাবলি করে যে, বিষয়টি সমাধান না হলে সে আত্মহত্যা করবে। আরো বলেন, জাসমিন আক্তারের ৪০ বছরের জীবনে ৩টি বিয়ে হয়। প্রথম দাম্পত্য জীবনের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার। মান্না বেগমের পরকীয়ায় স্বামীর সাথে মনমালিন্যতা সৃষ্টির কারনে দীর্ঘদিন থেকে পিত্রালয়ে ছিলেন তিনি।
জানা যায় মান-সম্মানের ভয়ে একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ঢেকে রাখতে চেষ্টা করেন তাদের গর্ভধারিনী মা। অবশেষে গত বুধবার বিষয়টি মীমাংসার উদ্বোগ নিতে বাধ্য হলে মায়ের ডাকে সাড়া দেননি মান্না বেগম।
নিহতের মেয়ে আজহা আক্তার বলেন- মা ও খালার মধ্যে বেশ কয়েদিন ধরে মনমালিন্যতা চলে আসছে। গত মঙলবার থেকে বিষয়টি বিরূপ আকার ধারন করে এবং মোবাইল ফোনে মা ও খালার মধ্যে আরো বাক-বিতন্ডা হয়। তাৎক্ষনিক নানির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি নানার বাড়িতে আসলে খালা তার স্বামীর বাড়ি থেকে না আসায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মা বিষপান করেন। পরবর্তীতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জাসমিন আক্তারের বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা চৌধুরী টিপু জানান- বিষপানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। ঘটনার কারণ এখনো জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন- এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

স্বামীর সঙ্গে ছোট বোনের পরকীয়া, যা করল বড় বোন

নির্মম। হৃদয় বিদারক। গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বড় বোন। ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া।

ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৭ নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের কাস্তইল গ্রামে। নিজের ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জাসমিন আক্তার। গত শুক্রবার জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১১টার পর জাসমিন আক্তার নিজ ঘরের ভেতর বিষ পান করলে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ প্রদান করেন। সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটেই মৃত্যু হয় জাসমিন আক্তারের।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাসমিন আক্তার উপজেলার কাস্তইল গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর তৃতীয় কন্যা। তার ছোট বোন মান্না বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় নিহত জাসমিন আক্তারের স্বামীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাম্প্রতিক সময়ে জাসমিন আক্তার বিষয়টি আচ করতে পারলে মা’কে অবগত করে বিচারপ্রার্থী হোন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী বলেন- তাকে অনেক বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কষ্ট সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে জীবাণু নাশক (দুই বোতল) বিষ পান করে আত্মহত্যা করে সে। জাসমিন আক্তার এবিষয় নিয়ে কয়েকদিন থেকে পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি করছে। মৃত্যুর আগে সে এও বলাবলি করে যে, বিষয়টি সমাধান না হলে সে আত্মহত্যা করবে। আরো বলেন, জাসমিন আক্তারের ৪০ বছরের জীবনে ৩টি বিয়ে হয়। প্রথম দাম্পত্য জীবনের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার। মান্না বেগমের পরকীয়ায় স্বামীর সাথে মনমালিন্যতা সৃষ্টির কারনে দীর্ঘদিন থেকে পিত্রালয়ে ছিলেন তিনি।
জানা যায় মান-সম্মানের ভয়ে একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ঢেকে রাখতে চেষ্টা করেন তাদের গর্ভধারিনী মা। অবশেষে গত বুধবার বিষয়টি মীমাংসার উদ্বোগ নিতে বাধ্য হলে মায়ের ডাকে সাড়া দেননি মান্না বেগম।
নিহতের মেয়ে আজহা আক্তার বলেন- মা ও খালার মধ্যে বেশ কয়েদিন ধরে মনমালিন্যতা চলে আসছে। গত মঙলবার থেকে বিষয়টি বিরূপ আকার ধারন করে এবং মোবাইল ফোনে মা ও খালার মধ্যে আরো বাক-বিতন্ডা হয়। তাৎক্ষনিক নানির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি নানার বাড়িতে আসলে খালা তার স্বামীর বাড়ি থেকে না আসায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মা বিষপান করেন। পরবর্তীতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জাসমিন আক্তারের বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা চৌধুরী টিপু জানান- বিষপানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। ঘটনার কারণ এখনো জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন- এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বামীর সঙ্গে ছোট বোনের পরকীয়া, যা করল বড় বোন

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নির্মম। হৃদয় বিদারক। গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বড় বোন। ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া।

ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৭ নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের কাস্তইল গ্রামে। নিজের ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জাসমিন আক্তার। গত শুক্রবার জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১১টার পর জাসমিন আক্তার নিজ ঘরের ভেতর বিষ পান করলে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ প্রদান করেন। সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটেই মৃত্যু হয় জাসমিন আক্তারের।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাসমিন আক্তার উপজেলার কাস্তইল গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর তৃতীয় কন্যা। তার ছোট বোন মান্না বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় নিহত জাসমিন আক্তারের স্বামীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাম্প্রতিক সময়ে জাসমিন আক্তার বিষয়টি আচ করতে পারলে মা’কে অবগত করে বিচারপ্রার্থী হোন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী বলেন- তাকে অনেক বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কষ্ট সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে জীবাণু নাশক (দুই বোতল) বিষ পান করে আত্মহত্যা করে সে। জাসমিন আক্তার এবিষয় নিয়ে কয়েকদিন থেকে পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি করছে। মৃত্যুর আগে সে এও বলাবলি করে যে, বিষয়টি সমাধান না হলে সে আত্মহত্যা করবে। আরো বলেন, জাসমিন আক্তারের ৪০ বছরের জীবনে ৩টি বিয়ে হয়। প্রথম দাম্পত্য জীবনের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার। মান্না বেগমের পরকীয়ায় স্বামীর সাথে মনমালিন্যতা সৃষ্টির কারনে দীর্ঘদিন থেকে পিত্রালয়ে ছিলেন তিনি।
জানা যায় মান-সম্মানের ভয়ে একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ঢেকে রাখতে চেষ্টা করেন তাদের গর্ভধারিনী মা। অবশেষে গত বুধবার বিষয়টি মীমাংসার উদ্বোগ নিতে বাধ্য হলে মায়ের ডাকে সাড়া দেননি মান্না বেগম।
নিহতের মেয়ে আজহা আক্তার বলেন- মা ও খালার মধ্যে বেশ কয়েদিন ধরে মনমালিন্যতা চলে আসছে। গত মঙলবার থেকে বিষয়টি বিরূপ আকার ধারন করে এবং মোবাইল ফোনে মা ও খালার মধ্যে আরো বাক-বিতন্ডা হয়। তাৎক্ষনিক নানির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি নানার বাড়িতে আসলে খালা তার স্বামীর বাড়ি থেকে না আসায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মা বিষপান করেন। পরবর্তীতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জাসমিন আক্তারের বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা চৌধুরী টিপু জানান- বিষপানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। ঘটনার কারণ এখনো জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন- এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

স্বামীর সঙ্গে ছোট বোনের পরকীয়া, যা করল বড় বোন

নির্মম। হৃদয় বিদারক। গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বড় বোন। ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া।

ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৭ নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের কাস্তইল গ্রামে। নিজের ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জাসমিন আক্তার। গত শুক্রবার জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১১টার পর জাসমিন আক্তার নিজ ঘরের ভেতর বিষ পান করলে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ প্রদান করেন। সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটেই মৃত্যু হয় জাসমিন আক্তারের।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাসমিন আক্তার উপজেলার কাস্তইল গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর তৃতীয় কন্যা। তার ছোট বোন মান্না বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় নিহত জাসমিন আক্তারের স্বামীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাম্প্রতিক সময়ে জাসমিন আক্তার বিষয়টি আচ করতে পারলে মা’কে অবগত করে বিচারপ্রার্থী হোন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী বলেন- তাকে অনেক বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কষ্ট সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে জীবাণু নাশক (দুই বোতল) বিষ পান করে আত্মহত্যা করে সে। জাসমিন আক্তার এবিষয় নিয়ে কয়েকদিন থেকে পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি করছে। মৃত্যুর আগে সে এও বলাবলি করে যে, বিষয়টি সমাধান না হলে সে আত্মহত্যা করবে। আরো বলেন, জাসমিন আক্তারের ৪০ বছরের জীবনে ৩টি বিয়ে হয়। প্রথম দাম্পত্য জীবনের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার। মান্না বেগমের পরকীয়ায় স্বামীর সাথে মনমালিন্যতা সৃষ্টির কারনে দীর্ঘদিন থেকে পিত্রালয়ে ছিলেন তিনি।
জানা যায় মান-সম্মানের ভয়ে একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ঢেকে রাখতে চেষ্টা করেন তাদের গর্ভধারিনী মা। অবশেষে গত বুধবার বিষয়টি মীমাংসার উদ্বোগ নিতে বাধ্য হলে মায়ের ডাকে সাড়া দেননি মান্না বেগম।
নিহতের মেয়ে আজহা আক্তার বলেন- মা ও খালার মধ্যে বেশ কয়েদিন ধরে মনমালিন্যতা চলে আসছে। গত মঙলবার থেকে বিষয়টি বিরূপ আকার ধারন করে এবং মোবাইল ফোনে মা ও খালার মধ্যে আরো বাক-বিতন্ডা হয়। তাৎক্ষনিক নানির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি নানার বাড়িতে আসলে খালা তার স্বামীর বাড়ি থেকে না আসায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মা বিষপান করেন। পরবর্তীতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জাসমিন আক্তারের বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা চৌধুরী টিপু জানান- বিষপানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। ঘটনার কারণ এখনো জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন- এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।