কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদও ইসলামিক কমপ্লেক্সেএবার ২৩ বস্তা টাকা মিলেছে, চলছে গণনা
- আপডেট টাইম : ১১:১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
- / ১২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
তিন মাস ১৩ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে রক্ষিত আটটি লোহার দানবাক্স খোলা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে এবং ছয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিত এখন টাকা বাছাই ও গণনার কাজ চলছে। এই কাজে অংশ নিচ্ছেন মসজিদ কমিটির ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন স্টাফ ও মসজিদ সংলগ্ন নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৩৮ জন ছাত্র। তাছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্যও রয়েছেন।
এর আগে ৬ মে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ১৯ বস্তায় রেকর্ড পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকাসহ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন অথবা চার মাস পর পর দানববাক্সগুলো খোলা হয়।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় চার একর ভূমির ওপর পাগলা মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এসে দান ও মানত করতে আসেন। এছাড়াও প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও বিশ্বাসের কারণে এই মসজিদে এসে দান ও মানত করে থাকেন।