ছয়টি অফিসের কর্তা একজন – সাবরেজিস্টারে সংকটে জেলাবাসী
- আপডেট টাইম : ০৯:১৬:০৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
- / ১৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
একজন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ঠাকুরগাঁও জেলার ছয়টি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাণীশংকৈল উপজেলায় অনুপস্থিত থাকছেন সাব-রেজিস্ট্রার। কোন অফিসে সপ্তাহে ১দিন আবার কোন অফিসে অর্ধেক দিন এ ভাবেই চলছে জেলার রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। নির্দিষ্ট সময়য়ে জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দুটি ও বাকি চার উপজেলায় চারটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে। প্রায় দেড় মাস থেকে একজন সাব রেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ছয়টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস। এর আগে দুই বছরেরও বেশি সময় থেকে ছয়জন সাব রেজিস্ট্রারের পরিবর্তে তিনজন সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জেলার ছয়টি অফিস পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত ২ জুন থেকে মাত্র একজন সাব রেজিস্ট্রারের কাঁধে পড়ে ছয়টি অফিসের দায়িত্ব।
গত বুধবার (১৬ আগষ্ট) রাত ৮টার সময় রাণীশংকৈল সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হরিপুর অফিসে দলিল নিবন্ধন করার পরে, রাণীশংকৈল অফিসে সাড়ে ৪টার পর দলিল নিবন্ধন শুরু করছেন। এ দিন অফিসে ১৫/২০ টি দলিল নিবন্ধন করেন সাব-রেজিস্ট্রার আকরামুজ্জামান, এজলাস ছেড়ে উঠতে গেলে দলিল লেখকেরা সেবা গ্রহীতাগণের তোপেড় মুখে পরবেন মনে করে অফিসের ভিতরে একত্বতা ঘোষণা করে বলেন আমরা এভাবে অফিস করতে চাইনা। পরবর্তী সপ্তাহে আমাদের জন্য দুই দিন অফিস করা হোক, নয়তো আমরা কলম বিরতির সহ আরও কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা দিবো।
এ-সময় দেখা যায়, সেতাবগঞ্জ থেকে আসা খালেদা নামে এক মহিলা তার ছোট বাচ্চা কেলে নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে এসেছেন তিনি জনান,তিন সপ্তাহ থেকে এভাবেই ঘুরছি আজও হবে কিনা জানিনা।
একজন আশি বছরের বৃদ্ধ তিনিও তিন সপ্তাহ ধরে ঘুরছেন, এছাড়াও প্রায় দুই শত ভুক্তভোগী উপস্থিতি দেখা যায়।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, কেউ পাঁচ সপ্তাহ আবার কেউ সাত সপ্তাহ ধরে দলিল লেখকের কাছে দলিল সম্পাদনের জন্য ধরনা দিচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে জেলার ৬টি অফিসে সাব রেজিষ্ট্রার নিয়োগের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে ছয়টি অফিসের দায়িত্বে থাকা রাণীশংকৈল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আকরামুজ্জামান
এ প্রতিবদকে মুঠোফোনে বলেন, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আদেশে ছয়টি অফিস করতেছি,একা ছয়টি অফিস পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। এর পরও মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কাজ করছি। আগে তিনজন সাব-রেজিস্ট্রার থাকায় দু’টি করে অফিসের দায়িত্ব ছিল। তবে দু’জন এলপিআরে যাওয়ায় এখন একাই সব সামলাতে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে।