নাজিরপুরে ভারী বর্ষনে ভাঙ্গনের কবলে সড়ক
- আপডেট টাইম : ০৯:১০:০২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট ২০২৩
- / ১৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ভারী বর্ষনে ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামকাঠী বন্দর হতে আধাঝুড়ি সংযোগ সড়কটিতে মাঝে মাঝে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দেখা দিয়েছে জনাধারনের চলাচলের চরম ভোগান্তি।
এলাকাবাসী জানায়, রাস্তাটি দিয়ে পিরোজপুর জেলার শিকদারমল্লিক পাচপাড়া, গনকপাড়া, জুঝখোলা সহ নাজিরপুর উপজেলার পাজরাপাড়া, নৈলতলা, খেজুরতলা, চরখোলা, জয়পুর, শ্রীরামাকাঠী, ভীমকাঠী এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণ বাজারের দিনে এ রাস্তা থেকে যাতায়ত করে। ফলে তাদের যাতায়তে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। শ্রীরামকাঠী বন্দরের কালিগঙ্গা নদী হতে বলেশ্বর নদী পর্যন্ত সংযোগ খালের তীরবর্তী রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। অথচ এ এলাকার কৃষি নির্ভর জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়েই বাজারে তাদের কৃষি সবজি ধান,চাল,নারিকেল, সুপারি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন হাটে বাজারে যেতে হয়, তাদের এখন জীবিকার তাগিদে একমাত্র নৌকা ছাড়া যাতায়তের কোন উপায় নাই। বর্ষা মৌসুমে খালে প্রখর স্রোতের কারনে শত বছরের পুরান রাস্তাটি ধীরে ধীরে খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আবার রাস্তার কোন কোন স্থানে দেখা গেছে রাস্তা ভেঙ্গে এপাশ হতে ওপাশে নালার সৃষ্টি হয়েছে। স্খানীয়রা স্ব-উদ্যোগে বাঁশের চার দিয়ে চলাচল করে। এ রাস্তার পাশ দিয়ে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল করে, আরো রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক,এছাড়া শ্রীরামকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর কলেজ, নাজিরপুর সরকারি বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহাবিদ্যালয়, পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদেরও চলাচলের একমাত্র অবলম্বন এ রাস্তাটি।
এবিষয়ে অত্র এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জাহিদ হক জানান, রাস্তাটি শতবছরের পুরান,এখানেই আমাদের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, রাস্তাটি পুরাতন হলেও সংস্কারের অভাবে আস্তে আস্তে খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে,বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে প্রখর স্রোতের কারনে রাস্তার পাশ ভেঙ্গে যাচ্ছে, একের পর এক সরকার পরিবর্তন হলেও ভোটের সময় আমাদের প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তাটির কোন উন্নতি হচ্ছে না, প্রায়ই রাস্তা থেকে শিশুরা বিদ্যালয় যাওয়ার পথে ছাত্র ছাত্রী, পথিক পা পিছলে প্রখর স্রোতবাহী খালে পড়ে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান,রাস্তাটির প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, তবে এখনও পাশ হয়নি,আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাহাতে দ্রুত প্রকল্পটি পাশ করে কাজ বাস্তাবায়ন করে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘব করা যায়।