ডাকাতি মামলার আসামির নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং শেল্টারে থানার অবৈধ ক্যাশিয়ার অলি
- আপডেট টাইম : ০৫:৫২:১৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩
- / ১৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক
চট্টগ্রাম চকবাজার ধনীর পুল হতে রাহাত্তার পোল এলাকায় চলছে কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্বে সন্ত্রাস, মাস্তানি আর চাঁদাবাজির মত লোমহর্ষক ঘটনা। এসব ঘটনার নেপথ্যে দলীয় কোন পদবী না থাকা সত্বেও সরকারি দলের স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের কখনো যুবলীগ নেতা, কখনো ছাত্রলীগ নেতা কিংবা কখনো আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে এই সব কিশোর অপরাধিরা। আর এখানেই তাদের শুভঙ্করের ফাঁকিটা লুকানো থাকে সাধারন মানুষের কাছে । রাজনৈতিক নেতার ছবিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য মিলে চকবাজার এর মত জনবহুল এলাকায় গঠন করেছে ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং। আর এই গ্যাং এর প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাঁশখালী থানা পুলিশের হাতে ডাকাতি মামলায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া এবং চট্টগ্রামে ব্যাটারি চালিত টম টম এর চাঁদাবাজিতে গ্রেফতার হওয়া সদ্য জামিন প্রাপ্ত একাধিক মামলার কুখ্যাত আসামী এস,এম,সামাদ। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় চকবাজার ব্যাটারি চালিত টমটম এর চালক, ধনীর পুল হতে রাহাত্তার পোল এলাকার কিছু মাহিন্দ্র চালক, চকবাজার ফুটপাত এ ভাসমান ২/৩ টি দোকানের যুবক শ্রেণীর সব্জি বিক্রেতা সহ রাহাত্তার পোল, চেয়ারম্যান ঘাটা, আতুরার দোকান, ঘাষিয়ার পাড়া, ডি.সি. রোড, বগারবিল, চানমিয়া মুন্সী লেইন, এলাকার কতিপয় কিশোর ও যুবকদের সাথে নিয়ে এই কিশোর গ্যাং পরিচালিত হচ্ছে। আর এই বাহিনীর সমস্ত অর্থ আসে তার নেতৃত্বে বিভিন্ন স্পট এ পরিচালিত এলাকা ভিত্তিক জুয়া, মাদক, মাহিন্দ্র ও অটোরিক্সার টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে চাঁদা বাজির পয়সা হতে। বিভিন্ন স্পট হতে তার ভাগের চাঁদার টাকা আনতে যাওয়া তার বিশ্বস্ত কিশোরদের মধ্যে ইমরান,জুয়েল,
মানিক, রাজু সহ একাধিক কিশোর ও যুবক রয়েছে। এছাড়াও ভয়ংকর এই কিশোর অপরাধির বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, যে কোন ব্যক্তির ভূমি দখল বেদখল, কাজে এই বাহিনীর সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে। গত ২১ জুলাই ধনীর পোল নূরবিতান মার্কেট এলাকায় এক ব্যবসায়িক বৈঠকেও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্রসহ হামলা চালায় এই বাহিনীর সদস্যরা। হামলায় সরাসরি অংশ গ্রহন করে কিশোর গ্যাং লিডার এস.এম. সামাদ। স্থানীয় ভাবে জানা যায় ২১ জুলাই রাত ৯টা হতে ১ টা পর্যন্ত তান্ডব চালায় এই বাহিনীর লোকজন। প্রতি দিন চকবাজার থানার পুলিশ এর টহল গাড়ি সেখানে উপস্থিত থাকলেও ঐ দিন ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর দাবী অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের উদ্দেশ্যে কিশোর গ্যাং বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে যার প্রমাণ স্বরূপ ২১ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে রাতের সি.সি. টিভির ফুটেজ। সাধারন নাগরিক জীবনের শান্তি বিনষ্ট ও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত কারি কিশোর অপরাধীদের মধ্যে হামলায় অংশগ্রহণকারী সকল অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। প্রত্যক্ষদর্শী জানান এই কিশোর বাহিনীর সাথে চট্টগ্রাম চকবাজার থানার নাম ভাঙ্গিয়ে চকবাজার এলাকার বিভিন্ন স্পটে নিজেকে থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয়া চাঁদাবাজির চক্রের অন্যতম মূল হোতা অলিউদ্দিন হাওলাদার প্রকাশ বাম্পার অলি এবং তার অধীনস্থ চাঁদা উত্তোলনকারী মামুন সরাসরি জড়িত। অলি উদ্দিন হাওলাদার থানা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে তার এই অবৈধ ক্যাশিয়ারের রাজত্ব মজবুত করার উদ্দেশ্যে এই কিশোর বাহিনীকে ব্যবহার করে চলেছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। অলির কুকীর্তি নিয়ে একাধিক সংবাদ পত্রিকার পাতা এবং টেলিভিশনে প্রচারিত হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে তার প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি চকবাজার থানা পুলিশকে। এই অলির কারনেই কিশোর গ্যাং এর ভয়ানক তান্ডবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও তা ঘুরে যায়। চট্টগ্রাম চকবাজার – বাকলিয়া এলাকা জুড়ে এই কিশোর গ্যাং লিডারের বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যেমন স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ, অন্যের জমি বা ফ্ল্যাট দখল, অন্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মোটর চালিত রিকশা হতে টোকেন প্রদানের মাধ্যমে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদাবাজি, অবৈধ রুট ধনীর পুল হতে চকবাজার মাহিন্দ্র গাড়িতে চাঁদাবাজির একাধিক নজির পাওয়া যায়। ফুটপাতে ভাসমান দোকান পাট হতেও তার নিয়মিত চাঁদাবাজির টাকা আসে। আর এই চাঁদাবাজির অর্থেই সে তার কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এলাকাবাসী মনে করেন এই কিশোর সন্ত্রাসীদের এখনই থামাতে না পারলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ রুপ নিবে এবং সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।