ইতালি প্রবাসী ছেলে কে দেখিয়ে পিতা-মাতার প্রতারণা বানিজ্য
- আপডেট টাইম : ০১:৫৭:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ৪৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
এস এম মনির স্টাফ কোয়ার্টার। ।
ছেলে জিসান ইতালি প্রবাসী। ছেলে কে দেখিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত মা বাবা এক ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে।
মতিঝিল পিএনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পারভীন আক্তার ও তার স্বামী হারুন অর রশিদ বেকার যুবক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ইতালি প্রেরণের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
খিলগাঁও আমানুল্লাহ সুপার মার্কেটের জসিম নামে এক খুদ্র ব্যবসায়ী তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পরে নিঃস্ব হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী জসিম বলেন আমি খিলগাঁও রেল গেইট আমান উল্লাহ সুপার মার্কেটে কসমিটিকের ব্যবসা করি। পারভীন আক্তার আমার দোকানের একজন কাস্টমার ছিলো, সেই সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয়। পারভীন আক্তারের ছেলে জিসান ইতালি প্রবাসী। সে আমাকে জিসানের মাধ্যমে বৈধ ভাবে ইতালিতে প্রেরণের প্রলোভন দেখায়। যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তাই ভবিষ্যৎ সুখের চিন্তা করে এবং আমার পরিবার আর্থিক ভাবে সুখে শান্তিতে থাকবে এই প্রত্যাশায় আমি আমার সর্বস্ব নষ্ট করে গত ২২/১১/২০১৮ইং তারিখ হইতে ১২/৮/২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ৩৬৫০০০/=নগদে ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করি। উক্ত টাকা গ্রহণের পর আমাকে ইতালিতে প্রেরণ করার কথা বললে সে কালক্ষেপণ করিতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে বলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তোমার ইতালিতে যাওয়ার সকল কাগজপত্র রেডি হয়ে চলে আসবে। তুমি আরো ৮,৮৫,০০০/-টাকা রেডি করে রাখো। সে একজন আদর্শ শিক্ষক মনে করে আমি সরল বিশ্বাসে আমার জায়গায় জমি বিক্রি করে উক্ত ৮,৮৫,০০০/-টাকা আমি রেডি করি।কিন্তু আমাকে ইতালি প্রেরণের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সে আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ রক্ষা করে নাই। আমি নিরুপায় হয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে আমাকে বিদেশ পাঠাবে না এবং আমার টাকাও ফিরত দিবে না। আমি তার কাছে আমার টাকা ফিরত চাইলে সে বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৎকালীন জনাব ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন সাহেবের নিকট অভিযোগ প্রদান করে। কমিশনার সাহেব ৬/৯/২০১৯ইং তারিখে আমাদের তলব করলে আমি সেখানে উপস্থিত হলেও তারা কেউ সেদিন আসেনি। আমাকে টাকা ফিরত না দিয়ে আমাকে চুপ রাখার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ আমার বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় নারী নির্যাতনের সাধারণ ডাইরী করেন। এবং আমাকে সে জানান আমি যদি তার কাছে টাকা দাবি করি তাহলে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে আমাকে জেলে পুড়ে মারবে।
আমি আমার টাকা ফিরত পাওয়ার আশায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডি জি মহদোয় বরাবর আবেদন করেও তার কোন প্রতিকার পাইনি।
আমি এই প্রতারক পারভীন ও তার স্বামী হারুন রশীদের বিচার চাই ও আমার কষ্টার্জিত টাকা ফিরত চাই।
ভিকটিম জসিম উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পারভীন কে না পেয়ে তার স্বামী হারুন উর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই টাকা জসিমের কাছে তার ছেলে জিসান পাইতো, তা জসিম পরিশোধ করছে।এটা বলে ফোন রেখে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে সহকারী শিক্ষিকা পারভীন আক্তার ও স্বামী হারুন উর রশিদ ইতালি প্রবাসী ছেলে জিসান কে সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে একাধিক যুবক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পারভীন আক্তার চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েও একাধিক প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় পারভীন আক্তার সাধারণ একজন সহকারী শিক্ষক হওয়ার পরেও ইতিমধ্যেই মাদারটেক একটি আলিসান ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন যার মুল্য প্রায় ৭০/৮০ লক্ষ টাকা।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরো জানা যায় পারভীন আক্তারের স্বামী হারুন অর রশিদ মিটফোর্ডে অনুমোদন হীন ভূয়া মেডিসিন বাজারজাতের মাধ্যমে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রশ্ন হলো এই দম্পতি প্রতারণা মাধ্যমে একাধিক অপরাধ করার পরও কেনো এদের কে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না? তাহলে এদের পিছনে কি এমন অদৃশ্য শক্তি? ভিডিও ফুটেজটি দেখুন
অনুসন্ধান চলছে….
বিস্তারিত জানতে চৌখ রাখুন অনুসন্ধানে