ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক ওভারটাইম আর নাইট বিলের টাকায় গড়েছেন 📖 সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার মাগুরায় বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

চাতলপাড় নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩
  • / ১৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল খ্যাত চাতলপাড়। প্রতি বছরের ন্যায় নতুন করে নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে এ অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। নদী ভাঙনের কবলে চরম উদ্বিগ্ন অনেক পরিবার।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মেঘনা নদীর পানির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে মসজিদ, বাড়িঘর ও কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অনেক পরিবারই ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাতলপাড় চকবাজারের পশ্চিম অংশের নিতাই সাধুর বাড়ি পর্যন্ত,শেখ মহিউদ্দিন, পিয়ারু মিয়া, জিতু মিয়া, শংকর রায়, শহর আলী, শহিদ মিয়া, শারফিনের বাড়ি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে।
কারো বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে, কেউ কেউ বসত ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বসতভিটা হারিয়ে সর্বশ্রান্ত ।
ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতীতেও ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়ি ঘর-দোকানপাট। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।
শুধু বছরের পর বছর কিছু ক্ষতিগ্রস্থ চাতলপাড়বাসিকে জিও ব্যাগ ফেলে সান্তনা দেওয়া হয়। যা সমস্যা সমাধানে অপ্রতুল।

চাতলপাড়ের নদী ভাঙন সম্পর্কে জানতে চাইলে বড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস শহীদ বলেন, নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিদিনই বাড়িঘর, দোকানপাট মসজিদ বিলীন হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ।এত বছরেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্না- আহাজারি থামানো কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।

চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদে এত বড় বাজেট নেই। স্থানীয় এমপি, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে গেছেন।

এ ব্যাপারে প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে আবারো যোগাযোগ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাতলপাড় নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল খ্যাত চাতলপাড়। প্রতি বছরের ন্যায় নতুন করে নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে এ অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। নদী ভাঙনের কবলে চরম উদ্বিগ্ন অনেক পরিবার।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মেঘনা নদীর পানির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে মসজিদ, বাড়িঘর ও কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অনেক পরিবারই ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাতলপাড় চকবাজারের পশ্চিম অংশের নিতাই সাধুর বাড়ি পর্যন্ত,শেখ মহিউদ্দিন, পিয়ারু মিয়া, জিতু মিয়া, শংকর রায়, শহর আলী, শহিদ মিয়া, শারফিনের বাড়ি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে।
কারো বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে, কেউ কেউ বসত ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বসতভিটা হারিয়ে সর্বশ্রান্ত ।
ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতীতেও ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়ি ঘর-দোকানপাট। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।
শুধু বছরের পর বছর কিছু ক্ষতিগ্রস্থ চাতলপাড়বাসিকে জিও ব্যাগ ফেলে সান্তনা দেওয়া হয়। যা সমস্যা সমাধানে অপ্রতুল।

চাতলপাড়ের নদী ভাঙন সম্পর্কে জানতে চাইলে বড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস শহীদ বলেন, নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিদিনই বাড়িঘর, দোকানপাট মসজিদ বিলীন হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ।এত বছরেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্না- আহাজারি থামানো কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।

চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদে এত বড় বাজেট নেই। স্থানীয় এমপি, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে গেছেন।

এ ব্যাপারে প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে আবারো যোগাযোগ করা হবে।