আমি দেখেছি গ্রামের মানুষ বলে মোটামুটি খেয়ে বাঁচলেই হবে। তাই তারা কাজ করার সামর্থ্য থাকলেও বসে দিন কাটায়। কারণ প্রত্যেক দিন ১০০ টাকা রোজগার হলেই তাদের চলে যায়।
আপনি কি এভাবে বেঁচে থাকাকে ভালো বলেন? তাহলে তো এবার আপনি বলবেন মন থাকলে মন তো খারাপ হবে, ভালো হবে। কিন্তু যদি আপনি স্বাভাবিক থাকেন মন ভালো রাখার চেষ্টা না করেন তাহলে কেমনে ভালো হবে। ভুল মানুষকে দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করার চাইতে, শূন্যস্থান শূন্য থাকাই ভালো। আবেগ প্রবন মানুষের চাইতে, বিবেক প্রবন মানুষ অনেক ভালো। ধনী অসৎ মানুষের চাইতে গরীবের সততাই অনেক মূল্য।
চিত্র দেখা যাচ্ছে, বানিয়াজান স্পার । যা বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থান। যেখানে অনেক দূর থেকে মানুষ ঘুরতে আসে শুধু মনকে সুন্দর রাখতে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে ঘুরতে আসে, দরিপাড়া,কামালপুর,চন্দনবাইশা, ভান্ডারবাড়ী, পরানপুর,নারায়ণপুর,স্থলবাড়ী, ধুনট, শেরপুর সহ বিভিন্ন উপজেলা জেলা থেকে ঘুরতে আসে। অনেকে তাদের পরিবার সহ চলে আসেন বানিয়াজান স্পারে। ভ্রমন প্রিয় মানুষদের জন্য বিভিন্ন রকম খাবারের দোকানীদের দেখা যায়, ঝালমুড়ি, আইস্কিম, বাদাম, আচার, আমড়া মাখা সহ অনেক কিছু।
ভ্রমন প্রিয় আব্দুর রহমান বলেন, বাসায় বসে মনকে অসুস্থ রাখতে চাই না। মহান রবের দেয়া সুন্দর প্রকৃতিকে দেখে মনকে সুস্থ রাখতে চাই। আমার শখ ভ্রমন করা আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি। সিলেট জাফলং সহ অনেক জায়গায়। বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না তাই বানিয়াজান স্পারে ঘুরতে এসেছি।
পর্যটক রবিউল ইসলাম জানান, জায়গাটা দেখতে অনেক সুন্দর যমুনা নদীর হাওয়া ও প্রকৃতির সুন্দর্যে মনটা স্নিগ্ধ শান্তিময় হয়ে যায়, পর্যটক লিমন জানান, আজকাল প্রকৃতির সৌন্দর্যময় স্থান বিলিনের পথে যা এখানে বিরাজ করছে সত্যি ভালো লাগলো, পর্যটক মুনঞ্জুরুল বলেন ভ্রমণ মানসিক স্থির ও শিক্ষায় সহায়তা করে, এখানে আসলে নৌকা ভ্রমণ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভবে মনটা ভালো হয়ে যায়। তাই আমি বাচ্চা,স্ত্রী সহ পুরো পরিবার ঘুরতে এসেছি, এবং পর্যটক সেলিম, সোহেল রানা, বিপ্লব হোসেন তাদের ভ্রমণ সম্পর্কে সুন্দর অনুভুতি প্রকাশ করেন।
যমুনা নদীর উপরে একশ ফিট দীর্ঘ একটি বিরিজ নির্মাণ হয়েছে যা ভ্রমণের মুল কেন্দ্রবিন্দু, কিন্তু বিগত একবছর আগে বিরিজটি এক তৃতীয় অংশ ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে যায় এখন যে তৃতীয় অংশ আছে তা মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিগত বছরে সর্তক বার্তা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এখন তা পর্যটকরা না মেনে ভির করছে সেখানে।