ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা ইউনিয়নের খাস্তি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় দুই বালু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমান করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন অভিযানটি পরিচালনা করেন।
জরিমানা প্রাপ্তরা হলেন,২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কালিউতা গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম মেম্বার (৫০) ও একই গ্রামের তার সহযোগী মোঃ মিজান মিয়া(৪০) পিতা অজ্ঞাত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে শফিকুল ইসলাম মেম্বার কে ৫০,০০,০/-(পঞ্চাশ হাজার) এবং তার সহযোগি মোঃ মিজান মিয়া কে ১৫,০০,০/-(পনেরো হাজার) টাকা তাৎক্ষনিক জরিমানা করা হয়েছে এবং বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত জব্দকৃত ড্রেজার মেশিন, পাইপ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি চাপরতলা ইউনিয়ন তহশিল অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।অন্যথায় তাদেরকে আরো কঠিন আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।অনুসন্ধানে জানা গেছে ভুমি দস্যু শফিকুল ইসলাম মেম্বার গং ভূগর্ভস্থ খাস্তি নদীর খাল থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে আসছিল।এসব বালু ও মাটি কালীউতা ও বেঙ্গাউতা গ্রামে নতুন নতুন বাড়ি তৈরীর নির্মাণ কাজে সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে তারা । এলাকার একজন চিহ্নিত ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী লোক হওয়ার তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসি কেহ মুখ খোলার সাহস পায়নি।উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন এর ঝটিকা সফরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা কালে ওই দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করায় এলাকা বাসির মাঝে সস্তি ফিরে এসেছে।
মোনাব্বর হোসেন বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধ উপায়ে খননযন্ত্রের সাহায্যে মাটি বা বালু উত্তোলন করে কেউ বিক্রি করতে পারবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।