বর্তমানে বাংলাদেশে দিন দিন অকালে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত । তাই এবিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে কুমিল্লার হোমনায় কাশিপুর তরুণ প্রজন্মের ও কাশীপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশন এবং মনিপুর প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন এর আয়োজনে বর্ষাকালে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক একটি র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৮ ই জুলাই সকাল ৯:৩০ এ কাশীপুর তরুণ প্রজন্মের সদস্য ও কাশীপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের কে নিয়ে উক্ত বিদ্যালয় থেকে র্যালীটি শুরু করে কাশীপুর বাজার ও ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে গিয়ে র্যালীটি শেষ হয়। জনসাধারণের সচেতনতা তৈরি করতেই তারা এই র্যালি আয়োজন করেছেন।
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় বেশিরভাগ শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু হচ্ছে । তাদের অনেকেই বাড়ির বালতিতে জমিয়ে রাখা পানিতে ডুবে মারা যায়, আবার কেউ বাড়ির পাশে পুকুর কিংবা নদীতে ডুবে মারা যায়। শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা কোথায় আছে, কার সাথে আছে এবং কি করতেছে এইসব দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
এখন বর্ষাকাল চারদিকে থৈ থৈ করে বাড়ছে পানি আর তার সাথেও বাড়ছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর খবর দেখা যাচ্ছে। যে সকল শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে তাদের বয়স মাত্র ১ – ৭ বছর বা তার চেয়েও একটু বেশি। তাই প্রত্যেকটা পরিবারকে সচেতন হতে হবে যেন আর কোনো শিশু পানিতে ডুবে মারা না যায় সে দিকে নজরদারি হতে হবে।
কাশীপুর তরুণ প্রজন্মের মহাসচিব ও কাশীপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ৭ নং ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ছাদেক সরকার, কাশীপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক মো ছালামত উল্লাহ প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর হাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ ,কাশীপুর তরুণ প্রজন্মের সদস্যবৃন্দ সহ রোটারি ক্লাব অব ধানমন্ডি ঢাকার সদস্যবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন প্রতিদিন পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হচ্ছ। যেন আর কারো সন্তান পানিতে ডুবে মারা না যায় সে দিকে সবায় কে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার কারণে হয়তো একটি শিশুর প্রাণ বাচঁতে পারে তাই পরিবারের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। ডেঙ্গুর আক্রান্ত থেকে বাচঁতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বাড়িতে জমাট কৃত পানি পরিষ্কার করতে হবে।